আমি বই পড়ার আগে উৎসর্গপত্র পড়ি সবসময়। আর হুমায়ুন আহম্মেদের বই মানে সেরা উৎসর্গপত্র। উনি বই উৎসর্গ করে লিখতেন এভাবে - প্রিয়তমেষু , ভালমানুষেষু , সুকনিষ্ঠেষু, শ্রদ্ধাষ্পদেষু , যুগলেষু, স্বস্তিকারকেষু , মিসির আলি সন্ধানেষু ,শ্রদ্ধাভাজনেষু ।
লিলুয়া বাতাস বইয়ের উৎসর্গ পত্রে লিখেছেন - দীর্ঘদিন কেউ আমার পাশে থাকে না, একসময় দূরে সরে যায়।
হঠাৎ হঠাৎ এক আধজন পাওয়া যায় যারা ঝুলেই থাকে।
সেদিন চৈত্রমাস বইয়ের উৎসর্গপত্রের কিছুটা -
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি অতি বুদ্ধিমান কেউ কখনো ভাল মানুষ হয় না
তেতুল বনে জোছনা বইয়ের উৎসর্গ পত্রে লিখেছেন -
কিছু মানুষ আছেন যাদের দেখামাত্র মন আনন্দে পূর্ণ হয়, কিন্তু তারা যখন কাছে থাকেন না তখন তাদের কথা তেমন মনে পড়ে না।
আজ আমি কোথাও যাবো না
মানুষ পৃথিবীতে এসেছে পঞ্চ ইন্দ্রিয় নিয়ে। শোনা যায় কিছু মহাসৌভাগ্যবান মানুষ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নিয়েও আসেন। আমার কপাল মন্দ, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দূরের কথা পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের এক ইন্দ্রিয় কাজ করে না। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে আমি কোন কিছুর গন্ধ পাই না। ফুলের ঘ্রাণ, লেবুর ঘ্রাণ, ভেজা মাটির ঘ্রাণ... কোন কিছুই না।
বৃষ্টি ও মেঘমালা বইতে আছে -
মধ্যদুপুরে অতি দীর্ঘ মানুষের ছায়াও ছোট হয়ে যায়।
দিঘির জলে কার ছায়া গো বইটার উৎসর্গ পত্রে লিখেছেন-
কন্যা লীলাবতীকে। এই উপন্যাসের নায়িকা লীলা। আমার মেয়ে লীলাবতীর নামে নাম। লীলাবতী কোনোদিন বড় হবে না। আমি কল্পনায় তাকে বড় করেছি। চেষ্টা করেছি ভালোবাসায় মাখামাখি একটি জীবন তাকে দিতে।