ঘটনা-১ঃ জুসের বোতল থেকে টিকটিকি ...
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল। শাহজাহান পুরের পাইপের তলদেশ থেকে শিশু জিয়াদ/জিহাদের অস্বাভাবিক কান্নার শব্দে পুরা বাংলাদেশ প্রকম্পিত সারাদিন সারারাত । 'তাকে জুস দেওয়া হয়েছে সে জুস খাচ্ছে', 'সে আমাদের কাছে বাচার আকুতি জানিয়েছে', 'সে রশি বেয়ে উপরে আসতে পারছে না'। কিন্তু শেষ রাতে পাইপের তলদেশে ক্যামেরা পাঠিয়ে কেবল একটি টিকটিকি আর কিছু আবর্জনা পাওয়া গেছে। ক্যামেরায় কোন জুসের প্যাকেট দেখা যায়নি। জুসের প্যাকেট তাহলে গেল কোথায় নাকি ৪০০ ফুট নিচে যেতে যেতে জুসের প্যাকেটটি টিকটিকিতে পরিনত হয়েছে!!
ঘটনা-২ঃ ১০০ টাকা থেকে ৫০ টাকা ...
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর কাছে ধানমন্ডিতে দেখা করতে আসেন তার প্রামারী স্কুলের শিক্ষক। সেদিন বঙ্গবন্ধু অনেক ব্যস্ত থাকায় তার পিয়নকে ১০০ টাকার একটি নোট দিয়ে সেটি শিক্ষককে দিতে বললেন আর তার কাছে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে বললেন। বঙ্গবন্ধু এও বললেন যে তুমি উনাকে বল পরে একদিন তার সাথে দেখা করব। কিন্তু সেই ভদ্রলোক চলে যাননি, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে রাতের দিকে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত পেলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বললেন বাবা আমি টাকার জন্যে আসিনি আমি তোমাকে একনজর দেখতে এসেছিলাম। তোমার ৫০ টাকা আমি পেয়েছি, এই নাও বাবা আমার টাকার লাগবে না। তোমাকে দেখতে পেরেই আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ১০০ টাকা কি করে ২ তলা থেকে নিচ তলার ড্রয়িং রুমে আসতে আসতে ৫০ টাকা হয়ে গেল এই চিন্তায় বঙ্গবন্ধু মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলেন!!
ঘটনা-৩ঃ আমার কম্বল কোথায় ...
বঙ্গবন্ধু কোন এক জনসভায় বলেছিলেন- 'এই শীতে দেশের ৭.৫ কোটি মানুষের জন্যে ৭.৫ কোটি কম্বল এসেছে, কিন্তু আমার কম্বল কোথায়। দেশ স্বাধীন হলে মানুষ পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের (বালের) খনি।'
শেষ ঘটনাঃ ঢাবি ভিসির শাহজাহানপুরের পাইপ ভিসিট...
আমি ঘটনার সাথে এটার কোন লজিক্যাল কারন খুজে পাইনা। অবশ্য একটা কারন আছে তিনি টিভিতে নিজেকে দেখতে বড় বেশি পছন্দ করেন।
হুজুগে দেশ, হুজুগে মিডিয়া, হুজুগে আমরা ... এই হুজুগের শুরু আছে শেষ নাই ...