চলমান বাংলাদেশে মৃত্যু অত্যন্ত সহজ-স্বাভাবিক বিষয়; মানুষের জীবন অত্যন্ত তুচ্ছ-মূল্যহীন। মানুষ মরছে পাখি-পিঁপড়ার মত। মানুষ মানুষকে মারছে অত্যন্ত নৃশংস-মধ্যযুগীয় পন্থায়। রাষ্ট্র-সমাজ-ব্যক্তি প্রত্যেকেই খুনোখুনীতে লিপ্ত। রাষ্ট্রীয় ক্রসফায়ার যেমন রাষ্ট্রযন্ত্রের বিশাল হত্যাযজ্ঞের নাম; তেমনি বাংলাদেশে মানুষে-মানুষে সংঘর্ষ-মৃত্যু দেখিয়ে দেয় আমরা ভোটের রাজনীতির 'ডিজিটাল' তকমা লাগালেও পাশবিকতা এখনও আষ্টেপৃষ্টে। আর গণপিটুনিতে সন্দেহজনক অপরাধীকে মারাতো রীতিমত নৃশংসতা, পশুর স্তরের মানসিকতা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রোববার মধ্যরাতে। ঘটনাস্থল রাজধানীর অদূরে সাভারের আমিনবাজারের বরদেশী গ্রাম। রাত আড়াইটার দিকে বরদেশী গ্রামেই ঘটে এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা।
'ডাকাত' সন্দেহ ; আর গড়িমসি না করেই গ্রামবাসীর গণপিটুনি। আর সেই সাথে মারা গেলেন ছয়জন। পরে দেখা গেল, তারা আসলে ডাকাত নন, সবাই ছাত্র। ঢাকা শহরেরই বিভিন্ন নামিদামি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তারা। নিহতরা হলেন তৌহিদুর রহমান পলাশ (বাংলা কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র, ২০), ইব্রাহীম খলিল (বাংলা কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র, ২১), কামরুজ্জামান কান্ত (বাংলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে ১ম বর্ষের ছাত্র, ১৬), টিপু সুলতান (তেজগাঁও কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র, ১৯), সিতাব জাবীর মনির (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্র, ২০) এবং শামস রহিম সাম্মাম (ম্যাপললিফে ‘এ’ লেভেলের ছাত্র, ১৭)। এর মাঝে বেঁচে যাওয়া একমাত্র এবং হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সাক্ষী আল-আমিন (বয়স আনুমানিক ২২) মারাত্মক আহত অবস্থায় এখন ডাকাতির দায়ে আটক। তাদের সবার বাড়ি মিরপুরের দারুস সালাম ও শ্যামলী এলাকায়।
হোক তারা ডাকাত; কিন্তু প্রশ্ন হল এত বড় বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের অধিকার জনগণের আছে কি ? সন্দেহের অভিযোগে যদি মৃত্যু নেমে আসে তাহলে সত্য প্রমাণের বালায় ? আবার অপরাধ যেহেতু সমাজ কর্তৃক সৃষ্ট রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ফল, তাই প্রত্যেক অপরাধীরই বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। রাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধী, ঋণখেলাপী, দুর্নীতিগ্রস্থরা বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাচ্ছে, আর ডাকাত সন্দেহে মৃত্যুবরণ করল কিছু ছাত্র!! এখন সন্দেহ, পরবর্তীতে সত্য যদি হয় উল্টোটা তাহলে কি অপরাধী হয়ে যাবে না সমাজ, রাষ্ট্র আর গনপিটুনির নায়কেরা ? তার চেয়ে বড়কথা, এই যুগে পিটিয়ে হত্যা মধ্যযুগীয় নৃশংসতাকেইতো টেনে আনে। আধুনিক রাষ্ট্র, আইন বিচারের কিইবা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে জনগণ কর্তৃক আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর রাষ্ট্রে তা ঘটছে প্রধানত দু'টি কারণে: এক, প্রচলিত আইনের প্রতি জনগণের বিশ্বাসহীনতা আর দুই, রাষ্ট্র নিজেই যখন বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড চালু রাখে, তথন তা জনগণের মাঝে প্রতিফলিত হবেই।
বাংলাদেশের আইনের উপর জনগণের বিশ্বাস ক্রমহ্রাসমান; এমনকি নেই বললেও চলে। জনগণ চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার আগেই গণপিটুনিতে হত্যা করছে অহরহ। কারণ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া মানে অপরাধীর নিশ্চিত শাস্তিবিহীন ছাড়া পাওয়া। কারণ অপরাধী থানায় যাওয়ার সাথে সাথে উপরের চাপে, ঘুষের বিনিময়ে, আইন ব্যবস্থার অকার্যকারিতার গলদে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর এমন রাষ্ট্রে জনগণই হয়ে উঠে অপরাধী নির্ণায়ক, জনগণই বিচারক; আর অত্যন্ত দ্রুতগতির সেই বিচার প্রক্রিয়া হলো গণপিটুনির মাধ্যমে মৃত্যু বা বিকলাঙ্গ করে দেয়া। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনা পুরোপুরি আইন-বিচার নির্ভর। আবার আইন-বিচার ব্যবস্থায় গলদ কমবেশি সব দেশেই আছে। কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে আমরা দেখি পুরো আইন-বিচার ব্যবস্থাটাই কুক্ষিগত করা, ফলে তা দিন-দিন এক অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রের উচিত অতি অবশ্যই আইনের পথে এগুনোর। সবকিছু আইন-বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মীমাংসা আর জনগণকেও সেই প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করা। তার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আইন-বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখা এবং জনগণের নিকট বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। সাভারের ঘটনাটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ডাকাত সন্দেহে ধৃতদের এলাকাবাসী পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে গণপিটুনিতে মারল তার বড় কারণতো জনগণের আইন-বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাসহীনতা, তাই এক খুনের দায়-ভারও রাষ্ট্রের উপর।
আবার কেন চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী ধরা পড়লেই জনগণ উৎসাহে গণধোলাই দেয়; মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ? এই বিচারবহির্ভুত ধারা তো রাষ্ট্রীয় বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডেরই 'পাবলিক সংস্করণ'। এখন আমাদের দেশে বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জন্মের পর শেখ মুজিবের সময়কালে কমিউনিস্ট নিধন থেকে শুরু করে হাল-আমলে র্যাবের ক্রসফায়ার, এই সবই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস; যা এখনো স্বদম্ভে দণ্ডায়মান। রাষ্ট্র নিজের জন্য হুমকী মনে করে যখন হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে এবং হত্যাকে জায়েজ করতে চায়, তখন তা অশুভ পরিণতি ডেকে আনে; আর সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার ব্যপক সংক্রমণ ঘটে।
থানায় আটক আল-আমিন তার বেঁচে যাওয়ার বর্ণনা দেন এভাবে, "আমরা সাত বন্ধু রাত একটার দিকে রিকশায় দারুস সালাম থেকে গাবতলী পর্বত সিনেমা হলের সামনে নামি। এরপর হেঁটে আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে বরদেশী বালুর মাঠে (ক্যাবলার চর) এসে থামি। কিন্তু কোথায় গাঁজা পাওয়া যাবে, খুঁজতে খুঁজতে রাত দেড়টা বেজে যায়। একপর্যায়ে লোকজন “ডাকাত ডাকাত” চি ৎ কার শুরু করে। এ সময় ভয়ে দক্ষিণ দিকে ক্যাবলার চরের দিকে দৌড় দিই। আমরা ভেবেছিলাম, গ্রামের বাইরে চলে গেলে লোকজন আসবে না। কিন্তু ফল হয় উল্টো। গ্রামবাসী চিৎকার শুরু করলে শত শত লোক টর্চলাইট ও লাঠি হাতে ছুটে আসতে থাকে। শুরু হয় মারধর...একপর্যায়ে আমি এক মুরব্বির পায়ে ধরে বলি, আমরা ডাকাত না, ঘুরতে এসেছি। তবু ওই মুরব্বি নির্দয়ভাবেই আমাকে মারতে থাকেন। এরপর আমি আরেক মুরব্বির পায়ে ধরে বলি, চাচা, আমাকে বাঁচান। ওই চাচার হাত থেকে রেহাই না পেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দারোগার পায়ে ধরি। তখন দারোগাকে বলতে শুনি, আপনারা সবাইকে মেরে ফেললে তো সমস্যা হবে। একজনকে অন্তত বাঁচিয়ে রাখেন। এরপর লোকজন আমাকে মারা বন্ধ করে।"
আল-আমিনের বর্ণনা থেকে কিছু ব্যাপার সহজেই অনুমেয়। তারা আর দশটা সাধারণ ছেলে থেকে ভিন্ন কিছু ছিল না, আর ঢাকা শহরে গাঁজা বা একটু-আধটু মদ্য পান করাটা নিশ্চয় বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই আমরা অথবা আমাদেরই কোন ভাই/বন্ধু তা করতে পারে; এজন্য এরা সবাই ডাকাত, আর এদের সবাইকে মেরে ফেলতে হবে ? ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় নিষ্পেশনে এই সমাজের মানবিকতাগুলো ক্রমেই নেই হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে ছেলেকে পাশ না করানোর 'অপরাধে' স্কুল মাস্টারকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করে নিরীহ (!) পিতা; যেখানে নারী নির্যাতন উপভোগের জিনিষ; যেখানে রাজাকারদের সালাম করার জন্য জুম্মা'র নামাজের পর মসজিদে মানুষের লাইন দেখা যায়; যেখানে অতিথি পাখি মারার প্রতিবাদে আন্দোলন হয় কিন্তু আর র্যাবের ক্রসফায়ার নিয়ে 'সুশিলেরা' মানব-বন্ধনে স্তিমিত, কারণ ক্রসফায়ার নিয়ে আন্দোলনের খবর মিডিয়াতে না আসলেও এইসব পুতুপুতু পাখি আন্দোলন আর মানব-বন্ধনের খবর ঠিকই আসে। সব শেষে আল-আমিনের ত্রাতা (!) হিসেবে উপস্থিত হন দারোগা, যিনি একজনকে বাঁচিয়ে রাখার নির্দেশ দেন খুনি সাধারণকে। অবৈধ দখল করা বালুমহাল ও এতে সংঘটিত অপরাধ কর্মে পুলিশের কমিশন ছিল সুনিশ্চিত। এতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীতে পরিণত হওয়া পুলিশের দৌড়াত্ম খুব সহজেই বোঝা যায়। তারা নাকি ডাকাতি করতে গিয়েছিল! অথচ প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা যাচ্ছে সেরকম কিছু নয়। তাদের হাতে নাকি অস্ত্র ছিল (পুলিশের ভাষ্যমতে ২টা ভোঁতা চাপাতি আর রাম দা)! প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন সেই অস্ত্রে কারো আহত হওয়ার প্রমাণ মেলেনি! আল-আমিনও তার বর্ণনায় একথা বলেছেন।
তবে ঘটনাটির মোটিভ এখনো পরিষ্কার নয়। হতে পারে-
১. এদের কারো বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রুতা ছিল, এক-দু'জনের কারণে বাকিরা ভিকটিম হয়েছে এবং পুলিশ জ্ঞাত।
২. অন্য একটি ডাকাতদলের সাথে এদের গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
৩. ওই অঞ্চলের মানুষগুলো ইয়াবা, হেরোইন, মাদকের ব্যবসায়ী। সেখানে পুলিশ/র্যাব সদস্যদের ধরে নিয়ে হত্যা করার নজিরও আছে। ছেলেগুলো হয়ত যা দেখা উচিৎ নয় তেমন কিছু দেখে ফেলেছিল।
ক্রমাগত পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ গ্রামবাসী নিজেরাই সম্পদ পাহারা দেয় এবং সেখানে যে কেউ গেলে মনে করে ডাকাত বা তার দখল করা সম্পদ কেড়ে নিতে এসেছে। গ্রামবাসী পাহারা দিচ্ছে বসত ভিটা নয়, দখলকৃত বালুমহাল; যা হলো অপরাধের রাজত্ব, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে হেন অপরাধ নেই, যা সেখানে সংগঠিত হয় না। এই সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে দখল ও অপরাধের ব্যবসা চলে পুলিশ-প্রশাসন-মন্ত্রী-এমপি'দের কমিশন দেওয়ার মাধ্যমে। এটা খেয়াল করতে হবে, কারণ এর সাথে জড়িত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
রাষ্ট্র পরিচালিত বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডগুলো অবলীলায় সুশীল সমর্থনে চলার ধারাবাহিকতায় এখন সকলেই "ক্রসফায়ার" এ উৎসাহী। একজন ভিক্ষুক এক খণ্ড রুটি চুরি করে ধরা পড়লে তাকেও সমবেত 'ক্রসফায়ার' এ হত্যা করা হতে পারে, হচ্ছেও। এটা এই রাষ্ট্রের ললাটে "গৌরবতিলক"!!
র্যাবের ক্রসফায়ার মানেইতো আইন-বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। রাষ্ট্র নিজেই যেখানে বলছে, 'আইন-বিচার এসবের প্রতি আমি আস্থাহীন', সেই সাথে রাষ্ট্র তার শোষণ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার নিমিত্তে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী র্যাব বা পুলিশ দ্বারা যখন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ফেলে, তখন সাধারণ মানুষের রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা খুব সামান্যই অবশিষ্ট থাকে। এর সর্বশেষ ভয়াবহ বহির্প্রকাশ আমিনবাজারের বরদেশী গ্রামে ৬ জনের গণপিটুনিতে মৃত্যু। আর এমতাবস্থায় জনগণের এই নৃশংস বিচার প্রক্রিয়া সর্বক্ষেত্রেই চলতে থাকবে।
রক্তের সাথে, খুনের সাথে এই জনপদের সম্পর্ক বহু আগে থেকেই, এই অঞ্চলের কোন আন্দোলন-সংগ্রাম রক্ত ছাড়া সফল হওয়ার নজির নেই। আর এই হত্যাকাণ্ড শোষণবাদী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কর্তৃক সম্পাদিত সমাজে সৃষ্ট ক্যান্সারের একটি ক্ষতমাত্র। অপরাধীর মৃত্যু নয়; অপরাধীর সংশোধন এবং অপরাধের মৃত্যুর মাধ্যমেই সমাজের কল্যাণ আসে, কারণ সেই অপরাধীও এই রাষ্ট্রেরই সৃষ্টি। আজ মানবতার চরম অভাব এই সমাজে, যার জন্ম এক শোষক রাষ্ট্রযন্ত্রের বীর্যে। এই হত্যাকাণ্ড সমাজের কতিপয় ব্যক্তিকর্তৃক সংগঠিত হলেও পরিবর্তনটা প্রথমে দরকার রাষ্ট্রের, এরপর সমাজের তারপরই তা ব্যক্তিতে প্রতিফলিত হবে। এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আন্দোলনের, সেই সাথে দিতে হবে রক্ত; যা এই জনপদের আন্দোলন-সংগ্রামের পূর্বসুত্র। নইলে সাধারণ মানুষের খুনোখুনি চলছে-চলবে রাষ্ট্রব্যাপী।।
লিখেছেন: লিটন চন্দ্র ভৌমিক ও শাহেরীন আরাফাত
(কৃতজ্ঞতা: মনজুরুল হক-এর প্রতি)
মূল লেখা
বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড :: রাষ্ট্রযন্ত্র সৃষ্ট ক্যান্সারটির সামাজিক প্রতিফলন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
এখানে সেরা ইগো কার?
ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।
‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন