somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিচ্চি এবং এস্কেলেটর!!!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন অনেকদিন পর আমার এক বোনকে নিয়ে বেড়াতে বের হলাম। ওর ইচ্ছাতেই বের হলাম। ইদানিং আমি একদম বের হইনা। সারাক্ষণ বাসায় বসে থাকি। :( আমি না গেলে বেচারীও যেতে পারবে না যাই যেতেই হলো। আপুও বলল যাও ঘুরে আসো ভালো লাগবে। তো দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বের হয়ে পড়লাম!

বের হতে হতে ঘুরতে যাওয়াটা মুভ্যি দেখবার প্যান হয়ে গেলো! যাবার আগে আমি ভাবছিলাম ছুটির দিন, ভীষণ ভীড় থাকবে। শুধুশুধু বিরক্ত লাগবে কিন্তু গিয়ে দেখলাম একদম খালি! :) গিয়েই টিকিট কেটে ফেললাম। হাতে কিছু সময় আছে, ভাবলাম ঘুরাঘুরি করে শপিং করি। আফটার অল শপিং করলে মন ভালো না হয়ে উপায় নেই :) নিচে নামতে নামতেই ওর নাকি খিদে পেয়ে গেলো। :| আবার উপরের দিকে রওনা দিলাম। /:) উপরে উঠতে উঠতে দেখি অপর পাশে দেখলাম পিচ্চি একটা বাচ্চা ছেলে দাড়িঁয়ে আছে। পিচ্চিটা ভীষণ কিউট। এস্কেলেটর দিয়ে নামতে খুবি ভয় পাচ্ছে। ওর বাবা ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে আগেই নেমে গেছে। আশেপাশে আর কাউকে দেখলাম না। বাবা বললো, নেমে আসো। পিচ্চি বলে, আব্বু ভয় লাগে। ওর কথা শুনতে আর ওকে দেখতে ভীষণ মজা লাগছিলো। একবার পা বাড়ায়, আবার ভিতরে নিয়ে বলে, আব্বু ভয় পাই। ও এমন করতে করতে আমি উপড়ে এসে পড়লাম। আমার বোন বলছিলো তুই কি ওকে নিয়ে যাবি...আমি ততক্ষণে পিচ্চিকে কোলে নিয়ে সিঁড়িতে উঠে গিয়েছি। পিচ্চি ভীষণ অবাক হয়ে আমার দিকে অপলক তাকিয়ে রইল। পিচ্চিকে দেখে এত্ত মায়া লাগলো। ইচ্ছা করলো গালে টিপে আদর করে দেই কিন্তু দিলাম না যদি চিৎকার করে কেঁদে দেয় মানুষ ভাববে ছেলেধরা!!! আরও মজার লাগলো পিচ্চির আর আমার পোশাকের রং মিলে গিয়েছে! দু'জনেই চকোলেট কালার পড়া। পিচ্চির সাহস যাতে বাড়ে তাই কোল থেকে নামিয়ে সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে দিলাম। তখন ওর বাবা দেখলো, দেখে নিচ থেকে শিখিয়ে দিলো, বাবা, থ্যাংক য়্যূ বলো। পিচ্চি সিঁড়ির হাতল ধরে খুব কিউট করে বললো, থ্যাংক য়্যূ... :) আমার ইচ্ছা করলো ওকে কাঁচা খেয়ে ফেলি!

তখন দেখলাম ওর মা এসেছে। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে বললো, থ্যাংক য়্যূ। বললাম, ঠিক আছে ও তো ভয় পাচ্ছিলো। আমার কি হলো! আমি এস্কেলেটর দিয়ে পুরোপুরি নিচে না নেমে ঘুড়ে উপরে উঠা শুরু করলাম। :) মহিলা ভীষণ অবাক হয়ে গেলো আর আমার বোন উপর থেকে বলছে, এই তুই কি করিস পড়ে যাবি তো!

হিহিহি...আমার ভীষণ মজা লাগছিলো এভাবে উঠতে। এভাবে উঠায় দারূণ মজা। খুব রিস্কি কিন্তু এই রিস্কটাই আসল মজা B-) উঠে অবাক হয়ে হা করে থাকা মানুষদের আরও অবাক করে দিয়ে হাহাহা... করে হেসে দিলাম। :) অনেকদিন পর এভাবে প্রাণ খুলে হেসে মনে হল ভিতরে গুমোট বেঁধে থাকা অনেক কিছু বের হয়ে গেলো! যাক, এখানে আসাটা তাহলে স্বার্থক হলো!

উঠার সময় আমার অনেক সাধের নতুন জুতোয় খোঁচা লেগে উঠে গিয়েছিলো। :( কিন্তু আমার মনে হয়েছিলো এমন জুতা আমি অনেক কিনতে পারবো কিন্তু সেদিনের ঐ পিচ্চিটায় অবাক চাহুনী, ঐ হাসিটা, ঐ মজাটা, ঐ অভিজ্ঞতাটা অমূল্য ছিলো!

[সংবিধীবদ্ধ সর্তকীকরণ: এস্কেলেটরে উল্টোভাবে উঠা-নামা করায় ভয়ানক দুর্ঘটনার আসংঙ্কা রয়েছে]
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১৮
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×