somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাহে রমজানের সওগাত-মানবতার জন্য অফুরন্ত রহমাত, ১ম কিস্তি

১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মাহে রমজানের সওগাত-মানবতার জন্য অফুরন্ত রহমাত


রমজানুল মুবারকের ফযীলত ও মাহাত্ম্য

কুরআনুল কারীমে রমজান ব্যতীত পৃথক ভাবে অন্য কোন মাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বার মাসের মধ্যে একমাত্র রমজানই এমন একটি মাস যার প্রতিটি দিন ও প্রতিটি রাত বরকতময় ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। পুরো মাসটিই যেন সওয়াবের এক অসাধারণ মেলা, মাওলা-এ-আলার রহমাত, রূহানিয়াত ও নুরের অপূর্ব প্রদর্শনী। নেকী কল্যাণের একটি স্বর্ণালী মৌসুম। বর্ষার মৌসুমে যে রূপ বৃষ্টি হয়, তদ্রুপ এ মহান মাসটিতেও মানবতার উপর অফুরন্ত রহমাত ও বরকতের বারিপাত হয়ে থাকে।
মাহে রমজানে রয়েছে মানব জাতির জন্য আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত দয়া, ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে নাজাতের প্রতিশ্রুতি। আর এ মাসে ইবাদতের সওয়াবের মান বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সত্তর গুণ। আর এ মাসেই রয়েছে সেই মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর যা হাজার মাসের চেয়ে ও শ্রেষ্ঠ । সিয়ামের মত একটা গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদতের জন্যে আল্লাহ তায়ালা এ মাসকে নির্ধারিত করেছেন এবং গোটা মাসের সিয়াম পালন ফরয করে দিয়েছেন। তাই পবিত্র মাহে রমজান অনন্য ফযীলতের মাস হিসেবে তার রয়েছে সীমাহীন মর্যাদা ও গুরুত্ব।
আর এসবের মূল করণ হলো, এ মাসেই আল্লাহ তায়ালার সর্বশেষ হিদায়াতের কিতাব “আল-কুরআন” নাযিল হওয়া। তাই আল কুরআন নাযিলের মাধ্যমে মাহে রমজান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য বয়ে নিয়ে এসেছে চিরন্তন মুক্তি ও কল্যাণের বাণী।

১. ইরশাদ হচ্ছে
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِىْ اُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْانُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنتٍ مِنَ الْهُدى وَالْفُرْقَانِ
“রমজান এমন এক মাস যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে যা সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়াত স্বরূপ, এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক ও বাতিলকে সুস্পষ্ট করে উপস্থাপনকারী”। {সূরা আল বাকারা-১৮৫ }

২. রাসূলুল্লাহ সা. রমজানের মহত্ব ও ফযীলত প্রসঙ্গে বলেছেন,
اِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ اَبْوَابُ اْلَجنَّةِ وَ غُلِّقَتْ اَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِدَتِ الشَّيَاطِيْنُ
“যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরওয়াজাগুলি খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরওয়াজাগুলি বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের কে আবদ্ধ করে রাখা হয়”। {সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলীম}
অতঃপর আল্লাহ তায়ালার একজন আহবানকারী বলতে থাকে, যারা মঙ্গল ও কল্যাণ চাও তারা সামনে অগ্রসর হও। যারা বদকাজ পাপাচার করতে চাও, তারা থাম। তারপর আল্লাহর পক্ষ হতে অনেক নাফরমানকে দোযখ থেকে রেহাই দেয়া হয়। আর এ কাজ রমজানের প্রত্যেক রাতেই করা হয়।

৩. আরেক বর্ণনায় এসেছে ঃ
وَهُوَ شَهْرٌ اَوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَاَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَاخِرُهُ عِتْقٌ مِنَّ النَّارِ
এ মাসের প্রথম অংশ রহমাত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত এবং শেষ অংশ জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই ও মুক্তি তথা নাজাত। {সুনানে তিরমিযী ও সুনানে ইবনে মাজাহ}

৪. এমাসের আমলের গুরুত্ব সম্পর্কে নবী করীম সা. ইরশাদ করেছেন:
مَنْ تَقَرَّبَ فِيْهِ بِخَصْلَةٍ مِنَّ الْخَيْرِ كَانَ كَمَنْ اَدّى فَرِيْضَةً فِيْمَا سَوَاهُ وَمَنْ اَدّى فَرِيْضَةً كَانَ كَمَنْ اَدّى سَبْعِيْنَ فَرِيْضَةً فِيْمَا سَوَاهُ وَهُوَ شَهْرُ الصَّبْرِ وَالصَّبْرُ ثَوَابُهُ الْجَنَّةُ وَشَهْرٌ يُّزَادْفِيْهِ رِزْقَ الْمُؤْمِنِ-
“এ মাসে যদি কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপন ইচ্ছায় কোন নফল কাজ করে, সে অন্যান্য মাসের ফরয ইবাদতের সমান সওয়াব পাবে। আর যে একটি ফরয আদায় করবে সে অন্যান্য মাসের সত্তরটি ফরযের সমান সওয়াবের হকদার হবে। এটি সংযমের মাস, আর সংযমের প্রতিদান হলো জান্নাত। এটা সহমর্মিতার ও বন্ধুত্বের মাস। এমাসে মুমিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়”। {মিশকাতুল মাসাবীহ ও বায়হাকী}
৫. অপর একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
اِذَا كَانَ اَوَّلُ لَيْلَةٍ مِّنْ رَّمَضَانَ فُتِحَتْ اَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَايُغْلَقُ مِنْهَابَابٌ حَتّٰى يَكُوْنَ اخِرُ لَيْلَة مِنْ رَمَضَانَ وَلَيْسَ عَبْدُ مُؤْمِنٌ يُصَلِّىْ فِىْ لَيْلَتِةِ اِلَّا كِتَبَ اللهِ لَهُ اَلْفًا وَخَمْسَ مِأَةِ حَسَنَةٍ بِكُلِّ سَجْدَةٍ- وَبَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِىْ الْجَنَّةِ مِنْ يَّاقُوْتٍ حَمْرَاءَ - لَـهَا سِتُّوْنَ اَلْفَ بَابٍ- لِكُلِّ بَابٍ- مِنْهَا قَصْرٌ مِّنْ ذَهَبٍ مُوَشَّحٍ بَيِاقُوْتٍ حَمْرَاءَ-
রমজানের প্রথম রাত্রিতেই আসমানের দরজা গুলো খুলে দেয়া হয় একটিও বন্ধ থাকে না, এ অবস্থায় রমজানের শেষ তারিখ পর্যন্ত খোলা থাকে। রমজানের রাত্রে মুমিন ব্যক্তি যে সালাত আদায় করে তার প্রত্যেক রাকাআতের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে দেড় হাজার সওয়াব দান করবেন এবং তার জন্য বেহেশতে লাল ইয়াকুত পাথরের একখানা বাড়ী তৈরী করবেন। এ বাড়ী খানার ষাট হাজার ফটক থাকবে এবং প্রত্যেক ফটকে লাল ইয়াকুত মন্ডিত স্বর্ণের এক একটি প্রাসাদ থাকবে। যে ব্যক্তি প্রথম রমজানের সিয়াম পালন করবে, আল্লাহ তা’য়ালা অতীত রমজানের থেকে ঐ তারিখ পর্যন্ত তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। প্রত্যক দিন ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা সিয়াম পালনকারীদের জন্য ইস্তিগফার করতে থাকে। সিয়াম পালনকারীদের রমজানের দিবারাতের প্রত্যেক সিজদার বিনিময়ে বেহেশতে এমন একটি ছায়াদার বৃক্ষ সৃষ্টি করেন যে, উহার ছায়ায় ঘোড় সওয়ার সাতশত বৎসর পর্যন্ত দৌঁড়াতে পারে।{বায়হাকী শরীফ}

৬. হাদীস শরীফে আছে রমজান মাসে ওমরা করলে অন্য মাসের হজ্জ করার সমান ছওয়াব হয়। {সহীহ আল বুখারী}

৭. রমজানের প্রথম রাত্রেই জান্নাতের নারীরা রোযাদার বান্দাদের পাবার জন্য ব্যাকুল থাকে। যেমন বর্ণিত হয়েছে ঃ
فَاِذَا كَانَ اَوَّلُ يَوْمٍ مِنْ رَّمَضَانَ هَبَّتْ رِيْحٌ تَحْتَ الْعَرْشِ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ عَلٰى الْهُوْرِ الْعِيْن- فَيَقُلْنِ يَا رَبِّ اجْعَلْ لَنَ مِنْ عِبَادِكَ اَزْوَاجًا تَقِرُّ بِهِمْ اَعْيُنَا وَتَقِرُّ اَعْيُنُهُمْ بِنَا-
“রমজানের প্রথম দিন যখন শুরু হয়, তখন এক প্রকার মৃদু বাতাস আরশে আজীমের নিচ থেকে জান্নাতের গাছের পাতা হয়ে জান্নাতী হুরদের উপর প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলতে থাকে হে আমাদের রব! আপনার সিয়াম পালনকারী বন্দাদের কে আমাদের জন্য স্বামী হিসেবে নির্ধারণ করুন যেন তাদের দ্বারা আমাদের নয়ন জুড়ায় এবং আমাদের দেখে যেন তাদের নয়ন জুড়ায়”। {মিশকাতুল মাসাবীহ}

রমজানের মহাত্ম্য সম্পর্কে আলকুরআন ও হাদীস থেকে যা পেলাম
তার সার সংক্ষেপ হলো

১. রমজান কুরআনের মাস বা কুরআন অবতরণ বার্ষিকী।
২. রমজান ধৈর্য্য ও সহানুভূতির মাস।
৩. রমজানে জান্নাতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়।
৪. রমজানে জাহান্নামের দুয়ার রুদ্ধ করা হয়।
৫. শয়তান ও অবাধ্য জ্বীনদেরকে বন্দী করা হয়।
৬. রমজানের মধ্যেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর।
৭. রমজান পূণ্যের প্রতিদান বহুগুণে বর্ধন রাহমাত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাস।
৮. দোয়া কবুলের মাস।
৯. উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য অনুপম বৈশিষ্ট্যের সমাহার। হাদীস শারীফে এসেছে নবী সা. বলেছেন, রমজানুল মুবারক মাসে আমার উম্মত কে এমন পাঁচটি বস্তু দেয়া হয়েছে, যা আমার পূর্বে কাউকে দেয়া হয়নি।
ক. রমজানের প্রথম রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের পানে রহমাতের দৃষ্টিতে তাকান। যার প্রতি তার দৃষ্টি পতিত হবে , তাকে তিনি কখনোই শাস্তি দিবেন না।
খ. দ্বি-প্রহরের পর থেকে মুখের অনাহার জনিত দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়।
গ. রমজানের প্রত্যেক রাত্রে তাদের জন্য মাগফিরাতের প্রার্থনা।
ঘ. আল্লাহ তায়ালা জান্নাত কে বলেন তোমরা সুসজ্জিত হও এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করো আমার ঐ সব বান্দাদের জন্য যারা অদূর ভবিষ্যতে পার্থিব জীবনের দু:খ-কষ্ট থেকে আমার জান্নাতে, আমার অতিথি শালায় আগমন করবে।
ঙ. রাত যখন শেষ প্রহরে পদার্পন করে, আল্লাহ তাদের সকলকে মাফ করে দেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি লাইলাতুল কদর? তিনি বললেন না। তোমরা কি দেখনা শ্রমিকরা কাজ করতে থাকে। অত:পর কর্ম সুসম্পন্ন হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়।


সিয়ামের ফযীলত ও প্রতিদান
মহান আল্লাহ তা’য়ালা সিয়াম কে বহুমুখী মহাত্ম্য দিয়ে বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করেছেন। সিয়ামের রয়েছে সীমাহীন ফযীলত ও প্রতিদান।
১. হযরত সাহল বিন সাদ রা. থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ সা. বলেন ঃ
فِى الْجَنَّةِ ثَمَانِيَةُ اَبْوَابٍ فِيْهَا بَابٌ يُسَمّٰى الرَّيَّانُ- لَا يَدْخُلُهُ اِلَّا الصَّائِمُوْنَ-
“জান্নাতের আটটি দরজার মধ্যে একটির নাম রাইয়্যান। এ দরজা দিয়ে কেবল মাত্র সিয়াম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। বলা হবে সিয়াম পালনকারীরা কোথায়? তখন সিয়াম পালনকারীরা দাঁড়িয়ে যাবেন। যখন তারা সবাই ভিতরে প্রবেশ করবেন তখন দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে”। {সহীহ আল বুখারী ও মুসলীম}
২. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেছেন ঃ
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ اِيْمَانًا وَاِحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه -
“যে ব্যক্তি ঈমানী চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে পরকালীন প্রতিদান কামনায় রমজানের সিয়াম পালন করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়”। {সহীহ আল বুখারী ও মুসলীম}

৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সিয়াম পালন করে, তার একটি দিনের বদৌলতে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দুরত্বে নিয়ে যাবেন।{সহীহ আল বুখারী ও মুসলীম}

৪. অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
كُلُّ عَمَلِ ابْنِ ادَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ اَمْثَالِهَا إِلى سَبْعِ مِأَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللهُ تَعَالى اِلاَّ الصَّوْمَ- فَاِنَّه لِى وَاَنَا اَجْزِىْ بِه- يَدَعُ شَهْوتَه وَطَعَامَه مِنْ اَجْلِىْ- لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ- فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِه وَفَرْحَةٌ عِنْدَلِقَاءِ رَبِّه- وَلَخُلُوْفُ فَمِ الصَّائِمِ اَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِّيْحِ الْمِسْكِ- وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَاِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ اَحَدِكُمْ فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَسْخَبْ- فَاِنْ سَابَّه اَحَدٌ فَلْيَقُلْ اِنِّىْ امْرُءٌ صَائِمٌ-
“আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ হতে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে দেয়া হয়। কিন্তু সিয়াম হলো এসবের থেকে ব্যতিক্রম। কেননা বান্দা আমারই সন্তুষ্টি লাভের জন্য যৌন সম্ভোগ ও খানা-পিনা ছেড়ে দেয়, সুতরাং আমি নিজ হাতেই উহার পুরুস্কার দিব অথবা স্বয়ং আমি নিজেই উহার পুরুস্কার হব। সিয়াম পালনকারীদের দুটি আনন্দ। প্রথম আনন্দ ইফতারের সময়, দ্বিতীয়টা হলো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। নিশ্চয় সিয়াম পালনকারীদের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর নিকট কস্তরীর সুগন্ধী হতেও আদরণীয়। সিয়াম হলো ঢাল স্বরূপ। কেউ যেন সিয়ামের দিনে জঘন্য কাজ ও বিবাদ বিসম্বাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালী দেয় বা তার সঙ্গে বিবাদ করতে চায়, তবে সে যেন বলে দেয় যে, আমি সিয়াম পালনকারী”। {সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলীম}

৫. অপর এক হাদীস শরীফে আছে, তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।
ক. সিয়াম পালনকারী যখন ইফতার করে।
খ. ন্যায় পরায়ণ শাসকের দোয়া।
গ. মজলুমের (অত্যাচারিত) দোয়া। {সুনানে তিরমিযী}

৬. সিয়াম পালন করার ফলে সিয়ামপালনকারী শহীদ ও সিদ্দীকের মর্যাদায় ভূষিত হয়। (আহতারগীব ওয়াত তারহীব-৩১৬)

৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আস রা. থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
اَلْصِيَامُ وَالْقُرْانُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَقُوْلُ الِصّيَامُ اَىْ رَبِّ اِنِّىْ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِىْ فِيْهِ- وَيَقُوْلُ الْقُرْاٰنُ مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِالَّليْلِ فَشَفِّعْنِىْ فِيْهِ- فَيُشَفَّعَانِ-
‘সিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। সিয়াম বলবে: হে রব! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌন কামনা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। আর কুরআন বলবে: আমি তাকে রাত্রিকালে বিনিদ্র রেখেছি। তাই তার জন্য আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। অত:পর তাদের সুপারিশ গৃহিত হবে’। (মুসনাদে আহমাদ ও হাকেম)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×