প্রশ্ন রাখলাম মেঘনা নদীর কাছে-
তুমি কি জান সাধারণ জনগণ কেমন তারা
নরনচড়ন হাঁটার ধরণ
চিন্তাচেতন বলার ধরণ?
হাসে মেঘনা ,ঢেউয়ের বুকে সূর্যের ঝিলিক
বলে-বোকা!লাল হলো কি তোর চিবুক।
হেসে বলি-বলোনা তাদের কথা
যমুনা উঠে ঝলমলিয়ে,বলে-
সংখ্যায় তারা অনেক।
ওই যে যারা লজ্জা পেতো-ভাসুরের নাম মুখে আনতে
বলতো যারা শুধু হানাদার,বলতো যারা গন্ডগোলের বছরই ছিল ওটা
মুক্তিযোদ্ধার পিঠে মারতো লাথি।
ভুলে গেলি সব ভুলে গেলি?
আমরা যে তখন আসিনি এই পৃথিবীতে, কেমন করে জানি? কেমন করে জানি?
রেগে উঠে যমুনা নদী,শুকিয়ে যায় তার জলরাশি
ক্ষিপ্ত সুরে বলে শুধু-ধর্ম বেচো যত্রতত্র
অর্থ-নারী আর ক্ষমতার মোহে বেচে দাও যত নীতি।
হতাশ আমি, হতাশ ধুলো, হতাশার ঢেউ ভাঙ্গছে হাঁসের দল
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ দেখতে কেমন বলবেনা কি কেউ?
আকাশ জুড়ে আঁধার নামে,শকুনের দল জোড়ায় জোড়ায়
ভাগাড় হবে আমার দেশ বসে আছে সেই কি আশায়?
তারোস্বরে চেঁচিয়ে বলে- চেতনা বেচো?এখানে নেই কোন ক্রেতাই
বললে কি বলবে ,-তোমরা রাজাকার আর আলবদর সবাই।
মেঘনা এলো,যমুনা এলো,
পদ্মা এলো শিরদাঁড়া তার উঁচু,মিষ্টি হেসে
সবাই বলে-ওই তো ওরা,ওরাই তোমার সাধারণ জনতা
চিনতে বুঝি কষ্ট ভারী ?ভয় পেয়োনা-বরগী এলো,বরগী গেলো
সাদা চামড়া দেশ ছাড়লো,পাকবাহিনী হার মানলো
ফাঁসীর দড়ি ঝুলিয়ে দিলো
ওরা সবাই সাধারণ ছিলো,জানলো নাকি কেউ।
০১/০৮/২০২৮
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬