এখন আমরা আর মৃত্যুর খবরে শোকাতুর হই না, ধর্ষণের খবরে বিচলিত হই না, দুর্নীতি/অন্যায়/অবিচার/জুলুমের খবরে নড়ে ওঠে না আমাদের বিবেকের কলকাঠি। নির্বিকার-নিঃস্পৃহ প্রাণ নিয়ে কই মাছের মতো নির্লজ্জ বেঁচে থাকি তবু অনিয়ম-অনাচারের তীব্র রোদে!
আমরা বেঁচে থাকি,
বেঁচে আছি;
শত অনিয়মে,
শত কষ্টে,
অভিমান কিংবা
অভিলাষে!
বর্ষপূর্তিঃ লেখালেখির সূচনাটা স্কুল জীবনে হলেও ইত্যবসরে সামহোয়্যার ইন ব্লগেই তার প্রয়াস-পরিচর্যা। আর চার বছরের পুরনো আইডি নিয়ে প্রায় দু’বছর থেকে আমি নিয়মিত ছিলাম আপনাদের ভালোবাসায়, ব্লগিং মিথক্রিয়ার সহযাত্রী হয়ে।
আমার অতীতঃ সত্যি বলতে আমি অনেকটা অতীত নিয়েই বাঁচি। শৈশবের সেই শিউলিতলার সুবাস কিংবা দুরন্তপনার সুখ স্মৃতি আমার কাছে অমূল্য। পার্বণে-পার্বণে জমা সুখরেনু আজও আমার বেঁচে থাকার উৎসাহ।
বর্তমানঃ পুরকৌশল বিদ্যার নীরস পাঠ শেষ করে একটা আধা সরকারি টাইপ প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছি ১০-৫ টা যথারীতি। ভার্সিটির হারানো রঙিন দিনগুলো কখনও আলো ছড়ায় কর্মব্যস্ত ক্লান্ত জীবন তমাসায়। কখনও বাড়ায় হতাশা! কয়েক বছরের কর্মজীবনে আমি দেখেছি মানুষের মনের কোনের জমাট অন্ধকার ও মুখোশ। দেখেছি মনের সৌন্দর্য।
ভবিষ্যৎঃ বাঁকে বাঁকে অভিজ্ঞতার ঘাত-প্রতিঘাত, চিহ্ন-স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে চলছে জীবন নদী। সফলতার সংজ্ঞা আপেক্ষিক। সেটা প্রয়োজনীয়ও নয়। প্রয়োজন মানবজাতির বৃহত্তর স্বার্থে এক অর্থপূর্ণ উদার জীবন যা আমাদের মৃত্যুর সীমানাকে উঠোন হতে আকাশে নিয়ে যায়!
শেষকথাঃ এই দীর্ঘসময়ে যাদের ভালোলাগায় সিক্ত হয়েছি, সবাইকে অশেষ ভালোবাসা জানাই। বিশেষ করে যাদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তারা হলেনঃ
ব্লগার “সোনাবীজ”
ব্লগার “আরজু পনি”
ব্লগার “বট বৃক্ষ”
ব্লগার “ জাফরুল মবিন”
ব্লগার শায়মা
“ধ্বংসের মধ্যেও আমি জীবনের জয়গান লক্ষ করেছি। তাই মনে হয় ধ্বংসের চেয়েও মহত্ত্বর কোনো বিধান এই পৃথিবীতে আছে। একমাত্র সেই বিধানের পরিপ্রেক্ষিতেই কোনো সুশৃঙ্খল সমাজের কার্যবিধি বোধগম্য হয় এবং জীবনের তাৎপর্যও খুঁজে পাওয়া যায়”। (মাহাত্মা গান্ধী)
আনন্দময়-সুন্দর জীবন হোক সবার । হ্যাপি ব্লগিং।
২৭/০৪/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০২