আমরা এদ্দিনে জানি যে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে সুন্দর বন ধ্বংস হয়ে যাবে। ধ্বংস যে হবে সে ব্যাপারে করোই সন্দেহ নেই, এমন কি কট্টর আওয়ামীলীগ পন্থী যারা এইরামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান যারা নিয়েছে তাদের জীবন যাপনকে পর্যন্ত অসহনীয় করেছে, তাদেরও।
আওয়ামী লীগের পকেটস্থ হয়ে যাওয়া গণজাগরন মঞ্চের সদস্যের (অনুবেক্ষণীয় ব্যাতিক্রম ছাড়া) তো নয়ই।
এখন দেখা যাক এই বন ধ্বংস হলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে যাচ্ছে। আমি একটি দুটি করে ক্ষতি তুলে ধরবো।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ১৩ চৌদ্দ শো মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে এই ক্ষতি মেনে নেয়া যুক্তি যুক্ত কিনা সেটা আপনাদের বিচারের ওপর ছেড়ে দেবো।
অভ্যন্তরীন পরিযাজন।
গতআদম শুমারীতে বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান বুরোর তথ্য মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার যেখানে ৩ দশমিক ৪, সেখানে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে এইহার সর্বোচ্চ ১ দশমিক ১৩।
আপনারা কেউই বিশ্বাস করবেন যে পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানের মত এই দুই বিভাগের কোনোকোন জেলায় এই জন সংখ্যার হার বিয়োগিকঃ
১। বাগের হাটঃ – ০.৪৭।
২। খুলনা জেলাঃ -০.২৫।
৩। ঝালোকাঠি জেলাঃ -০.১৭।
৪। বরিশাল জেলাঃ -০.১৩।
ডেমোগ্রাফার ও পরিবেশবিদেরা মনে করছেন যে ১৯৬০ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে ঘুর্নিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতাবৃদ্ধি পেতে থাকায় এই অঞ্চলের লোকেরা দেশের ভেতরেই অন্যত্র পরিযাজন করছে।
গত ১২৫ বছরে বাংলাদেশের উপকূলে ৪২ টি প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় আঘাত হেনেছে। যার চোদ্দটি আঘাত হেনেছে গত ২৫ বছরে।
ম্যানগ্রোভ বন যে উপকূলীয় মানুষদেরকে এই ঘূর্ণি ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে কার্যকরি ভুমিকা রাখে আজ সেটা সারা বিশ্বে সর্ব জন বিদিত।
বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় ২০ শতাংশ আঘাত হেনেছে প্রথমে সুন্দরবনে। সুন্দরবন যদি না থাকে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের এই পরিযাজন বহুগূণে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এখানকার লোকেরা কোথায় যাবে? এখন আভ্যন্তরিণ পরিযাজনে যারা এসব এলাকা থেকে যেখানে যাচ্ছে সেখানেই যাবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন এন জি ও অন্যান্য সংস্থা তাদের গবেষনা শুরু করেছেএই পরিযাজনের ওপর। এই গবেষনা লব্ধ ফল এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছে নি।
বাংলাদেশ বিশ্বের নগর রাষ্ট্রগুলো বাদ দিলে সবচেয়ে ঘন বসতি পূর্ন দেশ। খুলনা ওবরিশাল বিভগের পরিযাজিত এই এই বিশাল জন সংখ্যার চাপ অন্য পাঁচটি বিভাগ সহ্য করবে কি করে?
দায়ঃ
1.MOL,2007. Inception Report of the Coastal Land Use Zoning Project.
2. CommunityBased Adaptation to Climate Change Through Coastal Afforestation in Bangladesh.GEF/UNDP funded project (July 2008 to June 2012).
3. Bangladesh Population and Housing Census 2011 : (Zila) at a glanceBangladesh Population and Housing Census 2011 : (Zila) at a glance:
সারনি পড়তে অসুবিধে হলে নীচের লিংকে গিয়ে খুলুনঃ
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩