
কপিজ্ঞতা-১
কয়েক বছর আগের কথা। তখন আমি সিলেট শহরেই থাকি। ওখানকার একটা মেয়ের সাথে প্রায়সই মোবাইলে কথা হত। মেয়েটির নাম ছিল মিষ্টি। খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পারত। রসের ভাষায় বলতে গেলে, ওর কথায় যেন মিষ্টি ঝরতো। এমন মিষ্টি মেয়ের সাথে প্রেম করা ভাগ্যের ব্যাপার।
ভাবলাম, অবশেষে খোদা তা'য়ালা আমার দিকে মুখ ফিরে তাকিয়েছেন। খোদা তা'য়ালাকে ধন্যবাদ দিলাম এবং খোদা তা'য়ালার প্রেম মিশ্রিত চাহনির মহত্ব রক্ষার্থে মিষ্টিকে আমার প্রেমে ফাঁসাবো বলে প্রতিজ্ঞা করলাম।
মিশনারী সিস্টেমে তাকে পটানোর জন্য একাধারে ১০মাস কথা বললাম। মিশন ভালোমতোই এগুচ্ছিল কিন্তু দুবার সে ডেটিং এর তারিখ মিস করলো, তৃতীয় বার তারিখ নির্ধারণের সময় বলেই দিল
-ভাইয়্যা, মাইন্ড করবেন না প্লিজ, আমি যদি মেয়ে হতাম , এতদিনে পটেই যেতাম



# পরে বুঝতে পারলাম, ছেলেটি চায়না মোবাইলের Magic voice আপশনটির সাহায্যে এতোদিন আমার সাথে চুটিয়ে প্রেম করেছে



কপিজ্ঞতা-২
উত্তরায় হঠাৎ এক বাল্য বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ ।
-কিরে দোস্ত তুই এখানে!
-আমার তো এখানেই বাসা, তুই তো আগের জায়গাতেই আছিছ তাই না?
-হ্যা আগের জায়গাতেই, তা কেমন আছিস?
-এই তো আছি ভাল, তুই কেমন আছিস?
-আলহামুলিল্লাহ চমৎকার আছি।
-শালা, বিয়ে করেছিছ?
-নারে, দেখা-সাক্ষাৎ চলছে।
- এখনো বিয়েই করছ নাই, তারউপর চমৎকার থাকিস কেমনে?
-আরে শালা কয় কী! বিয়ে না করলে কি চমৎকার থাকা যায় না?
-চমৎকারের আসল স্বাদ না পেলে চমৎকার কেমনে থাকবি বল!
-রাখ ঐসব, তা তোর বাচ্চাকাচ্চা কয়টা?
-এই তো দুইটা মেয়ে দুইটা ছেলে!
-শালা, চারবছরে চারটা নিয়ে আসলি! আচ্ছা দুস্ত, পারসোনাল একটা কথা জিজ্ঞেস করি!
-হু কর
-তুই কি তোর বউয়ের দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছিছ?
-নারে, এখনো দেয়া হয়নি।
- শালা, স্ত্রীর সঠিক প্রাপ্য দেয়ার বেলায় নাম নাই, বাচ্চা নেয়ায় উস্তাদ।