সহস্র চেষ্টায়ও আর আমি কবিতা লিখতে পারি না।
প্রকৃতি এখন কবি,
নিজেই কবিতা লিখে।
যে মা তার নিষ্পাপ শিশুর মুখে তুলে দেয় বিষ-মিষ্টি
অচেনাকে তুলে দেয় ভালোবাসা,
সেটা নিয়ে প্রকৃতি কি নিঠুর কবিতাই না লিখল-
কি এক বিতৃষ্ণা মা আর বাবা আর মানুষের...
আহারে অতৃপ্তি! আহারে ঘৃণা,
আসিফার থেতলানো মুখে কি কঠিন বাঁচার আকুতি
আরব সাগরে ডুবে থাকা আয়লানের কি অভিমান,
আমার আগেই মুখ থুবড়ে চেয়ে থাকে প্রকৃতি,
কি যেনো মর্সীয়া লিখবে সে!
কাঁটাতারের ফেলানি,
বর্ডারে গলিত কৃষকের দেহ,
নাফ নদীর ভেসে ওঠা মনুষ্য-মাছ
শোকার্ত জেরুজালেমের আযান
কিংবা ইউক্রেনের আকাশে বোমারু বিমান,
শব্দে-নিঃশব্দে,প্রকৃতি রচে ইতিহাস কাব্য।
প্রকৃতি বড়ই সময়-সন্ধানী কবি!
হুট করে কিছুই লিখলে না,
বিগব্যাং থেকে শুরু উত্তরাধুনিক যুগ,
তুমি ছিলে দারুণ নিশ্চুপ!
এখন তুমি বহুরূপী ;
কখনো আস্তিক,কখনো নাস্তিক
কখনো সংশয়বাদী।
তুমি কাউকে শুনাই হিজাবের কারিশমা,
কাউকে দেখাও বিকিনির সতেজতা!
কাউকে বলছো-গো মাংস খাও,
কাউকে বলছো-গোমুত্র
এই যে তোমার বিভাজিত কাব্য-
কখনো শিরোনাম হয়ে আসে-
"জয় শ্রী রাম"
কখনো " আল্লাহু আকবর "
আমি নিশ্চুপ হয়ে রই,একদা তোমার মতই।
বিড়বিড় করে পড়ি তোমার
মহাকাব্য-
আর চেয়ে থাকি নতুন যুগের পানে-
সময় হলে : একদিন কবিতা লিখব বলে।।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২০