বানান আসরে সবাইকে স্বাগতম। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বিরতির পর আবার বানান আসর শুরু করতে যাচ্ছি। এবার ইচ্ছা আছে বানানের এ আয়োজন শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।
বানান বিভ্রাটে প্রায়ই আমরা উঁয়ো (ঙ) ও অনুস্বর (ং)-কে একাকার করে ফেলি। এই বিভ্রাটে অনেক সময় যুক্তবর্ণ ঙ্গ (ঙ + গ)-ও যোগ হয়। এই তিনটি বর্ণের কোনটি কখন কোথায় বসবে তা নিয়ে কমবেশি আমরা অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। এই ঙ, ং এবং ঙ্গ অনেক সময়ই একে অপরের স্থান দখল করে নেয়। ফলে আমাদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও বানান ভুল হয়ে যায়, যা লেখক এবং পাঠক উভয়কূলের জন্যই বিব্রতকর। আজকের আসরে সেই দ্বন্দ্ব দূর করার চেষ্টা করা হবে।
উঁয়ো (ঙ) ও অনুস্বর (ং) পরিচিতি
উঁয়ো (ঙ)-এর খণ্ডরূপ হলো অনুস্বর (ং)। একে অনুস্বারও বলে। অনুস্বর ‘অ’ উচ্চারণ বিরতি একটি বর্ণ। ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে এমন আরেকটি বর্ণ রয়েছে মাত্র, তা হলো ত-এর খণ্ডরূপ ‘ৎ’। এ দুটি বর্ণকে হসবর্ণ বলে। মূলত এরা স্বতন্ত্র বর্ণ নয়। এরা ঙ, ত-এর খণ্ডরূপ মাত্র।
অনুস্বর অনেকটা স্বরবর্ণের মত। তাইতো বাংলায় সর্বাধিক প্রচলিত পাঁচটি অভিধানের (জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাঙ্গালা ভাষার অভিধান, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ, রাজশেখর বসুর চলন্তিকা, সংসদ বাঙ্গালা অভিধান ও বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান) বর্ণানুক্রমে অনুস্বারকে স্বরবর্ণের শেষে নিয়ে আসা হয়েছে। কেননা এ বর্ণের আচরণ অন্য ব্যঞ্জনের মতো নয়। ক্ + অ = ক; কিন্তু ং + অ = কোনো কিছুই না। তবে অন্য ব্যঞ্জনের ঘাড়ে বা পিঠে বসতে পারলে (কিছুটা বিসর্গ বা চন্দ্রবিন্দুর মতো) তখন একটি ধ্বনি তৈরি করতে পারে। ক্ + অ + ং = কং। অর্থাৎ পরিচয়ের দিক থেকে ব্যঞ্জনবর্ণ হলেও অনুস্বরের আচরণ অনেকটা স্বরবর্ণের মতো।
অন্যদিকে বাংলায় অনুস্বর (ং) তার পরিচয় নিয়ে যতটা সঙ্কটে ভোগে, উঁয়ো (ঙ) ততটা নয়। উঁয়ো (ঙ) একটি ব্যঞ্জনবর্ণ, তালিকায় পঞ্চমে যার অবস্থান। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ভাষা বিজ্ঞানি ও কথাসাহিত্যিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর বেগম জাহান আরা বলেন, “মূলে ‘ঙ’ আর ‘ং’, দুটোই ‘অং’ ধনি দেয়। বর্ণমালা সংস্কারে যদি বর্ণ কমাতে হয় কোনদিন, তাহলে অনুস্বার-কে বাদ দেয়া যাবে সহজে। যেমন এখন খন্ড-ত প্রায় বাদই গেছে।” (বাংলা ট্রিবিউন : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)
ঙ এবং ং-এর বানানধারা
বানানধারা ১ : যেখানে শুধুমাত্র ঙ প্রযোজ্য
ক বর্গের (ক, খ, গ, ঘ) পূর্বে ‘অং’ (ng) ধ্বনির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ঙ ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ
ঙ্ + ক (ঙ্ক): অঙ্ক (অংক নয়), আতঙ্ক (আতংক নয়); এমনিভাবে, অঙ্কুর, আশঙ্কা, কঙ্কর, কঙ্কাল, কেলেঙ্কারি, চিত্রাঙ্কন, পঙ্কিল, বঙ্কিম, শশাঙ্ক।
দ্রষ্টব্য পঙ্ক্তি বানানটি বেশ মজার।
ঙ্ + ক্ষ (ঙ্ক্ষ): আকাঙ্ক্ষা, হিতাকাঙ্ক্ষী
ঙ্ + খ (ঙ্খ): উচ্ছৃঙ্খল, পুঙ্খানুপুঙ্খ, শঙ্খ
ঙ্ + গ (ঙ্গ): অঙ্গ, অঙ্গার, অঙ্গীকার, অঙ্গীভূত, অঙ্গুরি, আনুষঙ্গিক, অন্তরঙ্গ, আঙ্গিক, ইঙ্গ-বঙ্গ, ইঙ্গিত, কুরঙ্গ, গাঙ্গেয়, জঙ্গম, পিঙ্গল, প্রাঙ্গন, ভঙ্গুর, ভৃঙ্গু, শৃঙ্গ, সাঙ্গোপাঙ্গ, স্ফুলিঙ্গ
ঙ্ + ঘ (ঙ্ঘ): উল্লঙ্ঘন, জঙ্ঘা, লঙ্ঘন
সুতরাং বানানগুলো লক্ষণীয় :
অশুদ্ধ বানান-----------শুদ্ধ বানান
অংক-----------------------অঙ্ক
আশংকা--------------------আশঙ্কা
আতংক---------------------আতঙ্ক
শংখ------------------------শঙ্খ
অংগ------------------------অঙ্গ
আকাংক্ষা-------------------আকাঙ্ক্ষা
বংগ------------------------বঙ্গ
সংগ ----------------------সঙ্গ
সংগী-----------------------সঙ্গী
বংকিম---------------------বঙ্কিম
কাজেই ক বর্গের আগে ঙ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিমত নেই। বরং ওপরের উদাহরণগুলোর মতো অনেক তৎসম শব্দেই শুধু ঙ শুদ্ধ, কিছুতেই ং ব্যবহার করা চলে না।
বানানধারা ২ : সন্ধির ক্ষেত্রে যেখানে উভয় (ঙ বা ং) সিদ্ধ
পূর্বপদের শেষ বর্ণ কেবলমাত্র ‘ম্’ হলে এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ‘ক খ গ ঘ’-এর যে কোনটি হলে সন্ধির নিয়মে ‘ঙ’-র বিকল্পে অনুস্বর ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে বানানে সরলতার জন্য এসব ক্ষেত্রে অনুস্বরই বহুল প্রচলিত।
কয়েকটি উদাহরণ দেখা যাক :
প্রিয়ংবদা = প্রিয়ম্ + বদা
বশংবদ = বশম্ + বদ
সংস্কৃত = সম্ + কৃত
সংবর্ধনা = সম্ + বর্ধনা
সর্বংসহা = সর্বম্ + সহা
সংহার = সম্ + হার
অলংকার= অলম্+কার। অনুরূপ : অলংকৃত
সংশয় = সম্ + শয়
কিংকরী = কিম্ + করী। অনুরূপ : কিংকিণী
সংবাদ = সম্ + বাদ
সংগীত = সম্+গীত। অনুরূপ : সংগতি, সংলাপ, সংকলন, সংঘাত, সংকীর্তন, সংকুল, সংকট, সংকর, সংকলক, সংকল্প, সংকীর্ণ, সংকীর্তন, সংকোচন, সংঘর্ষ
অহংকার = অহম্+কার
ভয়ংকর = ভয়ম্+কর
শুভংকর = শুভম্+কর
হুংকার = হুম্+কার
ঝংকার= ঝম্+কার। অনুরূপ : ঝংকৃত
শংকরী = শম্+করী।
দ্রষ্টব্য কিংকর্তব্য, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সংক্রান্ত, সংক্রান্তি, সংক্ষিপ্ত, সংক্ষুব্ধ, সংক্ষোভ, সংখ্যা, সংখ্যক, সংগঠন, সংগোপন, সংগ্রাম, সায়ংকাল, সায়ংকৃত ইত্যাদি বানানে কেবলমাত্র অনুস্বারই হবে।
সন্ধির ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে ং লেখার জন্য বলেছে বাংলা একাডেমি। ফলে শব্দের উৎপত্তি যেমন বোঝা যাবে, তেমনি একই রকম নিয়ম অনুসরণ করতে হওয়ায় মনে রাখাটাও সহজ হবে। মনে হয়, বাংলা একাডেমি এসব দিক চিন্তা করেই উক্ত নিয়মটি করেছে এবং উদাহরণ হিসেবে সেখানে অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন প্রভৃতি শব্দ উল্লেখ করেছে।
বানানধারা ৩ : যেখানে শুধুমাত্র অনুস্বর (ং) প্রযোজ্য
সন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ণ ম্ হলে পরপদের প্রথম বর্ণ অন্তস্থ বর্ণ (য র ল ব) বা উষ্ম বর্ণ (শ ষ স হ)-এর যে কোন একটি থাকলে ম্ পরিবর্তন হয়ে সর্বদা অনুস্বর (ং) হবে। অর্থাৎ ম্ + অন্তস্থ বর্ণ (য র ল ব) বা উষ্ম বর্ণ (শ ষ স হ) = অনুস্বর। যেমন :
কিম্- কিংবদন্তি, কিংবা, কিংশুক
সম্- সংবৎসর, সংবরণ, সংবর্ধনা, সংবলিত, সংবিৎ, সংবিধান, সংরক্ষণ, সংশপ্তক, সংশ্লেষণ, সংস্করণ, সংস্ক্রিয়া, সংহিতা, স্বয়ংবর
দ্রষ্টব্য সম্বন্ধ, সম্বল, সম্বোধন এগুলি এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয় কারণ এখানে পরপদের ‘ব’ বর্গীয়-ব, অন্তস্থ-ব নয়।
বানানধারা ৪ : সংস্কৃত থেকে আগত কিছু শব্দ মূলত অনুস্বর
অংশ, অংস, কাংস্য, জিঘাংসা, দংশন, দংষ্ট্রা, নপুংসক, নৃশংস, পাংশু, পুংলিঙ্গ, প্রাংশু, প্রিয়ংবদা, বৃংহণ, মীমাংসা, রিরংসা, শংসাপত্র, হিংসাত্মক
বানানধারা ৫ : তদ্ভব ও দেশি শব্দে অনুস্বর
এসব ক্ষেত্রে ‘অং’ (ng) উচ্চারণে সাধারণত অনুস্বর হয়:
আংটি, গাংচিল, চিচিংফাঁক, চিৎপটাং, চ্যাংদোলা, ঝপাং, ডাংগুলি, তিড়িংবিড়িং, ভড়ং, ভেংচানো, ল্যাংচানো, ল্যাংড়া
বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের ২.১০ অনুচ্ছেদে বলা আছে-
তৎসম শব্দে ং এবং ঙ যেখানে যেমন ব্যবহার্য ও ব্যাকরণসম্মত সেইভাবে ব্যবহার করতে হবে। এ-সম্পর্কে পূর্বে ১.০৪ অনুচ্ছেদে কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দের বানানের ক্ষেত্রে ওই নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এই ক্ষেত্রে প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন : রং, সং, পালং, ঢং, রাং, গাং। তবে শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরচিহ্ন থাকলে ঙ হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ-দুটি ং দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।
এই নিয়মটির বাকি অংশটুকু বোঝার সুবিধার্থে আসুন উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখি :
উদাহরণ :
শব্দ----প্রত্যয়যুক্ত-----বিভক্তিযুক্ত
রং-------রঙিন-------------রঙের
ঢং-------ঢঙি--------------ঢঙের
সং-------------------------সঙের
গাং------------------------গাঙের
বানানধারা ৬ : বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘অং’ (ng) ধ্বনির উচ্চারণে বর্তমানে প্রায় সর্বত্র অবিকল্প অনুস্বর
যেমন, পূর্বে ব্যাঙ্ক বেশ প্রচলিত থাকলেও, এখন ব্যাংকই অধিকতর গ্রহণযোগ্য।
আংটা, ইংলিশ, ওয়েটিংরুম, কংক্রিট, কিংখাব, ঠুংরি, ডায়ালিং, পিকেটিং, বিয়ারিং, শিলিং
দ্রষ্টব্য কঙ্গো, ক্যাঙ্গারু, চাঙ্গা, জঙ্গি, ডেঙ্গু, দঙ্গল, নাঙ্গা, লুঙ্গি, হাঙ্গামা প্রভৃতি ব্যতিক্রম।
বানানধারা ৭ : ঙ নাকি ঙ্গ (ঙ+গ)
কিছু কিছু শব্দে ঙ এবং ঙ্গ দুটো বানানই প্রচলিত, যার ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে উচ্চারণ-নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য কোমল উচ্চারণের ক্ষেত্রে ঙ এবং যুক্তধ্বনি (ঙ+গ) উচ্চারণের ক্ষেত্রে ঙ্গ ব্যবহার করাটাই শ্রেয়। যেমন :
কোমল (ঙ) উচ্চারণের ক্ষেত্রে-
বর্জনীয় বানান---------প্রার্থিত বানান
বাঙ্গালি----------------বাঙালি
কাঙ্গাল-----------------কাঙাল
ভাঙ্গা-------------------ভাঙা
রঙ্গিন------------------রঙিন
আঙ্গিনা-----------------আঙিনা
নোঙ্গর-----------------নোঙর
আঙ্গুর----------------- আঙুর
গোঙ্গানি-----------------গোঙানি
ঠ্যাঙ্গারে ----------------- ঠ্যাঙারে
ঢ্যাঙ্গা ----------------- ঢ্যাঙা
ল্যাঙ্গট -----------------ল্যাঙট
উপরোক্ত শব্দগুলোতে যুক্তবর্ণ নেই বলে শুধু ঙ হয়েছ। তবে যে সব শব্দে ঙ-এর সাথে গ যুক্তবর্ণ হবে, সেক্ষেত্রে ঙ্গ হবে। যেমন নিম্ন বর্ণিত শব্দসমূহ লক্ষ করুন :
প্রসঙ্গ, অঙ্গ, অঙ্গার, অঙ্গীকার, অঙ্গীভূত, অঙ্গুরি, আনুষঙ্গিক, অন্তরঙ্গ, আঙ্গিক, ইঙ্গ-বঙ্গ, ইঙ্গিত, কুরঙ্গ, গাঙ্গেয়, জঙ্গম, পিঙ্গল, প্রাঙ্গন, ভঙ্গুর, ভৃঙ্গু, শৃঙ্গ, সাঙ্গোপাঙ্গ, স্ফুলিঙ্গ ইত্যাদি।
পূর্বের আসরসমূহ
বানান আসর -১ : ই-কার না ঈ-কার, কখন কী হবে View this link
বানান আসর -২ : ও এবং ও-কার View this link
বানান আসর- ৩ : উ-কার না ঊ-কার view this link
অনুশীলনী
১. উঁয়ো (ঙ)-এর খণ্ডরূপ হলো :
উ : ক. খণ্ড ‘ৎ’ খ.বিসর্গ ‘ঃ’ গ. চন্দ্রবিন্দু (ঁ) ঘ. অনুস্বর (ং)
২. ক বর্গের পূর্বে ‘অং’ ধ্বনির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে কি ব্যবহার করতে হবে?
উ : ক. ং খ. ঙ গ. ঙ্গ
৩. কোন বানানগুলো ভুল?
উ : ক. আকাঙ্ক্ষা, শঙ্খ খ. অঙ্গ, অঙ্গার, ইঙ্গিত, জঙ্ঘা গ. অংক, আতংক, সংগ
৪. বর্তমানে বানানে সরলতার জন্য কোন সব ক্ষেত্রে অনুস্বরই বহুল প্রচলিত?
উ : ক. পূর্বপদের শেষ বর্ণ কেবলমাত্র ‘ম্’ এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ‘ক’ বর্গ হলে খ. ক বর্গের পূর্বে ‘অং’ ধ্বনির ক্ষেত্রে
গ. সাধারণত তৎসম শব্দে
৫. সন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ণ ম্ হলে পরপদের প্রথম বর্ণ উষ্ম বর্ণ হলে কি হবে?
উ : ক. ঙ খ. ং গ. ঙ্গ
৬. সন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ণ ম্ হলে পরপদের প্রথম বর্ণ অন্তস্থ বর্ণ হলে কি হবে?
উ : ক. খণ্ড ‘ৎ’ খ.বিসর্গ ‘ঃ’ গ. চন্দ্রবিন্দু (ঁ) ঘ. অনুস্বর (ং)
৭. উষ্ম বর্ণ কোনগুলো?
উ : ক) য র ল ব খ) ক খ গ ঘ গ) ঙ্, ঞ্, ণ্, ন্, ম্ ঘ) শ ষ স হ
৮. শুদ্ধ শব্দগুলো বাছাই করুন এবং অশুদ্ধকে শুদ্ধ করুন :
অংশ, অংস, শংখ, কাংস্য, আশংকা, জিঘাংসা, বাঙ্গালি, কাঙ্গাল, আঙ্গিনা, অঙ্গুরি, আনুষঙ্গিক, অন্তরঙ্গ, নোঙর, ভাঙা, গাঙ
৯. তদ্ভব ও দেশি শব্দে সাধারণত কী হয় ?
উ : ক. ঙ খ. ং গ. ঙ্গ
১০. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘অং’ (ng) ধ্বনির উচ্চারণে বর্তমানে প্রায় সর্বত্র কী ব্যবহৃত হয়?
উ : ক. খণ্ড ‘ৎ’ খ. উঁয়ো গ. ঙ্গ ঘ. অনুস্বর (ং)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬