আজমেরী এখন প্রায় সুস্থ। ওর অপারেশনের প্যাকেজের সময় শেষ হবে কাল। কাল থেকে ওর নিজের ওষুধ নিজেদের কেনা লাগবে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ টাকার মতো ওষুধ লাগবে। হঠাৎ করেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে গেছে! আর মাত্র ৬৭৭০৬ টাকা লাগবে। শুধু ওষুধ আর হসপিটালের খরচটা! এতদূর এসে আমরা কি থেমে যাবো?
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার, মালয়েশিয়া ও চিটাগাংয়ের ব্লগাররা নিচে নাম্বার আছে যোগাযোগ করেন।হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছি কেউ ধরবে এই আশায়...
টাকা দিয়ে সাহায্য না করতে পারলে, টাকা জোগাড়ে সাহায্য করুন।
পরশু আমার বন্ধুটি দেখা হতেই কেঁদে দিলো। দৃষ্টিতে হতাশার নীল গহ্বরে ডুবতে থাকা এক মানুষের আর্তনাদ। বললো, আমার বোনটাকে আর বাঁচাতে পারলামনা মনে হয় দোস্ত! আমি হতবাক। বলি, কি হয়েছে? যা বললো তাতে শিউরে উঠলাম। তার ছোট বোন, নাম আজমেরী। দুটি কিডনীই অকেজো হয়ে গেছে। বেঁচে আছে কোনরকমে শুধু আমরা ভাইয়েরা তাকে কতটুকু ভালোবাসি সেটি দেখার অপেক্ষায় যেন...
যে ছাত্রী কখনো স্কুলে দ্বিতীয় হয়নি, তার জীবন প্রদীপ আজ নিভু নিভু। মেধাবী ছাত্রী আজমেরীর জীবন ও লেখাপড়া কি শেষ পর্যন্ত থেমে যাবে? প্রায় ছয় বছর ধরে আজমেরী জটিল কিডনী রোগে ভুগছে। তাকে সুস্থ রাখতে ডায়ালাইসিস ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা বাবদ তার পরিবারের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। তার বাবা গরীব কৃষক আব্দুল আজীজ তাঁর শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করেছেন। আজমেরী এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডাঃ শহিদুল ইসলাম সেলিমের অধীনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক তাকে বাঁচানোর জন্য অতি সত্বর কিডনী প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন, এজন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। হাতে আছে ২ লক্ষ। আরো ৩ লক্ষ টাকা তার নিঃস্ব পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয়। তার কিডনী প্রতিস্থাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও টাকার অভাবে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না।
কৃষক বাবা ছেলেকে প্রাইভেটে পড়ান জমি বেচে। ছোট বোনটির অসুখের জন্য যা ছিলো সবই গেছে। ১৭ বছরের আজমেরীর চোখে আজ ধুসর হতাশা। চিকিৎসা কি ওর হবেনা? ফুটফুটে মেধাবী মেয়েটির চোখে আজ বাঁচার আকুতি। ঠিক হলো একটা কনসার্ট করবো। কনসার্ট ফর লাইফ। বোনটাকে বাঁচাতে হবে...
বৃহস্পতিবার, ৪ তারিখ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে (এডমিন বিল্ডিং, ১০ তলা) হয়েছে কনসার্টটি। আমার বোনটি হাসপাতালের বেডে শুয়ে অপেক্ষায় থাকবে, ভাইয়া তার চিকিৎসার টাকা নিয়ে আসবে...
আপডেট:
০৫.০২.১০ সকাল
কাল ব্লগার সমুদ্রকন্যা তার প্রতিষ্ঠানের জন্য টিকিট নিয়েছেন ৫টি। ব্লগার মাহমুদ েহােসন নিজেও অসুস্থ, তারপরও তিনি দিয়েছেন ৫০০০ টাকা। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে কাল কনসার্ট শেষে নূর মোহাম্মদের হাতে তুলে দেয়া হয় ৪২৩৩৯ টাকা।
আপডেট
০৫.০২.১০ রাত
পিকনিকের জন্য আড্ডায় জোগাড় হয়েছে ৪৬০০ টাকা। অনেক ব্লগারই আপত্তি করায় নাম দিলাম না। রক্ত দিয়েছেন পাহাড়ের কান্না, অবাক বিস্ময়, সাথে আমি। ঠিকানা ভাই এর ওয়াইফের সাথে দেখা করার কথা থাকলেও ব্যাস্ততার জন্য পারিনি। কাল সকালে যাবো। নূর মোহাম্মদ এসেছিলো আড্ডায়, কথা হয়েছে সবার সাথে। সবাই তাকে সাহস দিয়েছেন, শান্তনা দিয়েছেন। আজমেরীর সাথে দেখা করলাম আমি, পাহাড়ের কান্না ও অবাক বিস্ময়।
৫ মাস সে আছে হসপিটালে। ৩বার অপারেশন করতে গিয়েও করা হয়নি টাকার অভাবে ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য। শুকিয়ে বোনটি আমার এতটুকু হয়ে গেছে। চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।আমি যে এখনো পারিনি তার জন্য কিছু করতে! আড়চোখে একবার তাকিয়ে দেখি জুল জুল করা চোখের মাঝে বেঁচে থাকার অসহায় আর্তনাদ। পালিয়ে এসে বাঁচলাম।
কিডনী ম্যাচিং এর জন্য কাল একটা ইন্জেকশন দিতে হবে, দাম ৭৫,০০০টাকা। মন্গলবার আবার দিতে হবে ঐ ইন্জেকশন। তাহলে কিডনীর স্থায়িত্বকাল ৩০ বছর হতে পারে।
০৬.০২.১০
অপারেশন শেষে সুস্থ আছে আজমেরী। দেখে এলাম আইসিইউতে শুয়ে আছে।
বইমেলায় আমি, গরম কফি ও সরল মানুষ মিলে টাকা তুলেছি মাত্র ১৪১৩। ৬.৩৯- ৮.৪০। গরম কফি এনেছিলেন ৫০০। ১৯১৩ টাকা দেয়া হয় লিখনের হাতে। দেখা করে আসার সময় আন্টি বললেন- বাড়ি উনি ফোন দিয়ে বলেছেন, তোরা চিন্তা করিস না, দেশে আমার অনেক ছেলে আছে...
ফোন দিয়েছিলেন, ত্রেয়া, লালসালু, মাহমুদ হোসেন। আমার ব্লগের বেলের কাঁটা পাঠিয়েছেন ৩০০০, কাল সকালে তুলবো।
নিউ ডি.ও.এইচ.এস ক্লাব, মহাখালীর পক্ষ হতে একজন ব্লগার দিয়েছেন ২০০০। মোট সংগ্রহ দাঁড়ালো- ৫৩৮৫২ টাকা। এখনো আড়াই লাখ টাকা কে দেবে?
০৭.০২.১০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ১০০০
মহুয়া রশিদ- ২০০০
ঠিকানা- ৫০০
ঠিকানা ভাইয়ের ফ্রেন্ড ৫০০
আমিনুল ইসলাম- ১০০০
আনিসুর র ২০০০
সিস্টেম ইন্জিনিয়ার ১০০০
_____________________
মোট =৮০০০
সর্বমোট= ৬১৮৫২ হাতে আছে ১৩০০০। ব্লগার মাহমুদ েহােসন সকালে পিজি গিয়েছিলেন। সারাদিন অসংখ্য মানুষ অসংখ্যবার ফোন দিয়েছিলেন। ৯ তারিখে ইন্জেকশন না দিলে আজমেরীর কিডনী স্ট্যাবল নাও হতে পারে। অপারেশনের দিন দেয়া ইন্জেকশনের ৭৫০০০ টাকা পুরোটাই পানিতে যাবে।
কালকের মধ্যে আমার ৬২০০০ টাকা লাগবে। কোথায় পাবো?
০৮.০২.১০
বংশী নদীর বাকে- ৬৬৮৫
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ১০০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ১০০০০
নাম ভুলে গেছি- ২৩৩০০
মাহমুদ েহােসন- ২০০০০
বইমেলা- ৭১১
________________________
মোট= ৬১৬৯৬
সর্বমোট= ১২৩৫৪৮ হাতে আছে- ৭৫১৯৬। আরো বাকি- ১,৭৬৪৫২ টাকা। আল্লাহর রহমতে ইন্জেকশনের টাকা উঠেছে প্রায়। তনুজা আপু কাল সকালে কিছু টাকা দিবেন। চট্টগ্রামে পাপী০০৭ আর হোসাইন চেষ্টা চালাচ্ছে। পাপী০০৭ ৫১০০ টাকা মতো জোগাড় করেছে, আশা করা যাচ্ছে আরো আসবে। আমার হাতে টাকা না আসা পর্যন্ত আমি সেটা আপডেটে দিচ্ছি না। বসুন্ধরায় দাঁড়ানোর কথা ছিলো, অনুমতি পাইনাই বলে বইমেলায় দাঁড়িয়েছি, সাথে ছিলো সরল মানুষ।
০৯.০২.১০
আমার একাউন্টে টাকা পেয়েছি ১৪০০, কে পাঠিয়েছে জানিনা... হাসপাতালে গিয়ে একজন দিয়ে এসেছেন ২৪৯০ টাকা।
যাইহোক-
জানিনা- ১৪০০
মাহমুদ েহােসন ভাইয়ের ফ্রেন্ড- ১০০০০
স্বপ্নমগ্ন ফারজানা- ৩০০০
ফারযানা আপুর ডিপার্টমেন্ট হেড- ১০০০
হাসপাতাল- ২৪৯০
_________________________________
মোট= ১৭,৮৯০
সর্বমোট- ১৪১৪৩৮
সকালে দুই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে লাইনে ঘন্টা দুই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
ইন্জেকশন দেয়া হয়েছে, আমি সাথে গিয়ে কিনে দিয়ে এসেছি। নাম Simulect. নোভারটিস এটা আমদানি করে। মাহমুদ েহােসন ভাইয়ের ফ্রেন্ড লিখনের হাতে টাকা দিয়ে এসেছেন তেঁজগাওয়ে। তনুজা আপুর সাথে দেখা হয়নি... কথা হয়েছে। ডাক্তার কদম আলী (ডিগ্রী নাই) রাতমজুরদার কাছে ১০০০ দিয়েছেন, কাল নিবো। চট্টগ্রাম থেকে হোসাইন১৯৫০ পাঠিয়েছে ১২,৭১৫। কাল তুলতে পাবো। ত্রেয়া ফোন দিয়েছিলো, বললো দেরী করে পাঠাবে না এখনই, বললাম এখনই পাঠা।
বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ এপ্লিকেশন জমা দিয়ে ৩ ঘন্টা বসে ছিলাম। চলে গেলাম এআইউবি। ব্লগার স্বপ্নমগ্ন ফারজানা ওখানকার টিচার। বললেন ওখানে উনি একটা ক্যাম্পেইন করবেন..কাল সকালে যেতে বললেন। উনি সর্বাত্বক সাহায্য করবেন বললেন। এস. এ পরিবহনে আজ টাকা আসবে মনে করে বোকার মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম, পরে হোসাইন১৯৫০ বললো কাল টাকা পাবো।
এখনো প্রয়োজন ১,৫৮,৫৬২ টাকা। বসুন্ধরা সিটি যদি অনুমতি দেয়, শুক্র ও শনিবার সবাইকে সাথে চা্চ্ছি, টাকা তুলবো।
১০.০২.১০
হাসান মাহমুদ (কানাডা)- ৬৪৪০
স্বপ্নমগ্ন ফারজানা- ২০০০
স্বপ্নমগ্ন ফারজানার কলিগ- ১০০০
ত্রেয়া+ইংল্যান্ডের ব্লগাররা- ২৯২৪০
চুয়েট+চিটাগাং থেকে- ১২৫৮৫
____________________________
মোট= ৫১,২৬৫
সর্বমোট- ১,৯২,৭০৩
চিটাগাং থেকে হোসাইন ১২৭১৫ পাঠিয়েছিলো। এস এ পরিবহনের ১৩০ টাকা চার্জ বাদ দিয়ে পেয়েছি ১২৫৮৫। এ আই ইউ বি তে আমি ও লিখন দুজনেই গেছিলাম। কথা হয়েছে ওখানকার এডমিনের সাথে, বললেন নোটিস আকারে উনারা দিতে পারবেন। কিন্তু কোন বক্স বা ক্যাম্পেইন বাইরের কারো জন্য করা যাবেনা। ওখান থেকে ফিরে ত্রেয়ার পাঠানো টাকা তুললাম। লিখনের মুখের দিকে তাকালেই মনটা ভালো হয়ে যাচ্ছে। ওর সেই অসহায় ভাবটা আর নেই। বললো- ভাই, দুনিয়ায় আজো ভালো মানুষ আছে..।
আমার দাদীও অসুস্থ, উনাকে দেখতে গেছিলাম...
ফোন দিয়েছিলেন ইউ.এ.ই থেকে লিপু নামে একজন। কথা ভালো করে শোনা যাচ্ছিলোনা... উনি সম্ভবত কিছু টাকা পাঠাবেন।
লিখন ফোন দিয়ে একটু আগে জানালো কেউ ডাঃ শহিদুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে ট্রিটমেন্টে কত টাকা লাগছে তার হিসাব চেয়েছে। ও কাল ডাঃ এর কাছে হিসাব দিবে। আমাকে বললো গত ৫ মাসে ৫ লক্ষ মতো খরচ হয়েছে... আগে আরেক ডাক্তারের অধীনে ছিলো আজমেরী, ডাঃ শহিদুলের আন্ডারে ১৫ দিন মতো। ডোনার লিখনের আপন চাচা, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। অপারেশনের প্যাকেজের বাইরেও উনার জন্য ওষুধ কেনা লাগছে।
নীল আকাশের দুঃখ জানালেন, যতদিন আজমেরী বেঁচে থাকবে প্রতি মাসে ৪হাজার থেকে ২০হাজার পর্যন্ত খরচ হতে পারে ওর পেছনে। আজমেরীকে ধূলা, ধোঁয়া ও ফ্লু থেকে দূরে রাখতে হবে, বলেছেন হাসান মাহমুদ ও নীল আকাশের দুঃখ। ওর জন্য বাসা ভাড়া করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওকে ওখানেই রাখা হবে।
এখনো প্রয়োজন ১,০৭,২৯৭ টাকা।
১১.০২.১০
আসাদ- ২০০০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ৫০০০
কিছু গার্মেন্টস কর্মী- ৬০০
______________________
মোট= ৭৬০০
সর্বমোট- ২০০৩০৩
বসুন্ধরা সিটি অনুমতি দেয়নি। কাল (শুক্রবার) দাঁড়াবো বইমেলার টিভির সামনের গেটে। সাথে থাকবেন গরম কফি, সরল মানুষ, অবাক বিস্ময়। আপনিও আসতে পারেন। আমরা বিকাল ৩.০০টা থেকে রাত ৯.০০টা পর্যন্ত থাকবো।
আজমেরীকে দেখে এসেছি, ভালো আছে। ইশারায় কথা হলো, বললো এখন ব্যাথা তেমন নেই। আমাকে দেখে পরম নির্ভরতার একটা হাসি দিলো...যেন বললো- ভাইয়া, তোমরা আছো বলেই এখনো বেঁচে আছি।
এখনো প্রয়োজন ৯৯৬৯৭
১৩.০২.১০
গতকাল অনেককে ফোন করেছিলাম..৩টায় সময় দিতে পারেনাই কেউ। আমি কিছুটা অভিমান করেই ঘরে বসেছিলাম। এদিকে চিটাগংয়েও জটিলতায় হয়নি কোন অভিযান।সবমিলিয়ে মনটা খারাপ ছিলো...
যাহোক ৫.৩০-এ গরমকফি ফোন দিয়ে জানালো সরল মানুষ আছে বইমেলায়..অবাক বিষ্ময়েরও একটু পর ফোন। জানালেন বইমেলায় আছেন..
ছুটলাম।
চুয়েটের বন্ধুরা পাঠিয়েছেন- ৪,৬৮৫
মাহমুদ েহােসন- ৪,৫০০
বইমেলা- ২,৩২৯
_____________________________
মোট= ১১,৫১৪
সর্বমোট= ২,১১,৮১৭
নীল আকাশের দুঃখ জানালেন, যতদিন আজমেরী বেঁচে থাকবে প্রতি মাসে ৪হাজার থেকে ২০হাজার পর্যন্ত খরচ হতে পারে ওর পেছনে। ওনার মায়ের কিডনি অপারেশনের পর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
আরতো মাত্র কয়েকটি টাকা... পারবোনা কি আমরা?
আর লাগবে মাত্র ৮৮১৮৩ টাকা
১৭.০২.১০
ফজলে রাব্বী- ১৯৪৭৭
বইমেলা+আমার ব্লগ ৫০০
মনি- ৫০০
__________________________
মোট= ২০৪৭৭
সর্বমোট= ২৩২২৯৪
আজমেরী এখন প্রায় সুস্থ। ওর অপারেশনের প্যাকেজের সময় শেষ হবে কাল। কাল থেকে ওর নিজের ওষুধ নিজেদের কেনা লাগবে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ টাকার মতো ওষুধ লাগবে। হঠাৎ করেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে গেছে! আর মাত্র ৬৭৭০৬ টাকা লাগবে। শুধু ওষুধ আর হসপিটালের খরচটা! এতদূর এসে আমরা কি থেমে যাবো?
অনেকেই ফোন করছেন, সাহস দিচ্ছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ। যারা আজমেরীকে দেখতে চান পিজির সি ব্লকের চার তলায় আই সি ইউ তে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
সাহায্যের জন্য আমাকে ফোন করতে পারেন- ০১৯১৩২২১৪৪৮
অস্ট্রেলিয়া- ০৪৩০১২০৩৫৭ অথবা ০৪২২৬৩৭৪৪২। (লাস্ট ডেট ১৫)
মালয়েশিয়া- ০১৬ ২৪৬৪ ৩৫১
ইংল্যান্ড- ০৭৯৮৪৭১৫১৮১
Paypal- [email protected]
চট্টগ্রামের ব্লগাররা যোগাযোগ করতে পারেন-
সাইফ সামির- ০১৭১২ ৯৪৫ ০০৭ (শহর)
পাপী ০০৭ - ০১৬৭৫ ৪৬৮ ৪৯৬ ( চুয়েট )
আমাদের এই ব্লগে ৩৮০০০ ব্লগার আছেন, সবাই যদি ১০ টাকা করেও দেন তাও ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আসবে। আমরা কি এতটুকুও করতে পারবোনা আমাদের বোনের জন্য?
আপনি যদি কোন সামান্য সাহায্যও করতে চান, পাঠাতে পারেন এই একাউন্টে-
নুর মোহাম্মাদ ( লিখন) [বড় ভাই]
০১৭১৭৭১২৮৬০
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩৪১১৫৯৩১
জনতা ব্যাংক ফার্মগেট কর্পোরেট শাখা
ডাচবাংলা ব্যাংক
MD MAHMUDUL HAQUE MUNSHI
114.101.78662
মহাখালী শাখা
আসুন, হাত বাড়িয়ে দেই আজমেরীর জন্য...