খবরঃ দিনাজপুরের শাহিদুল হেকমত অবলম্বন করে কুদরতি কায়দায় জ্বালানি ছাড়া বিদ্যুৎ উতপাদনের বিশাল আবিষ্কর্তা। তিনি তার অস্বাভাবিক দেশপ্রেমের কারনে এক কানাডিয়ান কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ভেতরের খবরঃ
১। শাহিদুলদের এইসব বিরাট বিরাট আবষ্কার বঙ্গদেশে নতুন কিছু নয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের একজন সাবেক প্রধান কি করে তার উপদেষ্টা হন এটা কোনভাবেই আমি মাথায় ঢুকাতে পারছি না সম্ভবত যাদের বিজ্ঞানের ন্যূনতম জ্ঞান আছে তাদের কারোর মাথাতেই ঢুকবে না। আমি যতটুকু বুঝি হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সুত্রের মত "শাহিদুলীয় দেশপ্রেম আর পদার্থবিদ্যা একইসময়ে একজন ব্যক্তির মাঝে বর্তমান থাকতে পারে না'। ... তবে কেউ যদি মনে করেন একটা থাকে মাথায় আর অন্যটা পেটে তাহলে ভিন্ন কথা।
২। এটিএন বাংলার উপস্থাপিকাকে দেখে মনে হয়েছে শাহিদুলের দেশপ্রেম আর আবিষ্কারে তিনি এতটায় মুগ্ধ যে অনুষ্ঠান শেষ করার আগেই যদি সুযোগ পেতেন তাহলে শাহিদুলের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিবি হয়ে নিজেকে ধন্য করতেন।
৩। যে দেশে এরকম মিডিয়া আর মানুষজন থাকবে সে দেশে নতুন নতুন এম.এল.এম কোম্পানি আর দেশপ্রেমিক শাহিদুলদের আবির্ভাব হরহামেশায় হতে থাকবে। তবে জ্বালানিবিহীন বিদ্যুতে সে আর খুব একটা এগুতে না পারলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে যোগদিলে তার জন্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এটা নিশ্চিত।
৪। শাহিদুল যদি কানাডিয়ান কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকার অফার প্রত্যাখ্যান না করে ওই টাকা নিয়ে তার নিজের এলাকার উন্নয়ন করতেন তাহলে কি সেটা আরেকটু বেশি দেশপ্রেমের পর্যায়ে পড়ত না? অবশ্য আমি নাদান মানুষ অত দেশপ্রেম বুঝি না।
৫। শেষ কথাঃ শাহিদুল যা দাবি করছেন (৩ কিলোওয়াট থেকে ৩০ কিলোওয়াট বিদ্যুত উতপাদন) সেটার জন্যে তার একদল জ্বিনের দরকার মানে তাকে জ্বিনের বাদশা হতে হবে অথবা বিজ্ঞানের সব সুত্র নতুন করে লিখতে হবে।
দরকারি লিঙ্কঃ
শাহিদুলের সংবাদ সম্মেলন
শাহিদুলের সাক্ষাতকার
এক বুয়েটিয়ানের অভিজ্ঞতা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৮