
অনেকদিন ধইরা স্কুটি (scooter) কিনা লইয়্যা সেকি অবস্তা। ওয়েব থাইক্যা এ্যড্রেস নিয়া ফোন করা, ২দিন কইরা বাংলামটর,পুরান ঢাকায় ৩জন মিইল্যা দিন ব্যাপি ঘুরাফেরা, এদিকে সিংগারের (singer) নতুন স্কুটি আসার আশ্বাসে ১০/১২ দিন অপেক্ষা । পরে ওদের শোরুমে গিয়ে দেখি,একটা সেকেন্ডহ্যান্ড ভাংগা স্কুটি আমার জন্য নিয়া আইছে,মেজাজ চরম খারাপ নিয়া ফিরা আইলাম বাসায়। ওদেরকে বেশ কথা শুনাইছি। বুঝার চেষ্টা করলাম একটা শোরুম কেইমনে এত উল্টা পাল্টা করে? স্কুটির চারিদিকে বামপার লাগানো, সামনে দিয়া ভাংগা। ওরা কয়, এইডা নাকি আনার সময় ভাইংগা গেছে। মনে অইতেছিল, কোন পাগলরে বোঝ দিতাছে।

অবশেষে ডিসিসান নিলাম ইম্পুটারের কাছ থেকে 'একটিবা' 'স্কুটি'টা নিব। ইম্পুটার রে ফোন দিলাম, ওরা কইল স্কুটির দাম ১লাখ ৮ হাজার। তবে কিছু কম রাখা যাবে। গোডাওন থেকে কালার চয়েজ কইরা নেওয়া যাবে।
যাওয়ার দিন হইল আরেক কাহীনি, আমার কাছে ক্যাশ ৫০ হাজার টাকার শর্ট আছে। গেলাম এইচ,এস,বি,সি বোথে। ডে লিমিট ৫০হাজার। ২০ হাজার টাকা তোলার পর, আর আমার কার্ড নেয় না। ফলটি কইয়া বাইর কইরা দেয়। কি আর করা। সাথে লাভলু ছিল, ওর কার্ডেরও ডে লিমিট শেষ। এইবার মোর্্শেদ ভাইরে ফোন দিয়া ঘটনা জানাইলাম আর বল্লাম, আপনি উত্তরার কোন একটা বুথে আসেন আমরা আসতেছি, আমরা গিয়ে ওনার এ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে টাকা তোল্লাম। সি,এন,জি ৪০মিনিটের মত দাড়াইয়া আছে, কারন যে বুথে গেছি সেইটা ন্ষ্ট, হাইট্টা অন্য বুথে গিয়া টাকা তোলতে হইছে। এইদিকে সি,এন,জি ওয়াল্লার গেন গেন শুনতে শুনতে মাথা ঝালা পালা। টাকা উঠাইয়া, অপেক্ষা করতেছিলাম মাহমুদ ভাই আর ওনার বউ মুন্নির জন্য। ওরা ৫ মিনিটের মধ্য পৌছে গেল। আমরা ৫ জন মিলে রওনা দিলাম আর মনে মনে চিন্তা করতেছি, এটাই লাষ্ট সি,এন,জি। যাওয়ার কথা ছিল টংগী আর চলেগেছি টংগী পার হইয়া গাজীপুর। আবার সিএনজি ঘুরাইয়া টংগী হোন্ডার অফিসে গেলাম। গিয়া দেখি কালার ১টাই(লাল) আছে আর ওরা প্রাইজ কমাতে পারবেনা। ওদেরকে বল্লাম তাইলে আমদেরকে ফোনে এই কথা(কালার দেওয়া যাবে, আর প্রইজ কমানো যাবে) বলা হইছে ক্যান? এর কোন রিপ্লাই ওরা দিতে পারেনাই। তবে ঐখানে কিছু দালাল আছে ওদের কাছ থাইক্যা কিনলে ১ হাজারের মতন কম রাখবে। দালাল গুলারে অফিসই ধরাইয়া দিছে। পরে মাহমুদ ভাই বল্লেন ওদের কাছ থেকে নেওয়ার কোন মানে নাই, তার চাইতে ভাল শোরুম থেকে নেওয়া, রেজিস্ট্রাশনের ঝামেলা টামেলার ব্যপার আছে। আর তাছাড়া ওদেরকে ভন্ড ভন্ড মনে হইতেছে। টাংগী থাইক্যা আবার উত্তরা আইলাম সি,এন,জি তে (আবার মনে মনে, এটা হয়ত লাস্ট সি,এন জি )। যাই হোক উত্তরায় আইসা হোন্ডার শোরুমে গিয়া ওদেরকে এ্যডভান্স করলাম ২ হাজার টাকা, কইরা আমার খাইতে গেলাম 'ফায়ার অন আইসে'। খাওয়া শেষ করার আগেই ওরা ফোন দিল স্কুটি আসছে। খওয়া শেষ কইরা গেলাম স্কুটি দেখতে, আনেক খুত টুত ধরলাম, তারপরে ১লাখ ৬ হাজার টাকা দিয়া নিয়া নিলাম। হ্যাভি মজা লাগতে ছিল
