কেউ কেউ সুখ খোঁজে প্রেমের কবিতায়,
কারো সুখ ঢাকা থাকে সুরভী নির্যাসে,
কারো সুখ লুকিয়ে থাকে ক্রান্তিয় বর্ষন অরন্যে,
অনেকেই পায় সুখ সুরম্য অট্টালিকায়,
কাউকে বলতে শুনি "সুখ আমার ঘি দেয়া ভাঁপ ওঠা ভাতে"।
গাড়ির পেছনের সিটে সংগীর ঘনিষ্ঠতায় সুখ অনেকের।
অথবা শত বিঘা জমির মালিকানায় সুখ খোঁজে কেউ।
আমার সুখ তোমার সাথে একই কাপে চুমুক দেয়া,
ঝুম বৃষ্টিতে শালবন বিহারে তোমার হাত ধরে কাক ভেজা হওয়া,
শীতের সন্ধ্যায় যাদুঘরের সামনে ভাঁপা পিঠায় কামড়,
গুহা চিত্রের ঢংয়ে শাড়ি পরা তোমাকে নতুন করে আবিষ্কার করা,
দ্বিবার্ষিক এশিয় চারুকলা উৎসবে দু'জনে মিলে অবোধ্য চিত্রকলার অর্থ খোঁজা।
উদ্দেশ্যহীন ভাবে লালবাগ থেকে ধুপখোলা চষে বেড়ানো,
চৈত্রের দাবাদহে খোলা আকাশের নীচে অগ্নিজলে দু'জনে তুরীয় হওয়া
আর,
মাঝে মধ্যে তোমার বিশাল লাল টিপ ঠিক করে দিয়ে কন্ঠার হাড় ছুঁয়ে দেয়া।
ত্রিশোনকু, উত্তরা, ১৫/১২/২০১৯, রাত ১০ঃ২৫