আমার জীবন টা নিয়া অনেক সময় অনিশ্চয়তায় ভুগি৷ তাই তো সেই ক্লাস থ্রি থেইকা ঘর পালানো অভ্যাস টা পেলাইতে পারিনি। আগে ঘর পালাইতাম। আর এখন ঘর ছাইড়ার অনুমতি নিয়া জব ধইরা, সেই জব ছাইড়া পালায় বেড়ায়। বেহুশ হইয়া দিকবিদিক ছুটে বেড়ায়।
গত চার দিন ধইরা জবে যাওয়ার নাম নিয়া ঘর থেইকা বের হইছি৷ একটা সুন্দর প্ল্যান করছিলাম। সুন্দরবনে দিকা যাইয়ুম৷ গহীন জংগলে গিয়া স্বয়ং আত্মা টারে প্রাকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিবো।
কিন্তু হঠাৎ প্ল্য্যন টা ভেস্তে গেল একটা ঘুমে। এক ঘন্টার ঘুম। এই এক ঘন্টার ঘুম আমারে আবার সামাজিকে ফিরে আনলো।
গত দেড় মাস ধইরা প্রত্যেক দিন গাঞ্জা ফুঁকে আসতেছি। হাটতাম, চলতাম, ঘুরতাম, বন্ধুদের লইগা আড্ডা মজাইতাম, লগে তো মাস্টারবেশন আছেই। এই সব কিছু যে হুশে না বেহুশে করতাম নিজেও জানিনা৷
কিন্তু, গত দুই দিন ধইরা গাঞ্জা ফুঁকতে পারিনি। আর লগে তো ছিলোনা ঘুম। তার উপর মেইল ট্রেন ধইরা দরজা লইগা বইসা ঢাকায় পাড়ি দিলাম। প্রচন্ড মাথা ব্যথা লগে দুই পায়ের ব্যথাও যোগ হইলো।
সকাল দশটা থেইকা কমলাপুর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে বইসা আছি। লগে তো ছাদ পাকাও চলতেছে। কিছুক্ষণ পর পর আন্তঃনগর ট্রেন গুলা আসে। হরণ বাজাই বাজাই। মানষের ছ্যারেত ছ্যারেত পায়ের আওয়াজ। হকারের দৌড় ঝাঁপ। তার ভিতরে ক্ষণিকের ঘুম টা আশির্বাদ হয়ে আসলো।
মাথা থেইকা প্রিয় শয়তান টা পালাইছে। মরা ভুতের সব প্ল্যান ভাইস্তা গেলো। ফিরে আইয়া পড়লাম আবার বাস্তবে। পুরানা কোম্পানির মালিকরে কল দিয়া জবের বন্দোবস্ত কইরা ছাড়লাম।
এখন বইসা আছি ফিরতি ট্রেনের জন্য। আবার চাকরি জীবনে বন্দী হইতে যাচ্ছি।
"এই যে এতো কথা বললাম নিজের সম্পর্কে। হঠাৎ হঠাৎ আমার ভিতরে এতো এতো উদ্ভট ভাবনা গুলো যে দানা বাঁধে। এই বাঁধ টারে স্বাভাবিক নিয়া আসতে পারিনা। এই উদ্দেশ্যহীনতার ভূগার কারণ টাই বা কি "
পিকলো : কমলাপুর রেল স্টেশন।
দুই টা উনিশ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৯