নেতৃত্ব মানে মচমচে জুতো পরে খটখট করে পারফিউমের সুরভি ছড়াতে ছড়াতে হন্তদন্ত হয়ে হাটা না।
নেতৃত্ব মানে টিমের সবাইকে ত্রস্ত রাখা না।
নেতৃত্ব মানে সহকর্মীদের চাকরী অনিশ্চিত করার ভয়ে রাখা না।
নেতৃত্ব মানে নেতার ভয়ে পরামর্শের দরজা বন্ধ করে দেয়া না কারণ "জ্বি স্যার" তৈরি করলে কেউ আর কথা বলবে না।
নেতৃত্ব মানে জুনিয়রের টাকায় খাওয়া না, রিক্সাভাড়া মেটানো না।
নেতৃত্ব মানে পছন্দের জিনিসের বিবরণ দিয়ে পাওয়ার আশায় বসে থাকা না।
কক্সবাজারের শুঁটকি,
কুমিল্লার রসমালাই,
চাঁদপুরের ইলিশ,
সিলেটের চা,
সুনামগঞ্জের মাছ,
নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি,
পোড়াবাড়ির চমচম,
টাংগাইলের শাড়ি/মিষ্টি,
বগুড়ার দই,
দিনাজপুরের বেদনা লিচু,
রাজশাহী চাপাইয়ের আম,
পাবনার ঘি, যশোরের গুড়,
সুন্দরবনের মধু,
বরিশালের ইলিশ,
পাথরঘাটার সজি মশাইয়ের মিষ্টি শুধু বললেই বাসায় চলে আসে?????
এর প্রায়াশ্চিত্ত যে কত মর্মান্তিক, পরিণতি যে কত ভয়াবহ (ইহজীবনেই) তা জানলে কোনো লিডার সহকর্মীদের কাছ থেকে এগুলো নিতেন না!!
নেতৃত্ব মানে একজন সহকর্মীর দৃষ্টিকে (Vision) আরো প্রসারিত করা, তার কাজকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
সহকর্মীর ব্যক্তিত্বকে (Personality) বিকশিত করে, আলোকিত করে আরো উঁচুতে, আরো পরিণতিতে নিয়ে যাওয়া।
কাজ (Task) কখনো Primary Agenda না। মানুষটাকে তৈরি করলে তৈরির "Byproduct" হিসেবে কাজ এমনিতেই হয়ে যায়।
এমন নেতৃত্ব হচ্ছে না কেন? অধিকাংশ লিডার নিজেই জানে না যে সে লিডারই না, সে একজন Supervisor.
"যে জানে না, আর যে জানে তারা উভয়ে কি সমান?"- আল কোরান
ফল?
ডিমে পাড়া দিয়ে বাচ্চা আদায় করতে চাওয়া।
মুরগীর বাচ্চার গায়ে পাড়া দিয়ে ডিম পাড়তে বলা।
চিৎকার, চেঁচামেচি, চাকরি খাওয়ার ভয়, সন্ত্রস্থ রাখা এগুলোই আজকাল অধিকাংশ নেতৃত্বের বিকৃত গুণাবলি হয়ে দাড়িয়েছে।
এর দ্রুত পরিবর্তন না হলে পরণাম ভয়াবহ!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩