ব্যাংক থেকে ম্যাসেজ এসেছে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে যান । নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৫ লাখ টাকার উপর যে কোন কাজ করতে গেলে আয়কর রিটার্ন হাতে নিয়ে যেতে হবে নতুবা সেই কাজ করতে পারবেন না । আবার দশলাখ টাকার অধিক কোন একাউন্টে জমা হলেই আয়কর রিটার্নের রশিদ জমা দিতে হবে । তা না হলে , উৎস করা কাটা হবে। ১ লাখের উপর গেলেই আবগারি কর কাটা তো আছেই। ৫ লাখের উপর গেলে আবার কাটো। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণীটাকে ৭ পাকে নয় ১৪ পাকে বেধে ফেলা হয়েছে এমন টাইট দেওয়া হচ্ছে যে,বেচে থাকা কষ্টের। এসব কারণে ব্যাংকে আমানতকারীর সংখ্যা কমে গেছে। লাখ লাখ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে।
উন্নয়নের নামে নানা জটিল সব পলিসি গ্রহণ করার ফলে সঞ্চয় পত্র বিক্রির হার ও কমে গেছে । ফলে সেই টাকা সরকারের ঘরে না গিয়ে খোলা বাজারে চলে গেছে । অনেক টাকা পাচার ও হয়ে গেছে । সুইচ ব্যাংকের হিসাব তাই বলছে । যে কোন দেশের অর্থনৈতিক মূল ভিত্তি হচ্ছে , জনগণের সঞ্চয় প্রবণতা । অথচ বিগত কয়েক বছরে জনগণের সেই সঞ্চয় প্রবণতা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে । মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখবে না, বাধ্য হযে খরচ করে ফেলবে নয়তো মাটির ব্যাংকে জমা করবে। ফলে দেশে শ্রেণি বিন্যাস মাত্রা বেড়ে গেছে । আগে দেশে ধনী,উর্চ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র এই চারটি শ্রেনী ছিলো কিন্তু এখন দেশে রয়েছে মাত্র দুটি শ্রেণী ধনী ও দরিদ্র । উর্চ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনী দুটি ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ব্যাংলাদেশ রেমিটেন্সের পরিমান কমে গেছে রির্জাভ আছে সামান্য । সরকাররে কাছে আর দুই তিন মাস আমদানির টাকা আছে । অন্যদিকে ডলারের দাম বাড়ছে হু হু করে । খুব শীগ্রই হয়তো সেটা ২০০ টাকায় পৌছাবে । দেশে জ্বালানি তেল আছে ৩৬ দিনের । আবার বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে ।
আজ যদি সরকারের হাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির বিশাল অংকের টাকা থাকতো তা হলে এতোটা চিন্তায় পরতে হতো না । যারা পলিসি মেকিং এর নামে দেশে দরিদ্র শ্রেণীর সংখ্যা বাড়াচ্ছে তাদের কিন্তু বেগম পাড়ায় বাড়ি ঘর তৈরি হয়ে গেছে । এখন ও সময় আছে ব্যাংকিং সেক্টরকে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার তা না হলে তলা শূন্য ঝুড়ি হয়ে গেলে কেউ আর ফল রাখতে এগিয়ে আসবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৮