গল্পঃ বিষণ্ণ অমানিশা
গোরস্থানের সুনসান নীরবতা। সামান্য পাতা ঝরার শব্দকেও এটম বোমার মত মনে হচ্ছে। বুকের ভিতর হৃদপিন্ড হাতুড়ির মত বাড়ি মারছে দমাদম। আমার দু চোখ দিয়ে সমানে ঝরছে অশ্রু। কিছুতেই শান্ত করতে পারছি না নিজেকে। কেন কাঁদছি ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে কেঁদে চলেছি অনর্গল। সূর্যটা আজ যেন স্থির। বড্ড দেরি করছে পশ্চিম কোণে হেলে পড়ে সাঁঝকে আমন্ত্রণ জানাতে। প্রতীক্ষার ক্ষণগুলো সব সময়ই দীর্ঘ হয় এমন।
থেকে থেকে একটা ছাল উঠা কুকুর এসে করুণ সুরে কাঁদছে। আমি ওটাকে হাতের বেলচা উঠিয়ে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেই। ও আবার একটু পর ফিরে আসে। আর এসেই শুরু করে মরা কান্না। গোরস্থানের কুকুরগুলো এমন ছিঁচকাঁদুনে হয় কেন আমার ঠিক বুঝে আসে না। তবে শুনেছি ওরা কবরের মৃতের কষ্টগুলো শুনতে পায়। শুনতে পায় শবের নীরব কান্না। এসব শুনে সে নিজেই দুঃখে কান্না জুড়ে দেয়। আমার সায়েমের কথা ভেবে বুক ভেঙে আসে। ওর কোন কষ্ট হচ্ছে না তো? বেচারা আজ প্রায় একমাস অন্ধকার ঘরটিতে একা একা থাকছে । কি জানি কেমন আছে ও ! আমাকে হঠাৎ ডেকে উঠে যেনো- সেঁজুতি, একটু আলো জ্বালাও না প্লিজ ! ঘরটা এতো অন্ধকার কেনো ?" আমি ওর ডাক শুনে চুপ হয়ে থাকি । এটাকেই বোধহয় টেলিপ্যাথী বলে।
ও চলে যাবার প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় প্রথম আমি ওর ডাক শুনতে পাই। ঘরে সব লাইট নিভিয়ে বসেছিলাম জানালার পাশে। চোখটা একটু বন্ধ করতেই যেনো কেউ ডাকলো,''সেঁজুতি!' চমকে উঠে আমি জানালার আশেপাশে দেখতে থাকি ।
নাহ ! কাউকেই তো দেখছিনা ! সম্ভবত মনের ভুল । এতদিন পাশে থেকে যে মানুষটা চলে যায় তার ভ্রম নিশ্চয়ই এতো তাড়াতাড়ি সয়ে যাবার নয় । " এই সেঁজুতি ! শুনতে পাচ্ছোনা ? "সায়েমের কণ্ঠ আমি ঠিকই চিনেছি । ও কি আমার উপর কোন ক্রোধ নিয়ে ফিরে এসেছে ? রাত আরো গভীর হতে থাকে। আমার জানালার ওপাশের জোছনা বিলানো চাঁদটা কখন যে মেঘে ঢেকে গেছে আমি একটুও টের পাইনি।
তারপর আবার শুনি সায়েমের কন্ঠ ,''সেঁজুতি শুনছো?'' আমি শুনতে পাচ্ছি! তারপর আবার সেই ডাক ,''সেঁজুতি শুনছো? সেঁজুতি?'' আমি দু হাতে কান চেপে ধরি। হ্যালুসিনেশন। আমি ভুল শুনছি। মৃত মানুষ আমাকে ডাকবে কেমন করে? আমার দু হাতের উপরই তো এক্সিডেন্ট করে দম ছেড়ে দিয়েছে সায়েম। কিন্তু তবুও আমি অনর্গল সায়েমের ডাক শুনে যাচ্ছি। আমার ভেতরেই কে যেন সায়েমের মত করে কথা বলে আমাকে ডাকছে! আমি তার কথা শুনতে চেষ্টা করি। ''সেঁজুতি আমি সায়েম! আমার কথা শুনতে পাচ্ছো? এই ঘরে আমি একদম একা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। তোমাকেও খুব মিস করছি। আমি জানি আমি অনেক দূরে চলে এসেছি। এখন আর আলো জ্বালানো ঘরে থাকা সম্ভব না। যদি পারো আমাকে কয়েকটা মোম দিয়ে যেও।'' সায়েমের হিমশীতল কন্ঠ আমার মধ্যে বেজে চলেছে। একবার নয়। ঐ রাতে বেশ কয়েকবার আমার সায়েমের সাথে কথা হয়। কথার এক ফাঁকে সে জানায় তার কবরে পাশে বড় বড় লাল পিঁপড়ের দল মাটি খুঁড়ে বাসা বেঁধেছে। তারা তাকে খুব বিরক্ত করছে। আমি যেন পিঁপড়া মারার কিছু ওষুধও কিনে নিয়ে যাই।
পরদিন ভোরেই আমি সায়েমের কাছে যাই । সত্যিই তো ! লাল পিপড়ের একটা লাইন
যেনো ওর মাথার পাশ দিয়েই যাচ্ছে । খুব ঘৃণা হচ্ছে পিপড়ে জাতিটার উপর । ওরা কি মৃতমানুষকেও ছাড়বেনা নাকি ! আমিও ছেড়ে দেবো না । তক্ষুনি বাজার থেকে ওষুধ এনে ছিটিয়ে দিলাম কবরের চারপাশে । কটা শিউলি ছড়িয়ে দিলাম ওর ঠিক বুুকের উপর । মানুষটাকে কেনো জানি খুব অসহায় মনে হচ্ছে আজ !
আমি বুঝতে পারি আমার আর সায়েমের মাঝে সত্যি টেলিপ্যাথি হচ্ছে। কাউকে খুব ভালোবাসলে হয়ত টেলিপ্যাথি হয়। সে মনে মনে আমাকে যা বলতে চাইছে আমি শুনতে পাচ্ছি। আমিও মনে মনে ওকে যা বলছি ও সব শুনতে পাচ্ছে। ওপাড়ের জগত থেকে ও কোনভাবে আমার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
সেদিন খুব তাড়াতাড়ি দুপুর গড়িয়ে গেলো । সূর্য হেলে পড়েছে বেশ খানিকটা । ও আমাকে বললো- পিপড়েগুলো আবার এসেছে । এবার ওরা নাকি কবরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে ! ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি গ্যারেজ থেকে বেলচা নিয়ে নেমে পড়ি ওকে পিঁপড়ার জ্বালাতন থেকে মুক্ত করব ভেবে । বেঁচে থাকতে যে মানুষটা আমার শরীরে সামান্য আঁচড় পর্যন্ত সহ্য করেনি, তাকেই কিনা আজ পিপড়ে খাবে ! কিছুটা খোঁড়ার পর পেছন থেকে একজন এসে আমার হাতের বেলচা কেড়ে নেয়। বুড়ো দারোয়ানটাকে আমি কখনোই অবজ্ঞা করিনি । কিন্তু সে আমাকে ভুল বুঝেছে । আমাকে নিবৃত্ত করার জন্য সে আরো লোক জড়ো করলো । আমি তাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করি সায়েমের কষ্টটুকু । ওকে পিঁপড়া কামড়াচ্ছ । ও কিছুই করতে পারছেনা অন্ধকারে । কিন্তু তারা আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আমি একসময় সম্পূর্ণ চুপ হয়ে গেলাম । যেনো আমিও একটা লাশ হয়ে গিয়েছি। হতাশারা ঘিরে ধরছিল চারিপাশ থেকে!
হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার এপিসোডগুলো আমার জানা আছে। কারণ এর আগেও আমার সাথে এমন হয়েছে। আমার মা মারা যাবার পর। বেশ কয়েক বছর আগে। প্রথমে সব ইচ্ছে মরে যাবে, তারপর কলমি গাছের মত নেতিয়ে আসবে শরীর যেন সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে। বাঁচার সব ইচ্ছেও শেষ হয়ে যাবে। একটা ঘোরের মধ্যে জীবন চলে যায়। যেখানে অবর্ণনীয় কষ্ট। আমি বুঝতে পারি বাবা কয়েকজনকে নিয়ে আমাকে এম্বুলেন্সে তুলছেন। মাঝে মাঝে বার বার সেঁজুতি সেঁজুতি বলে ডাকছেন। আমি সব শুনছি। কিন্তু সাড়া দেবার ইচ্ছে আমার নেই।
বাবা আমাকে নিয়ে সোজা মানসিক রোগের হাসপাতালে এলেন। এবার আর তিনি ভুল করলেন না। এর আগের বার মা মারা যাবার পরও আমার এমন অবস্থা হয়েছিল। তখন তিনি আমাকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু কোন ডাক্তারই দেহের কোন বড় রোগ খুঁজে পান নি। অবশেষে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কিছু এন্টি ডিপ্রেসেন্টে আমার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তারপর বাবা সায়েমকে আমার প্রাইভেট টিউটর করে রাখেন। সায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। পাশ করে চাকরী খুঁজছে আর টিউশন করছে। আর আমি ছিলাম হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এক সময় পড়াশুনায় খুব ভালো থাকলেও মা মারা যাবার পর বার বার ফেইল করেছি। তাই বাবা সায়েমকে রেখেছিলেন আমার প্রাইভেট টিউটর করে।
খুব সুদর্শন যুবক সায়েম। গরীব ঘরে বড়। তাই পোশাক আশাকে তেমন চাকচিক্য ছিল না। তবে ওর মোলায়েম হাসির নিচে ওর আর্থিক দৈন্যতা ঢাকা পড়ে যেত। শান্ত দৃঢ় কন্ঠ স্বরে ওর দুষ্টুমি গুলোও সত্যি মনে হত। একদিন সে খুব গম্ভির হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি ভাবলাম আমি বোধয় কিছু ভুল করেছি। আমি এমনিতেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। ভুলগুলো আমাকে আরো দমিয়ে দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই সে হো হো করে হেসে উঠে বলল ,''সেঁজুতি তুমি একটুতেই ভাবনায় ডুবে যাও কেন বলো তো? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছো কখনো? তুমি কত সুন্দর। এই পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর নারী তুমি।'' সায়েমের কন্ঠে আবেগ ঝোরে পড়ে।
ঐ দিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম জানলাম আমি সুন্দর। এর আগে জানতাম আমি কুৎসিত। আমাকে কোন ছেলে ভালোবাসবে না। কেউ বিয়ে করবে না আমাকে। তারপর থেকে সায়েমের প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতে লাগল। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। কিন্তু নিজের মাঝে দুমড়ানো কুঁচকানো মেয়ে আমি। মনে কথা বলার মত সাহস আমার তখনো হয়ে উঠেনি। সায়েম আস্তে আস্তে আমার মাঝের জড়তাগুলো কিভাবে যেন কেঁড়ে নিচ্ছিল। যেই আমি কারো সাথে কথা বলতে পর্যন্ত লজ্জা পেতাম, আড়ষ্ট হয়ে যেতাম সেই আমি হলাম কলেজের বিতর্ক প্রোগ্রামের শ্রেষ্ঠ বক্তা। আমি যেন রাতারাতি পাল্টে গেলাম। সবই সম্ভব ছিল সায়েমের জন্য।
একদিন সে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলল ,''আচ্ছা তুমি 'দ্যা ফিমেইল ব্রেইন' বইটা পড়েছো?'' আমি মাথা নাড়লাম। ও আবার বলল,'' তুমি জানো মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়লে কি করে?'' আমি আবারো মাথা নাড়লাম। ওর অদ্ভুত কথাগুলো আমাকে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছিল। খুব অসহায় লাগছিল নিজেকে ওর সামনে। ইচ্ছে হচ্ছিল ঝট করে মনে কথা বলে দেই। কিন্তু আবার থেমে গেলাম। ও যদি আমাকে ফিরিয়ে দেয়! ও নিজে থেকেই বলল,'' মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়লে অহেতুক তার সাথে কথা বলার বাহানা খোঁজে। যেমন খোঁজো তুমি।'' বলেই তার হো হো হাসি। একটা মেয়েকে অসহায় দেখে খুব মজ্জা পাচ্ছে। আর আমার বুক ভেঙ্গে কান্না আসছে। আমি ওর বুকে মুখ গুজে কাঁদলাম কিছুক্ষণ। জীবনে প্রথম এ ছিল আমার সুখের কান্না।
তার কিছু দিন পর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। খুব সুখে কাটছিল দুজনার জীবন। কিন্তু ভাগ্যে সুখ কখনোই সয় না। মাস দুয়েক পর রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় সায়েম। তারপর থেকেই তার সাথে টেলিপ্যাথিতে যোগাযোগ। আর মানুষজনের ভুল বোঝাবুঝিতে দ্বিতীয় বারের মত আমি হই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি।
একজন মাঝ বয়েসী ডাক্তার চিন্তিত ভঙ্গিত আমাকে বলেন ,'' তাহলে তোমার সাথে টেলিপ্যাথিতে তোমার স্বামীর কথা হচ্ছে?'' আমি সামনের দিকে মাথা ঝাকাই। এই সব ডাক্তারদের সাথে এ সব কথা বলা অর্থহীন। এরা সব কিছুকেই হ্যালুসিনেশন, ডিলিউশন বলে উড়িয়ে চায়। ডাক্তার আমার ইন্টেলিজেন্স পরীক্ষা করলেন। কিন্তু এ জাতীয় সব টেস্টেই আমি উতরে গেলাম। তবুও আমাকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করলেন ঠিক বুঝে আসল না।
এদিকে সায়েম খুব অস্থির। সে এখন আর আগের মত আমার সাথে কথা বলে না। খুব বিমর্ষ হয়ে থাকে। আমি তাকে নিত্য দিন বলি ,''তুমি মন খারাপ করো না। আমি খুব জলদি তোমার কাছে আসছি।''কিন্তু হাসপাতালে কড়া পাহাড়া। কিছুতেই আমি বের হতে পারি না। এভাবে কেটে যায় একমাস। তারপর একদিন দুপুরে হঠাৎ সায়েম আমাকে ডেকে বলে,''সেঁজুতি ওঠো! আজকে পেছনে দরজার দারোয়ানের কাজে আসতে দেরি হবে। ঐ যে টেবিলের উপর চাবি। তুমি দরজা খুলে বেরিয়ে এসো।'' আমি বেরিয়ে আসি। তারপর সোজা গোরস্থান। সন্ধ্যা নামতেই আমি কবর খুঁড়া শুরু করি। আজ আর আশে পাশে কেউ নেই। পরিস্থিতি সব দিক থেকে নিরাপদ করে ধীরে সুস্থে কাজ চালিয়ে যাই। কবর খুঁড়ে এক সাইড থেকে আমি ভিতরে প্রবেশ করি। সায়েম দেখি উঠে বসে আছে। তার বুকে মাথা রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। বহুদিন থেকে আমার নির্ঘুম দু চোখ!
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন