সহস্র বছরের পুরনো এই চাঁদ
জৌলসে এখনো ষোড়শী তরুণী
রুপালী অধর থেকে বিচ্ছুরিত হয় উজ্জ্বল যৌবন
এখনো সেই হাসি তার মায়াবী গোল মুখে
এখনো সে পিছু ধরে একলা পথিকের
নীরবে পাশে পাশে হেঁটে চলে।
যেই পথিকের সঙ্গ ছেড়ে দেয় পৃথিবীর সব পথ,
রুদ্ধ দুয়ারে হতাশা বোটকা গন্ধে
দেহ ছেড়ে শুন্যে ভেসে যেতে যার প্রাণ
গুহার অন্ধকারে পঁচে মরতে প্রতিনিয়ত থাকে আঁধারের আহ্বান
সেই হৃদয়েও চাঁদ চেয়ে থাকে
যেন তীক্ষ্ণ চোখে পড়ে নেয় সব কষ্টের উপখ্যান।
হৃদয়ও কথা বলে চলে
কি করে ঝাঁঝরা হল এই বক্ষ পিঞ্জর?
কি করে সব সুখ ঝোরে গেছে দু ঠোটের হাসি থেকে?
কে হৃদয়ের কোণে বসে থেকে চুপিসারে
উইপোকার মত কেটে খেয়েছে হৃদয়?
কি করে একটা মানুষ মোমের মত গলে যায়,
কি করে কোমল হৃদয় নীরবে ক্ষয়ে যায়?
সব কথা হৃদয় চিরে অশ্রু হয়ে বেরিয়ে আসে
এই মায়াবী জোঁছনাতে।