তোমাকে কবিতার চরণ দিয়ে
একটা কাব্য উৎসর্গ করব বলে,
রবিবাবুর কবিতা নিয়ে বসেছিলাম,
ধার নেব ভেবে,
পেয়েও গেলাম একখানা মনমতো।
সে কবিতার ছত্রে ছত্রে মায়া,
কবির অচেনা মানসসুন্দরীর জন্য।
অভিমান, অভিসার, অভিনন্দন
কবিতায় এমন অনেক কিছুই আঁচ করা গেল
কিন্তু সেই আঁচ
আমার গাকে পুড়ালো না,
হৃদয়কে তো নয়ই।
জানি না কখন, কেন, কীভাবে,
কবিতার কোন এক ছত্র থেকে তোমার আঁচ
এসে আমার হৃদয়ে লাগলো,
আর অবাক ব্যাপার!
সেই আঁচে আমি পুড়ে নয়, ভিজে যেতে থাকলাম
কেননা তুমি তখন সেখানে বৃষ্টিধারায় ঝরে পড়ছিলে
তোমার প্রতি অভিমানগুলো
তোমার সাথে অভিসারগুলো
তোমায় দেয়া অভিনন্দনগুলো
সে কবিতায় ঝরে যেতে থাকলো বৃষ্টির মত।
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা তোমার দুইআঁখি, জোড়াপল্লব
আমায় কবিতার দ্বিপদী ছন্দ শেখালো,
তোমার অধরোষ্ঠের জটিল রেখাগুলো
আমায় বোঝালো কবিতার ব্যাকরণ,
তোমার এলোচুল হয়ে উঠলো কবিতার কালো অক্ষর,
কখন যেন তোমার মুখশ্রী
সন্ধ্যার শ্রী রাগের মতন বিষণ্ণতা নিয়ে এল আর তারপর
আমার কবিতা হয়ে উঠলো ভাবপ্রবণ,
তোমার বৃষ্টিধোয়া বিশেষ্যরাজি আমার কবিতায় চরণ হয়ে উঠলো
তারপর আমি শুরুর সব কথা
ভুলে গেলাম আর,
তোমায় দিয়ে উৎসর্গ করলাম তোমাকে।