২০০৩ সাল। ডিএনএ ডাবল হেলিক্স গঠন আবিষ্কারের ৫০ বছর কেটে গেছে। এ উপলক্ষে আন্তঃবিদ্যালয় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম একটি প্রোজেক্ট নিয়ে। চারিদিকে ডিএনএ নিয়ে কত আলোচনা, সেমিনার আর কত বাহারি আয়োজন। চোখ ধাঁধিয়ে গেল।
মামা আমাকে একটা ভিজু্য়াল ডিকশনারি উপহার দিলেন একবার। সেখানে ক্লোনিং, অঙ্গ সংযোজন ইত্যাদি নানান বিষয়ে মজার মজার সব লেখা আর আকর্ষণীয় সব ছবি। যদিও বেশির ভাগ ব্যাপারই বুঝতে পারছি না তবুও ঘোরের মধ্যে পরে গেলাম। চোখ সরে না ছবি থেকে, মন উঠে না পড়া থেকে। বেচারা ইদুরের জন্য মাঝে মাঝে একটু কষ্টও হতে লাগলো।
গল্পের বইয়ের ভীষণ পোকা আমি। হরর উপন্যাস পড়ছিলাম একদিন। ক্লোনিং এর মাধ্যমে ফ্রাঙ্কেন্সটাইন তৈরি করা হয়েছে, তার কি ভীষণ শক্তি আর সাহস।
স্পাইডারম্যান সিনেমায় ডিএনএর কি চমৎকার খেলায় অতি সাধারণ একজন মানুষ হয়ে গেল বিখ্যাত মাকড়সা মানব। কি ফ্যান্টাসি!
প্রেমে পড়ে গেলাম ডিএনএর নানান কারসাজির! কিন্তু তখন জানতাম না সৃষ্টিকর্তা আমাকে একদিন সত্যিই জীব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য এনে দিবেন।
সপ্নবাজ আর কল্পনাবিলাসী বলে বন্ধুরা আমায় নিয়ে ঠাট্টা করে। তবুও আমি সপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমি সপ্ন দেখি, একদিন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জানবে জীব প্রযুক্তি সম্পর্কে। তখন আর বিশেষ আয়োজন করে মানুষকে জানাতে হবে না এর অপার সম্ভাবনার কথা। প্রতিটি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবে এর অবদান। বইয়ের পাতায় যে সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলার ছবি খুঁজে পাই, তা একদিন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবে জীব প্রযুক্তি এবং জিন প্রকৌশল এর কল্যানে।