"জন্মিলে মরিতে হইবে ।"
"আত্মার সাময়িক অনুপস্হিতি ঘুম,চিরস্হায়ী অনুপস্হিতি মৃত্যু ।"
"মৃত্যু অন্তহীন জীবনে প্রবেশের দুয়ার ।"
____________________________________________________________
ছোট্ট একটা জগত সংসার ।
এই জগত সংসারে যা কিছু যখন হতে সৃষ্টি হয়েছে,আজ অবধি নির্দিষ্ট নিয়মে 'সু - শৃঙ্খলভাবে' পরিচালিত হয়েছে,হচ্ছে এবং মহাপ্রলয়ের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত পরিচালিত হবে,যা আল্লাহ্ তায়ালার এক,অদ্বিতীয় এবং একক সত্ত্বা র নিদর্শনস্বরুপ ।
কোথাও কোন এতটুকু নিয়ম এর ব্যত্যয় নেই । এই যেমন সূর্য প্রতিটা দিন পূর্ব দিকে উঠে,পশ্চিমে অস্ত যায় ।এর ব্যতিক্রম কখনো হয় নি,হবেও না যদি মহান আল্লাহ্ তাআলা কখনো ইচ্ছা না প্রকাশ করেন ।ঠিক তেমনি রাত শেষে দিন আসে,আবার দিন ফুরোলে রাত আসে । সবকিছুতেই নিয়মের প্রতিফলন । কোথাও যেন এতটুকু ব্যতিক্রম নেই ।
........... মানুষ দুনিয়াতে আসাতেও যেন নিয়ম এর প্রতিফলন ?
প্রথমে দু'জন নারী পুরুষ বিবাহের মাধ্যমে বৈধভাবে বসবাস করার অনুমতি পায়,তারপর তারা পরস্পরের সান্নিধ্যে আসে,তারপর নারীর গর্ভধারণ এবং একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিশুর পৃথিবীতে আগমন ।এসব নিয়মের কখনো ব্যতিক্রম হয় নি,তবে মহান আল্লাহ্ তাআলা ইচ্ছা করলে ব্যতিক্রম ঘটাতে পারেন [হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্মলাভ] ।
তারপর শিশু ধীরে ধীরে বড় হয় এবং জ্ঞান লাভ করে ।এ সবই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ।
তবে এতসব নিয়মের মাঝেও একটা ক্ষেত্রে যেন বড্ড অনিয়ম ।
আর তা মৃত্যু ।
অনিয়ম হয় বলেই, বাবা- মা বেঁচে থাকতে আদরের ছেলে মেয়ে বিদায় নেন / কিবা দাদা-দাদী কে কাঁদিয়ে সোনার টুকরো নাতি-নাতনী অন্তিমে যাত্রা করেন । এতে যেন জগত এর সকল অনিয়ম এসে মিশেছে । জীবনের এ দৃশ্য বড়ই বেদনাদায়ক,বড্ড বেশি কষ্টের !
কই এখানে তো কোনো নিয়ম মানা হল না ?
আর এই অনিয়মে যেন কত শত জীবনের আলোর রেখা মুছে যায়, রাতের আঁধারে আকাশের দিকে চেয়ে বেঁচে থাকা জীবনের শুধু বেরোয় ক্ষণ ক্ষণ দীর্ঘশ্বাস ।
এসব কেন হয়? আর কি ই বা এতে লাভ ?
তা তিনিই ভালো জানেন - যিনি জীবনদাতা,সর্বজ্ঞ এবং বিচারকের মহাবিচারক ।
______________________________ বাবা'র উক্তি "আসার নিয়ম আছে,যাওয়ার নিয়ম নেই । "
______________________________