সে সময়টা অবশ্য আমি পাইনি, বুয়েটের সিভিল বিল্ডিংয়ের ছ’তলার কম্পিউটার সেন্টারে দেখেছি। ৮৮ সালে একটা 286 মেশিনে হাতে খড়ি। তখন DOS 3.3’র যুগ। সিঙ্গেল ডেনসিটি ৩.৫ ইন্চি আর ৫.২৫ ইন্চি ফ্লপিতে কাজ করতে হতো। অল্প কিছু PC’তে হার্ডডিস্ক ছিলো।
গাদা গাদা ফ্লপিতে ব্যাকআপ রাখতে হতো। এরপর এলো CD’র যুগ। মাঝে কিছুদিন অবশ্য MO zip drive ব্যবহৃত হতো। তবে সিডি আসার পর সেটা অচল হয়ে গেলো।
এরপর DVD, এরপর Blu-ray, এলো পেনড্রাইভ, পোর্টেবল। একটা ১ টেরা দিয়ে কাজ করতাম আর আরেকটা ১ টেরায় ব্যাকআপ রাখতাম। সাথে দুটো পোর্টেবল আছে। বেশ নিশ্চিন্ত ছিলাম। ব্যস্, যা হবার তাই হলো। কিছুটা হঠাৎ করেই মূল হার্ডডিস্কটা চোখ বন্ধ করলো। কাউকে দিয়ে রিকভার করাতে হবে। দু’এক জায়গায় কথা বলেছি। ব্লগারদের কাছ থেকেও কোন হেল্প পেলে বাধিত থাকবো।
তখন একটু ব্যাকআপ সার্ভিস নিয়ে নেটে ঘাটাঘাটি করলাম। একটু চিন্তায়ই পড়ে গেলাম। হার্ডডিস্ক একদিন না একদিন ফেইল করবেই। SSD গুলোরও আয়ু চিরদিনের নয়। Optical media’র ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। অনেক ওয়েব সাইটেই খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাকআপের জন্য সিডির কথা বলা হয়েছে। যেহেতু সেটা লো ডেনসিটি তাই তার লন্জিভিটি সবচে’ বেশি। যত বেশি লেয়ার আর ক্যাপাসিটি থাকবে তত তার ডিগ্রেডেশান বেশি। সেক্ষেত্রে ১২৫ গিগা blu-ray ২ বৎসর পরই এরর্ দিতে পারে।
অনেকেই ক্লাউডের পরামর্শ দিয়েছেন। বাড়ীতে, অফিসে দু’জায়গায়ই ২ Mb কানেকশান থাকায় সেটাই এখন প্রধান ভরসা। কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে হলে তো সব জায়গায়ই হাইস্পিড কানেকশান লাগবে। আপাতত ঠিক করেছি অনেকগুলো blu-ray’তে ব্যাকআপ রাখবো। ব্লগারদের কোন পরামর্শ আছে?
আমার ই-মেইল: [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪২