আচার গোস্ত
উপকরনঃ গরু বা খাসির মাংস ১কেজি, পেঁয়াজ মাঝারি ৫টা ৪টুকরো করা, রসুন ১টেবিল চামচ, আদা দেড় টেবিল চামচ, জিরাগুড়ো ১টেবিল চামচ, ধনেগুড়ো ১টেবিল চামচ, হলুদ, দেড় চা-চামচ, মরিচ ২ চা-চামচ, গরম মশলা, লবন পরিমান মত, তেজপাতা ২টি, তেল পরিমান মত, আমের আচার ২টেবিল চামচ।
প্রনালীঃ মাংস ধুয়ে সব উপকরন একসাথে মাখিয়ে পরিমান মত তেল দিয়ে চুলায় কম আচে ঢেকে দিবেন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। মাংস ভালোমত কষানো হলে ১কাপ পানি দিন। কম আচেই রাখুন। সিদ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠলে নামিয়ে নিন।
প্রেসার কুকারে রান্না করলে মাংসটা কষিয়ে ১কাপ পানি দিয়ে কুকার বন্ধ করে চড়া আচে রাখুন। একটা সিটি দিলে আচ কমিয়ে দিন।২০/২৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নেড়ে দেখুন। প্রয়োজনে অল্প পানি দিতে পারেন।
*** গরু বা খাসির মাংস আমি হাতে মেখেই রান্না করি। আর আচারের কারনে মাংসটা তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়।
এঁচোড় গরুর মাংস
(কাঁচা কচি কাঠাল)
উপকরনঃ গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ করা এঁচোড় ২কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধ কাপ, আদাবাটা ২টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১টেবিল চামচ, হলুদ ১ চা-চামচ, মরিচ ২চা-চামচ, জিরাবাটা ১টেবিল চামচ, গরম মশলা, লবন পরিমান মত, তেজপাতা ২/৩টি তেল আধ কাপ।
প্রনালীঃ মাংস ধুয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, জিরা ও লবন দিয়ে মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষন। তেল গরম করে তেজপাতা, গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে মাংস ঢেলে দিন। ভালো করে কষান। প্রয়োজন মত পানি দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে এচোড় দিন। আবার কষান। মাখা মাখা থাকতে নামিয়ে নিন। এ রান্নায় ঝোল হবেনা।
চিংড়ি দিয়ে এঁচোড়(শুটকি)
উপকরনঃ এঁচোড় ২কাপ সেদ্ধ করা, ছোট চিংড়ি আধ কাপ, চ্যাপা শুটকি ৩/৪টা, রসুন বাটা অথবা কাটা ১টেবিল চামচ, হলুদ ১চা-চামচ, মরিচ ২চা-চামচ, কাঁচামরিচ ফালি করা ৮/১০টা, তেজপাতা ২টা, তেল লবন পরিমান মত।
প্রনালীঃ তেল গরম করে তেজপাতা ও রসুন হাল্কা লাল করে ভেজে ১কাপ পানি দিন। হলুদ, মরিচ, লবন কাঁচামরিচ দিন, চ্যাপা শুটকি ধুয়ে মশলার সাথে দিয়ে দিন। ভালো করে কষান। পানি শুখিয়ে গেলে চিংড়ি দিয়ে একটু ভাজুন। এঁচোড় দিয়ে ভালো করে কষিয়ে আধ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুখিয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
সাধারনত আমি এঁচোড়টা ঘুটে ভেঙ্গে ফেলি। এটা যার যার ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। আর ঝাল কম খেলে মরিচের পরিমান কমিয়ে দিবেন। শুটকি না খেতে চাইলে শুধু চিংড়ি দিয়েই এটা রান্না করতে পারেন।
*** এচোড়ের তরকারীর ছবি দিতে পারলাম না। তবে ঘরে এচোড় সেদ্ধ করা আছে, যেদিন রান্না করবো, দিয়ে দিবো। এটা এখুনি দেয়ার উদ্দেশ্য হলো, এখনো গাছে কাঁচা কাঠাল পাওয়া যাবে। এচোড় রান্না করতে খুব কচি কাঠাল প্রয়োজন। সবুজ দেখে নিবেন।
*** আপনাদের পছন্দ হলে আগামীতে এচোড়ের নিরামিষ ও অন্য রেসিপি নিয়ে আসবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭