কার্শফ’স ভোল্টেজ লঃ
কোন বদ্ধ লুপে উপস্থিত সবগুলা ভোল্টেজের বীজগাণিতিক সমষ্টি শূন্য।
বীজগাণিতিক বলতে দিক বা চিহ্ন বিবেচনা করতে হবে। ঠিক আগের কার্শফের কারেন্ট ল এর মত।
নিচের ছবিতে Va=12v হলে Vb=-12v হবে।
এখন নিচের বদ্ধ লুপটা বিবেচনা করি।
কার্শফের সুত্র প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই সমস্ত ভোল্টেজ গুলাকে কোন এক দিকের ক্রমানুসারে ধরতে হবে। হয় ক্লকওয়াইজ (ঘড়ির কাঁটার দিকে) অথবা কাউন্টারক্লকওয়াইজ (ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে)।
আমি ক্লকওয়াইজ (ঘড়ির কাঁটার দিকে) ধরব। সূত্রে ভোল্টেজের পোলারিটি নির্ণয় করার নিয়ম হলঃ
লুপে ঘুরতে ঘুরতে কোন ভোল্টেজ এর সাথে দেখা হলে ওইটার যে দিকটা (চিহ্নটা) সামনে পড়বে সেটাই সূত্রে বসবে। যেমন উপরের ছবির সার্কিটে ক্লকওয়াইজ দিকে কার্শফের ভোল্টেজ ল প্রয়োগ করলে পাওয়া যাবেঃ
-Va +Vc +Vd –Vb+Ve = 0 বা, Va + Vb = Vc + Vd + Ve
আবার কাউন্টার ক্লকওয়াইজ দিকে কার্শফের ভোল্টেজ ল প্রয়োগ করলে পাওয়া যাবেঃ
Va – Ve + Vb – Vd – Vc = 0 বা, Va + Vb = Vc + Vd + Ve অর্থাৎ একই উত্তর।
ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে এই ২ টা হল সোর্স ভোল্টেজ , মানে এরাই পুরা সার্কিটে শক্তি সাপ্লাই দিচ্ছে। আর এই ৩ টা হল আসলে ৩টা রেজিস্টরের ভিতর ভোল্টেজ ড্রপ। যেহেতু, রেজিস্টর কারেন্ট কে বাধা দেয়, তাই এর ভিতর কারেন্ট প্রবাহ করতে হলে কিছু শক্তি খরচ করতে হবে। সেটাই ভোল্টেজ ড্রপ।
আর কার্শফের ভোল্টেজ ল থেকে বুঝা যায় যে, কোন সার্কিটের ভোল্টেজ সোর্সগুলার মোট শক্তি সবগুলা এনার্জি কনজিউমার বা রেজিস্টরের ভিতর বন্টন হয়ে যাবে। মানে মোট ভোল্টেজ ড্রপ এর পরিমান হবে মোট সোর্স ভোল্টেজ এর পরিমানের সমান এবং দিক হবে একই ক্রমে একে অপরের বিপরীতমুখী ফলে এদের যোগ করলে তা হবে শূন্য।
কার্শফের ভোল্টেজ ল এর একটা প্রাক্টিকাল উদাহরন হল সিরিজে যুক্ত একাধিক ভোল্টেজ সোর্সের মোট ভোল্টেজ বের করা। যেমন নিচের ছবি থেকে দেখিঃ
-V + Va + Vb – Vc = 0 বা, V = Va + Vb - Vc
এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে। সবসময় ফিজিকালি ভোল্টেজ সোর্স দিয়ে লুপ বানানো থাকতে হবে এমন কোন কথা নাই।
সার্কিটে যদি কোথাও ২টা খোলা মাথা থকে তবে সেখানে একটা ভোল্টেজ কল্পনা করলেও হবে। এই সিস্টেম কাজে লাগানো হয় কোন জটিল সার্কিটের যেকোন স্থানের খোলা ২ মাথার ভোল্টেজ নির্নয় করার কাজে।
ও আচ্ছা একটা কথা বলা হয়নি। কার্শফের এই সূত্র ২ টাকে সংক্ষেপে কেসিএল (কার্শফের কারেন্ট ল) আর কেভিএল (কার্শফ’স ভল্টেজ ল) বলে।
ওক্কে। আজ এই টুকুই। ভাল থাকবেন সবাই।
আগের গুলো:
ইলেকট্রনিক্স এর খুঁটিনাটি - পর্ব ১(সূচনা সাথে ভোল্টেজ ও কারেন্ট এর ধারনা। )
Click This Link
ইলেকট্রনিক্স এর খুঁটিনাটি পর্ব ২( ভোল্টেজ -কারেন্ট শেষ পর্ব + রেজিস্টর নিয়ে আলোচনা )
Click This Link
ইলেকট্রনিক্স এর খুঁটিনাটি পর্ব ৩( রেজিস্টর কালার কোড + আপেক্ষিক রোধ)
Click This Link
ইলেক্ট্রনিকসের খুঁটিনাটি - পর্ব ৪ (সিরিজ - প্যারালাল আলোচনা)
Click This Link
ইলেক্ট্রনিক্সের খুঁটিনাটি -পর্ব ৫(ভোল্টেজ ডিভাইডার + কারেন্ট ডিভাইডার)
Click This Link
ইলেক্ট্রনিক্সের খুঁটিনাটি –পর্ব ৬ ( কার্শফ’স কারেন্ট ল )
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ১০:১৩