জীবনের ঝামেলা কমাতে শিখুন 'পাত্তা না দেওয়ার শিল্প'
জীবনে আমরা অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক রকম বড় বড় স্কিল শিখতে বলি। কিন্তু আজ আমি আপনাদের শেখাবো একটি ছোট্ট স্কিল, যার নাম 'পাত্তা না দেওয়া'। সুন্দর করে বলতে গেলে, 'ইগনোর' করা।
ধরুন, কেউ আপনার লিঙ্গ, বর্ণ, বিশ্বাস বা অন্য যেকোন বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করল। ধরুন, ৪-৫ মিনিট ধরে কেউ টানা লেকচার দিল কেন তার কথা যৌক্তিক এবং আপনার ভুল। ধরুন, কেউ আপনাকে ইনিয়ে বিনিয়ে বা সরাসরি পচানোর চেষ্টা করছে। অথবা অযৌক্তিক তর্কে জড়াতে চাইছে। আপনি কী করবেন? উত্তর হচ্ছে, কিছুই না। একদম পাত্তাই দিবেন না।
মনে রাখবেন, দুনিয়ার সবাইকে, সবকিছুকে গোণায় ধরতে হয় না। আজাইরা মানুষ, আজাইরা মন্তব্য - সবকিছুকে এড়িয়ে গিয়ে কেবল নিজের কাজে ফোকাস করতে হবে। একটা বাক্য দূরে থাক, একটা শব্দ উচ্চারণ করেও সময় নষ্ট করার দরকার নেই।
'পাত্তা না দেওয়া' একটা আর্ট। 'পারফেক্ট' হওয়ার দরকার নেই; মাঝারি মানের আর্টিস্ট হতে পারলেই জীবন অনেক ঝামেলামুক্ত হয়ে যাবে।
কখন 'পাত্তা না দেওয়া' জরুরি?
যখন কেউ আপনাকে অযথা বিরক্ত করে: ধরুন, কেউ আপনাকে বারবার আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করছে, অথবা আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল, বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছে। এইসব ক্ষেত্রে 'পাত্তা না দেওয়া'ই শ্রেয়।
যখন কেউ আপনাকে অযৌক্তিক তর্কে জড়াতে চায়: অনেক মানুষ আছে যারা বিতর্ক পছন্দ করে। তারা সবসময় তর্ক জিততে চায়, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে আপনাকে হারাতে চায়। এইসব ক্ষেত্রে 'পাত্তা না দেওয়া'ই বুদ্ধিমানের কাজ।
যখন কেউ আপনাকে হতাশ করার চেষ্টা করে: অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের উন্নতি দেখতে পারে না। তারা সবসময় অন্যকে হতাশ করার চেষ্টা করে। এইসব ক্ষেত্রে 'পাত্তা না দেওয়া' এবং নিজের লক্ষ্যে মনোযোগী থাকাই উচিত।
'পাত্তা না দেওয়া' কীভাবে শিখবেন?
নিজের মূল্য বুঝুন: প্রথমে নিজের মূল্য বুঝতে হবে। বুঝতে হবে আপনি কতটা মূল্যবান, কতটা যোগ্য। যখন আপনি নিজের মূল্য বুঝবেন, তখন অন্যের নেতিবাচক কথা আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
আত্মবিশ্বাসী হোন: আত্মবিশ্বাসী মানুষ অন্যের কথায় সহজে বিচলিত হয় না। তাই আত্মবিশ্বাসী হোন, নিজের উপর বিশ্বাস
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮