খবর ১- রাজধানীতে কর্মরত অবস্থায় নারী চিকিৎসক কে ধর্ষণের পরে খুন।
ফলোআপঃ
-কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন ওয়েবসাইটে দায়সারা খবর প্রচার। একটি টিভি চ্যানেলের দাবি, এসব খবরের 'কাটতি' নেই।
-চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি।
-প্রধানমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তাও দেখা করেননি ভিকটিমের পরিবারে সাথে ।
-পুলিশের খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
-খুনি’র শাস্তি সম্পর্কে কেউ জানে না।
-যেহেতু মিডিয়াতে খবর আসেনি, সাধারন মানুষের ঘটনা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই।
খবর ২- ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণ।
ফলোআপঃ
-উত্তাল দিল্লিসহ সমগ্র ভারত। পথে নেমেছে আমজনতা, ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বুধবার পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়।
-কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং আরো অনেকে ভিকটিমকে দেখতে হাসপাতালে যান।
-এঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে পরে ভারতের সংসদ ও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ধরণের ঘটনা রোধে এক গুচ্ছ সুপারিশের কথা ঘোষণা করেন৷
-শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরের মিডিয়াতেও এই খবরের উল্লেখযোগ্য প্রচার হয়।
-অপরাধিকে শুধু ফাসি দিয়ে শাস্তি শেষ করতে চান না সেখানকার সুশীল সমাজ, আরও কড়া ব্যবস্থা যেমন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মাধ্যমে তিলে তিলে মারা, এমনকি অপরাধীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার কথা চিন্তা করছেন তারা।
তাৎপর্যঃ
১. নারীর নিরাপত্তা নেই কোথাও।
২. উপরোক্ত দুটি ঘটনারই ভিকটিম দুই চিকিৎসক নারী, যারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছিলেন। যারা নিরাপদে বেঁচে থাকলে তাদের কর্মজীবনে অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে পারতেন। উভয় রাষ্ট্রের জন্যই এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।
৩. বাংলাদেশ এই ক্ষতি কে কোন ক্ষতি মনে করেনি, খুনির কি শাস্তি হয়েছে কেউ খবর রাখেনি, ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
৪. অপরপক্ষে, আমাদেরই প্রতিবেশি দেশে যে তোলপাড় উঠেছে তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি।
উপসংহারঃ আমি ভারতপ্রেমী নই, অনেকে আমাকে ভারতের দালাল বলবেন, কিন্তু আমি শুধু একজন মেয়ে, দুর্ভাগ্যক্রমে একজন মেডিকেল ছাত্রীও বটে। তাই উপরোক্ত ঘটনার ভিকটিম একদিন আমিও হতে পারি। যদি তা হয়, সেক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশে নয়, ভারতে মরতে রাজি থাকব। অন্তত আমার সম্ভ্রমের মূল্য কেউ তো বুঝবে।