বান্দরবানের থানচি থেকে টানা দুইদিন পাহাড় ঝরনা ধরে হাঁটার পর পৌছলাম শেরকর পাড়ায় ।ক্লান্ত অবসন্ন দেহ যখন একটু ঠাই খুজছিল ভয়ঙ্কর নির্জন ওই পাহাড় চূড়ায় ,তখন মনে হলো তাবুতে হারিয়ে যাওয়ার আগে কিছুটা লিখে নেই সাক্ষী করে এই সুন্দরের
------------------------------------
যেখানে বসত করেছি সায়াহ্ন অন্ধকারে ।
বিকেলের সোনা রং, আলো, শীতের হলুদ মঞ্জুরি ছুঁয়ে
গায়ে এসে পড়েছে চুপি চুপি
উত্তরের বাতাস গাইছে আয়েসী গান,অবিরাম
আমার ক্লান্ত শরীরে ।
এখানে আকাশ ছুঁয়েছে বাতাসের শরীর
সুতীব্র ভালবাসায়,গহীন শুন্যতার ভেতর
সঁপে দেওয়া নির্জন জুমঘরে ।
আর পাহাড়, মেঘ কে করেছে দূর্বা ঘাস,
ভেজা তুলোয়,নরোম আদরে ভালবাসায় মেখে নিয়েছে অস্তিত্বের অবগুন্ঠনে।
এখানে কুহকের ডাক যেন বেহাগের সুর,
এক অদ্ভুত হৃদয় ছেড়া তান হয়ে বাজে
সু উচ্চ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ।
আজ ,অবসন্ন চৈতন্যের মোহনায় লেপ্টে আছে পূর্নিমার চাঁদ
শাদা সঙ্খমালার চাদর বিছিয়ে সমস্ত সত্তায়
আর আমার অভিলাষী মন আশ্রয় খোঁজে
নিঃসঙ্গ সন্নাসিনীর কাছে
এই শান্ত সরোবরে...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৪