১।ফুজিয়ামা পর্বত
টোকিও থেকে হিরোশিমা যাচ্ছিলাম প্লেনে করে। সকাল দশটা হবে সময়। হঠাৎ চোখ পরে গেল জাপানের বিখ্যাত সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিয়ামার উপর। তাড়াতাড়ি একটা ক্লিক নিলাম। এমন আকাশ থেকে নেয়া ফুজিয়ামার ছবি মনে হয় খুব একটা নেই।
সেই সময় আমার মেয়ের জন্মদিন ছিল। মেয়েকে আস্ত ফুজিয়ামা পাহাড়ের কেকআইসক্রীম ছবিটা উপহার পাঠিয়ে ছিলাম। সেবার প্রথম ওর জন্মদিনে ওর সাথে ছিলাম না।
২। রঙধনু
নায়েগ্রা ফলস পৃথিবীর বিখ্যাত একটা ফলস। অজস্র জল ক্রমাগত ঝরে পরছে সেখানে উপর থেকে নিচে। প্রচণ্ড শীতে যখন জমাট বেঁধে যায় পানি তখনও এই জল প্রবাহমান থাকে। কিছু কিছু কিনারায় এবং মধ্যবর্তি স্থানে অবশ্য জমাট বাঁধা আইসস্কেল হয়ে থাকে সেও এক বিচিত্র প্রাকৃতিক ভাষ্কর্য।
নায়েগ্রা ফলসে সব সময় রঙধনু দেখা যায় যদি আকাশে সূর্য থাকে। এই ছবিটা তুলেছি ঠিক দুপুর বেলা যখন রঙধনু জলের সমান্তরালে শুয়ে আছে। রঙধনু সাধারনত আমরা দিগন্ত থেকে আকাশ বরাবর লম্বা বা গোল হয়ে ঘিরে থাকতেই দেখি। জলের উপর শোয়া রঙধনু সেবারই প্রথম দেখেছিলাম।
৩। ছায়া
সুইডেন থেকে ফিনল্যাণ্ড যাচ্ছিলাম। বাল্টিক সাগর ক্রস করার আগে প্লেন পেরুচ্ছিল পাহাড়ি এলাকা। তখন যে প্লেনটায় আমি তার ছায়া পাহাড়ের উপর। প্লেনের জানালা থেকে তুললাম একটা ছবি। আমার মনে হয় এমন নিজের প্লেনের ছায়ার ছবি এই একটাই তোলা হয়েছে এই পৃথিবীতে।
৪।দিগন্ত বিস্তৃত
এই ছবিটা বারবেডোসের মটেলের ব্যালকুনিতে থেকে তোলা ক্যারিবিয়ান সাগর বাথশেবা সমুদ্র সৈকত এলাকা । সবুজ সাগরের জল আগে শুধু ছবিতে মুভিতে দেখতাম । সেখানে গিয়ে চাক্ষুস দেখা অপূর্ব এই রঙের সাগরের সাথে।
তবে জলের রঙ বদলায় আকাশের উপর নির্ভর করে।
৫।সাবমেরিন থেকে
সাগর জলের মাঝে বসে সাগরের তলদেশের এই ছবিটা সাবমেরিনের ভিতর থেকে তুলেছি। সাগরের মাটিতে থাকা উদ্ভিদ প্রবাল পাথর বালি। আর সাবমেরিনের জানালা, একটা পাশ। সূর্যের আলোয় এক এক জায়গায় সাবমেরিনের ভিতরে রঙ বদলে যায় বিভিন্ন রঙে। আমাদের গায়ে মনে হচ্ছিল কখনো আলোর প্রতিফলন অন্ধকারে জ্বলে উঠা গ্লো যেন ছড়াচ্ছিল। হয়ে উঠছিলাম সাদা , নীল , সবুজ নানা রঙের মানুষ।
৬।গুহার সৌন্দর্য
কিউবার মাটানজাস কেইভের গুহার ভিতর এক অপূর্ব সুন্দর জলের তৈরি পাথরের ভাস্কর্য। এক এক জায়গায় এক এক রঙ, এক এক গড়ন। প্রকৃতি আপন মনে কত কিছু তৈরি করতে পারে নিজের ক্ষমতায়। গুহার ভিতরে মাটির নিচে নামলে দেখা যায়।
সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে অনেক ছবি তুলেছিলাম একদম গুহার নিচে আবার এক নদী বয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভের ভিতরেও যে এমন নদী গুহার নিচে নেমেই দেখা হয়েছিল সে নদীর সাথে।
৭।এপাড় ওপাড় বন্ধন সেতু
হাভানা যাওয়ার পথে বাকুনায়াগুয়ার ব্রিজটির কাছে কিছু সময়ের বিরতি দেওয়া হয়েছিল আমাদের ভ্রমণে।
ব্রিজটি লা হাবানা এবং মাতানজাস প্রদেশগকে সংযুক্ত করেছে। কিউবানরা এটিকে কিউবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম আশ্চর্য কাজ হিসাবে বিবেচনা করে। এটি কিউবার দীর্ঘতম এবং সর্বোচ্চ সেতু। ৩১৪ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ এবং উপত্যকার তল থেকে ১১০ মিটার উঁচু। হাভানা পার্শ্বে একটি পর্যবেক্ষণ ডেক সহ একটি রেস্তোরাঁ আছে। সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল তাই ব্রীজের উপরে হাঁটতে যেতে পারিনি। ছবিও হয়েছে কুয়াশা ঢাকা।
৮। সবুজের মায়া
ভেরেডোরো সৈকত এলাকা থেকে শহরে যাওয়ার পথে, ডাবল ডেকার বাসের উপর থেকে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস এল ওট্রো সবুজ এলাকা।
৯।দীর্ঘ একটা নদী
মিউজ নদীর তীরে ডিন্যান্ট বেলজিয়ামের একটি সুন্দর ছোট শহর। বেলজিয়ামের স্যাক্সোফোন টাউন নামেও এর পরিচিতি আছে। বাদ্যযন্ত্র স্যাক্সোফোনের আবিষ্কারক অ্যাডল্ফ স্যাক্সের কারণে, ডিন্যান্ট বিখ্যাত। শহর জুড়ে অনেক স্যাক্সোফোনের ভাস্কর্য। ছবিটা মিউজ নদীর ব্রীজের উপর থেকে উঠানো হয়েছে।
১০। লিউওয়ার্ডেন
নেদারল্যান্ড লিউওয়ার্ডেন শহর এর সর্বচ্চাে গীর্জা থেকে নিচে শহর ।
১১. ইতিহাস কথা বলে
এই ছবিটা ঐতিহাসিক এক জায়গার । ফ্রান্সের র্নমেন্ডির উত্তর সাগরের জুনো বিচ । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অনেক যুদ্ধ হয়েছিল এই এলাকায় । হিটলারের বাহিনী এই মাটির নিচে অত্যন্ত মজবুত গুহা বানিয়েছে সেখান থেকে যুদ্ধ করত। তবে মিত্রবাহিনী তাদের পরাস্ত করেছে তারপর। পাশের উঁচু রাস্তা থেকে এই গুহার পথটার ছবি তুলেছি।
বর্তমানে সেখানে মিউজিয়াম করা হয়েছে।
১২।পাথুরে পাহাড়
চায়নার কুনমিংএর স্টোনফরেস্ট এর ছবি। এই ছবিটা উঠিয়েছি ওয়াচ টাওয়ারের উপরে উঠে।
আশা করি কেউ ছবি কপি করবেন না এখান থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২২