প্রোপাগান্ডা ও ভ্লাদিমির পুতিন
যারা ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানেন,তারা জানবেন, যুদ্ধে জেতার জন্য আমেরিকা সে সময় চ্যান্সেলর হিটলার ও জার্মানির বিরুদ্ধে কি পরিমাণ প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ছিলো। কিসিঞ্জার বলেছিল,দশটা মিথ্যা ছড়াও একটা পাবলিক চেটেপুটে খাবে৷ মিথ্যা প্রচার পেতে পেতে সত্য হয়ে যায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ও ঠিক একই পরিমাণ প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে রাশিয়া ও পুতিনের বিরুদ্ধে। ভগনার গ্রুপের প্রধানের ভেগে যাওয়া সংবাদ নিয়ে আমেরিকার মিডিয়া ক্যু এর মাধ্যমে পুতিনকে ক্ষমতা চ্যুত করে ফেলেছে। ভগনার গ্রুপ হচ্ছে, ভাড়াটে যোদ্ধাদের একটি দল। যারা রাশিয়ার মূল দলের পাশাপাশি ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিলো। মজুরি বেশি পেলে যেমন শ্রমিক ভেগে যায়। অবস্থাটা ঠিক তেমন। বিশ্বব্যাপী আমেরিকা মিডিয়া ঘেঁষা মাথা মোটা মিডিয়া ভক্তরা না বুঝে সুপের মতো খুব টানে সেসব৷
কিছুদিন আগে পুতিনের ক্যান্সার হয়েছে বলে রটানো হয়েছিলো৷ অবস্থা এমন ছিলো যে,পুতিনের যায় যায় অবস্থা। এরপর রাশিয়ার মুদ্রার পতনের খবর রটানো হয়েছিলো। কিন্তু বাস্তবতা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। পুতিন শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ ফিট। শুধু তাই না, একা পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়ে, একের পর এক দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল। ফলে রাশিয়ার মুদ্রা রুবেল ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
রাশিয়া,চীনের সেনা বাহিনী এমন একটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে,যেখানে বিদ্রোহের কোন সুযোগ নেই। তবে, ব্যাচারা ভাগনারের প্রধান প্রিগোশিন ! এর করুণ পরিনতির খবরের জন্য বেশিদিন মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে না। মাথা মোটা ব্যাচারা প্রিগোশিন ..।
পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না।
আমেরিকা ও তার মিত্ররা,এখন রটাচ্ছে, রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে বিদ্রোহের খরব। অবস্থা এমন যে,পুতিন ক্যু এর পরে আজ রাতেই ক্ষমতা হারাতে বসেছেন৷ খোজ নিয়ে দেখলাম যার কোন ভিত্তি নেই। সবগুলো নিউজের সূত্র হচ্ছে আমেরিকা। অর্থাৎ সেই পুরাতন প্রোপাগান্ডা । আমেরিকার মিডিয়ার সাজানো এমন ক্যুতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ঊন বহুবার ক্ষমতা হারিয়েছেন। তারপরেও তিনি ক্ষমতায় থেকে মুরগির রান চিবোচ্ছেন৷।
ভুলে গেলে চলবে না,পুতিনের হাতে রয়েছে ইউরোপ ধ্বংসের চাবিকাঠি। চূড়ান্ত কিছু হলে সে সেটাই ব্যবহার করবে। যুদ্ধের নিয়ম হচ্ছে,যে বেচে থাকে তার জন্যই অপেক্ষা করে বিজয়ের মালা।
তবে নিশ্চিত হবার কিছু নেই, এ বছর ই হয়তো আমরা একটা পারমাণবিক যুদ্ধ দেখবো। সেটা হলে ইউরোপের ইতিহাসে অন্ধকার নেমে আসবে। এবং তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর মাথা মোটা নেতারাই দায়ী থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৪