somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তামান্না তাবাসসুম
আমি খুব পজেটিভ মানুষ। যা আমাকে পোড়ায় তা নিয়ে মাঝে-সাঝে লিখি। তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে একটা উপস্থিত কবিতা লেখা প্রতিযোগীতায় পুরস্কৃত হওয়ার মধ্য দিয়ে কলম ধরার যাত্রা শুরু

মায়া ও মরিচিকা

১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১।
পিয়াস অফিসের জন্য রেডি হচ্ছে। পেছনে পেছনে ইলা মুখে পরটা তুলে দিচ্ছে। আজ খুব লেট হয়ে গিয়েছে, বসে খাওয়ার সময় নেই। ইলাও নাছরবান্দা, বরকে কিছুতেই না খেয়ে বেরুতে দিবেনা।
আফিসে পৌছানোর এক ঘন্টা পরেই পিয়াস মেসেজ টাইপ করে- আজ কাজে একদম মন বসছেনা, সারাদিন তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছা করছে।
নাহ, পিয়াস মেসেজটা ইলাকে সেন্ড করেনি। পিয়াস ইলার প্রেমিক না, স্বামী ।

২।
আরিফের বোন এসেছে। ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় থেকে ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করবে।কতক্ষন আর পড়ে, সবসময় শুধু নাদিয়ার পেছনে ঘুর ঘুর করতে থাকে ।একটু শান্তিতে পিয়াসের সাথে কথা বলা যায়না। নাদিয়ার ফোনে নাকি সেলফি ভাল আসে, তাই ছবি তোলার জন্য শুধু ওর ফোন নিতে চায়। হার্ডবিট মিস হয়ে যায় নাদিইয়ার। কখন যানি পিয়াসের টেক্সট চলে আসে । সাত দিনেই পুরা হাপিয়ে উঠেছে সে। এর মধ্যে তিন দিন কথা কাটাকাটি হয়ে গেছে। আর পারা যাচ্ছে না। একটা বিহিত করতেই হবে।

-তোমার বোনের লেখাপড়ায় একটুও মন নাই, সারাদিন আমার পেছন পেছন ঘুরে। ওকে বরং হোস্টেলে রেখে পড়াও ।
-কিন্তু আমি ঢাকায় থাকতে ও হোস্টেলে থাকলে খুব খারাপ দেখা যায়।
- এগুলোর চাইতে ওর চান্স পাওয়ার ব্যাবস্থা করা বেশি দরকার।
-তুমি বরং ওকে একটু শাসন করো। কোথাও চান্স পেলে তখন ওখানকার হোস্টেলে থাকবে। এই কয়টা দিন এখানে থাকুক।
-তোমার বেয়াদব বোন কোন কথা শোনে নাকি? যা বলছি ওর ভালর জন্যই বলছি।

রাতে না খেয়েই শুয়ে পরেছিলো নাদিয়া। সকালে পিয়াসের এস এম এসের মৃদু আওয়াজেই ঘুম ভেঙে যায়। এতো বেলা হয়ে গেছে টেরই পায়নি , আরিফ সেই কোন ভোরে উঠে মেয়েকে স্কুলের জন্য রেডি করিয়ে বাপ বেটিতে বেরিয়ে গেল। ডাইনিংএ এসে দেখে রাইস কুকারে খিচুরি , পাশে চিরকুটে লেখা ‘ খেয়ে নিও’।
খিচুরির প্লেট নিয়ে পিয়াসকে কল করে ।
হ্যালো ম্যাম, ঘূম কেমন হল ?
আর বলোনা, গতকাল রাতে কুত্তাটার সাথে তুমুল ঝগড়া হয়েছে, রাতে না খেয়েই ঘুমিয়েছি।
- বলো কি ? সকালে খেয়েছো ?
- এইতো খিচুড়ি খাচ্ছি।
- আহারে খিদা পেটে ঐ জানোয়ারটার জন্য তোমার রান্না করাই ঠিক হয়নি। শয়তানটা অফিসে গেলে আমি তোমার আর মেয়ের জন্য নাস্তা পাঠিয়ে দিতাম।
- নাদিয়ে চুপ। খিচুড়িটা খুব ভাল রেধেছে আরিফ। সকালের ঘুমটা খুব প্রিয় নাদিয়ার, আরিফ সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হওয়াতে রক্ষা।
খিচুড়ি আরো অনেক আছে, শিমু নাখেয়েই কোচিংএ বেরিইয়ে গেছে। লাঞ্চ বক্সে খিচুড়িটা ভরে সেজেগুজে নাদিয়া মেয়ের স্কুলে রওনা দেয়। ঐ স্কুলেরই ডে শিফটের টিচার সে।
আজ পিয়াসের লাঞ্চ টাইমের দিকে নাদিয়ের দুইটা ক্লাস গ্যাপ, এই সুযোগে বেরিয়ে পরে।

- উফফ, কি দারুন রাধো তুমি নাদিয়া। তুমি কেনযে আমার বউ হলেনা ।
- কি বললে তুমি ? আমি বুঝি তোমার বউ না ? আচ্ছা তাহলে আমি যাই ।
- নাদিইয়ার হাত টেনে ধরে পিয়াস, আরো কাছে ঘেসে বসায়। রাগ ভাঙ্গাতে মেসেঞ্জারে নাদিয়ার নিক নেম ‘বউ’ লিখে সেভ করে।

৩।
লাঞ্চের পর ফ্রেশ মুডে অফিসের কাজগুলো সারে পিয়াস, ওভার টাইমেও তেমন ক্লান্তি লাগে না। নাদিয়া না থাকলে লাইফটা পুরা বোরিং হয়ে যেতো। রাত ১০ টায় বাসায় ফিরেই টিভির সামনে বসে পিয়াস। অফিসের পর বাসায় ফিরেই টিভি আর ফোন দুইটা একসাথে নিয়ে না বসলে রিফ্রেশ লাগেনা তার।
মেসেঞ্জারে টুং করে টেক্সট , বউ সেন্ড এ টেক্সট, -‘ কি করো’ ?
আরে ইলার কি মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি ? পাশের রুম থেকে ডাক দিলেইতো পারে। ওহ ,আচ্ছা এটাতো নাদিয়া। আজইতো নিক নেম চেইঞ্জ করলাম। রিপ্লাই করে পিয়াস – এখনতো তোমার বর বাসায়। নক করলে যে ?
- ঐ ভোম্বল দাসতো বাসায় আসার পর থেকেই ফোন নিয়ে বিজি। এক ঘন্টা ধরে গেম খেলছে। কোন সিভিক সেন্স ছাড়া একটা চিড়িয়া।
- বলো কি ! তুমি যদি আমার ঘরে থাকতা, তাহলে এমন মিষ্টি একটা বউ রেখে আমি আর কোন দিকেই মন দিতে পারতামনা কসম।

৪।
অফিসে সারাদিন কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়, তারপর বাসায় এসে টানা অনেকক্ষণ টিভি আর মোবাইল নিয়ে থাকায় মাথা ধরেছে পিয়াসের। ইলা মাথা টিপে দিচ্ছে আর সারাদিন কিহল নাহল সেসব গুটুর গুটুর করে বলছে। এই মেয়েটার হাতে অনেক মায়া আছে, মাথা ব্যথায় খুব আরাম লাগছে। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে আছে পিয়াস। এখন ইলার সারাদিনের গল্প শুনতে ইচ্ছে করছেনা। তার পরেও হু হা করছে। জয়েন ফ্যামিলিতে দুজনের জন্য আলাদা করে তেমন সময় পাওয়া যায়না, ঘুমের সময়টাই শুধু দুজনের প্রাইভেট টাইম। মেয়েটার অনেক ধৈর্য্য আছে, সবার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে থাকে।মাঝেমধ্যে যে টুকটাক লাগেনা তানা। নাদিয়া যেভাবে বলেযে ও ওর শশুড় বাড়ির জন্য কত স্যাক্রিফাইস করে তেমনটা দেখা না গেলেও অনেকটাই করে ইলা। এই মেয়েটার জন্য মনে অন্য রকম একটা জায়গা আছে পিয়াসের। প্রেমিকার মত জায়গানা, কেমন একটা মায়া মায়া। কিছু টাকা আলাদা করে রেখেছে। ওর জন্মদিনের গিফট হিসেবে সাজেক ঘুরতে নিয়ে যাবে।
৫।
শোননা জান , মা কিছুতেই রাজি হচ্ছেনা শিমুকে হোস্টেলে দিতে। তুমি আর কয়েকটাদিন সহ্য করো প্লিজ। কোথাও চান্স পেলেতো সেখানেই চলে যাবে। তখন আর বাসায় রাখবোনা বিশ্বাস কর সোনা।
নাদিয়ে বালিশ নিয়ে বিছানা থেকে নামতে যায়। আরিফ বলে, আচ্ছা বলো তোমার কি গিফট চাই। তার বদলে এই কয়দিন আমার বোনকে একটু সহ্য করো প্লিজ। রোজ রোজ এই অশান্তি আর ভাল লাগছেনা।
একটা হীরের নাকফুল খুব পছন্দ হয়েছে নাদিয়ার। কিন্তু আরিফের কাছে চাইবেনা। জানে ওর এখন হাতটান চলছে। সংসারের শান্তির জন্য হয়তো ধার করে দিবে। এভাবে খরচ করলে দিনশেষে নাদিয়ারই লস। এর চেয়ে আরিফের টাকা কিছু জমুক। ভবিষ্যতে কাজে দিবে।
ইনিয়েবিনিয়ে এই নাকফুল আদায় করতে হবে পিয়াসের কাছে। আরিফকে বলবে বাবার বাড়ি থেকে দিয়েছে। এতে করে নিজের দামটাও বাড়বে।
মেয়ের আবদারের কিছু খেলনা সেদিন পিয়াসকে দিয়ে কিনিয়েছিলো। বাচ্চাদের খেলনার যা দাম। সেটাও মেয়ের নানা দিয়েছে বলে চালিয়ে দিয়েছে।
-আমার কিচ্ছু চাইনা ,বলে বালিশ নিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে চলে গেল নাদিয়া।
৬।
বাবু শোন তোমার সাথে আমার কালকের পর থেকে অনেকদিন দেখা হবেনা, কথাও অনেক কম হবে। করোনার জন্য আমার স্কুল ছুটি আর কুত্তাটারও কাল থেকে হোম অফিস। এমনিতেই এই কয়দিন যা ঝামেলা চলছে, কিভাবে যে সারাদিন এক সাথে থাকবো আল্লাহ জানে।
এদিকে আমার অফিসতো ছুটি দেয়ার কোন নাম গন্ধ নাই। এর মধ্য কাল যা হল, বিনা কারনে ইলা চিল্লাচিল্লি করে মেজাজটাই খারাপ করে দিলো।তার নাকি জয়েন ফ্যামেলির বউ হয়ে জীবনটাই শেষ। এই দিকে আমি নাকি কেয়ারিং না, রোমান্টিক না আরো কত কি। আরে বাবা ওকে কি এখন সারা দিন কোলে নিয়ে রাখতে হবে নাকি। কিছু কি কম দেই নাকি।
তোমার বউয়ের বেশি আদিক্ষেতা, তুমিও বেশি মাথায় উঠায় ফেলছো। আমার জামাইয়ের মত খারুজ একটা জামাই পাইতো তেইলে বুঝতো। আর ননদকে তো নিজের বোনের চাইতেও বেশি করি। ভাললাগেনা আমার এমন জীবন জানো।
থাক, মন খারাপ করোনা সোনা। সমাজের ভয় না থাকলে আমি কবেই তোমাকে এই নরক থেকে বের করে আনতাম।

আপাতত চোখ বন্ধ করোতো, দেখি তোমার মন ভাল করতে পারি কিনা।
নাদিয়া চোখ খুলে দেখে তার চোখের সামনে একটা হীরার নাকফুল। আনন্দে দোখ চিকচিক করে ওঠে ওর। নিজেকে খুব হিরো হিরো মনে হয় পিয়াসের। নাদিয়ার চোখে এমন হিরো হওয়ার জন্যই সাজেক টুরের জন্য আলাদা করে রাখা টাকা থেকে খরচ করে ফেলে। ওসব টুর পরেও করা যাবে, ইলাতো আর চলে যাচ্ছে না।
৭।
পরদিন অফিস টাইমে হোয়াটসএপে একটা ভিডিও আসে বউ নামে সেভ করা নাম্বার থেকে। নাদিয়া দিনে তিন চারটা লেইম লেইম মেম আর ভিডিও পাঠায়। ওগুলা নিয়ে আবার ওর সাথে আরো লেইম কনভারসেশন চালিয়ে যাওয়া লাগে। মাঝে মাঝে না দেখেই হাহা স্টিকার দিয়ে দেয় পিয়াস।
এই ভিডিওটা ওপেন করে দেখে সত্যিই অনেক ফানি। অফিসেই শব্দ করে হেসে দেয় পিয়াস। এ নিয়ে দু একটা কনভারসেশন চালিয়ে যায় দুজন।
অফিস থেকে ফেরার টাইমে নাদিয়ার মেসেজ গুলো ডিলেট করতে গিয়ে খেয়াল করে, আরে! এটাতো ইলা পাঠিয়েছিলো! বিয়ের পর দিন থেকেই ইলার নাম্বার বউ নামে সেভ করেছিলো সে, তাই হোয়াটসেপেও বউ শো করে। এদিকে সেদিন মেসেঞ্জারে নাদিয়ার নিক নেম বউ দেয়াতে হয়েছে এক ভেজাল। নাইলে ইলা এসব ট্রল পাঠালেতো ওপেনই করতোনা পিয়াস। নাহ্ ইলার সেন্স অব হিউমার দেখা যায় ভালই।
ডিলিট অপশন থেকে আঙুল সরিয়ে নেয় পিয়াস। বাহ্, বউয়ের সাথে চ্যাটিং করতেতো ভালই মজা। কারো কাছে ধরা খাওয়ার টেনশন নাই। ডেইলি কল স্টোরি, মেসেজ স্টোরি ডিলিট করাও একটা ঝামেলার কাজ।
৮।
বাসায় এসে যথারীতি টিভি আর ফোন একসাথে নিয়ে বসলো পিয়াস। নাদিয়া আনলাইনে না থাকায় খালি খালি লাগছে, ভাল লাগছেনা কিছু। এমন সময় কারেন্ট চলে গেল, টিভি নাই, ওয়াইফাইও নাই।
বারান্দায় বাতাসে বসার জন্য বেড রুমের দিকে যেতেই দেখে ইলা আলনার কাপড় গোছাচ্ছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে।
আরে, ইলাযে চমৎকার গান করে এটাতো মনেই ছিলোনা পিয়েসের।
ইলার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেল পিয়াস। ইলার কন্ঠে শুরু হল পিয়াসের অনুরোধের গানের আসর। গানের সুরে ভেসে যাচ্ছে রাত। কাল থেকে পিয়াসেরও হোম অফিস। সকালে ওঠার তাড়াও নেই। অনেক দিন পর চমৎকার একটা সময় কাটালো এই দম্পতি ৷
৯।
পিয়াসের প্রতিদিন একি রকম রুটিন লাইফ থেকে বেরিয়ে এসে মন ফুরফুরে লাগছে। ঘরে থেকে বুঝতে পারছে ইলা রোজ কত কাজ করে সারাদিন। পিয়াস টুকটাক হাত লাগাচ্ছে ঘরের কাজে। তখন ইলার চোখে খুশির ঝিলিক দেখে মন ভরে যাচ্ছে ওর।
আগে নিজেকে ঘরের গেস্ট গেস্ট মনে হত, এখন মেম্বার মনে হচ্ছে।
ইলার সাথে রোজই অনেক রাত পর্যন্ত গল্প হচ্ছে। ওর গপ্লের ঝুলিতে বরকে বলার জন্য কত গল্পযে জমানো ছিলো। পিয়াসও ওর ঝুলি খুলে বসেছে। এখন মনে হচ্ছে এতোদিন যে নাদিয়া আর কলিগদের সাথে সব গল্প করতো ওইগুলো ইলার সাথে শেয়ার করলে আরো বেশি জমতো। ইলা বেশ গল্প জমাতে পারে।
১০।
কিচ্ছু ভাল লাগছেনা। দেশে করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। সেই সাথে লক ডাউনের ফলে ইনকাম বন্ধ কত কত মানুষের। পংগপাল নাকি ধেয়ে আসছে। কেয়ামতের বুঝি আর বেশি বাকি নাই। মসজিদও বন্ধ।
গা টা ম্যাজম্যাজ করছে।মনে কেমন একটা মৃত্যু ভয় কামড়ে ধরে পিয়াসকে। কত পাপই না করেছে জীবনে।
করোনা হলে কেউ কারো পাশে থাকবে না। এখনিতো পরিবার ছাড়া আর কেউই নাই পাশে।
তিন চার দিন পর পর নাদিয়া দুই একটা টেক্সট দিচ্ছে। এখন পাঠিয়েছে, আচ্ছা পিয়াস আমি তোমার কি হই? খুব জানতে ইচ্ছা করছে। পিয়াস দ্রুত রিপলাই দেয় -তুমি আমার সব। সেন্ড হওয়ার সাথে সাথে ডিলিট করে দেয় মেসেজটা।
ইলা কি এক নতুন টাইপ কফি নিয়ে আসে। ইদানিং নতুন সব রেসিপি ট্রাই করছে ও।
পিয়াস বলে বস, তোমার সাথে জরুরি মিটিং আছে।
আমাদের যে ফ্ল্যাটের কাজ অর্ধেক কম্পলিট আমি না থাকলে ওইটা তুমি কম্পলিট করতে পারবা না?
ইলার হাসি মুখ কালো হয়ে যায়। কি বলো এই সব ?
পিয়াস বলে যা দিন কাল পড়েছে। কখন কি হয়। মরে গেলে মাফ টাফ করে দিও বউ।
আমার একটা ডিপিএস যে তোমার নামে নমিনি আছে ওই চেক বই গুলা আলমারির নিচের ড্রয়েরে নীল ফাইলটাতে আছে।
আমার যা আছে বুঝে নিতে পারবাতো?

১১।
পিয়াসের ঠান্ডা জ্বর, ইলা মশলা চা বানাচ্ছে। এমন সময় মেসেঞ্জারে টুং করে আওয়াজ এলো।- আমাকে এই কদিন টেক্সট করোনা। তোমাকে আপাতত ব্লক করে দিলাম। কুত্তাটা খুব সন্দেহ করছে ইদানিং। আমি নিজে কল দেয়ার আগে আর কল দিও না।
জ্বরের ঘোর লাগা চোখে মেসেজটা দেখা মাত্র ডিলেট করতে করতে পিয়াসের মনে হচ্ছে, নাদিয়ার বর যদি বাকি জীবন এভাবেই সন্দেহ করে যেত, চোখে চোখে রাখতো....।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×