চার প-
প্রেম
পলিটিক্স
পড়ালেখা
পারসোনালিটি (নিজে মাতব্বরি করে যোগ করা)
মেডিকেলীয় পেজে দেখতাম,অণু লেখকরা লিখতেন – মেডিকেলে তিন প কখনো একসাথে চলতে পারে না ।কখনো এক প, কখনো বা দুই প –কিন্তু কখনোই তিন প একসাথে নই ।
প্রথমেই তৃতীয় প –পড়ালেখা ।ছোটবেলা থেকেই চলাফেরা এই প এর সাথে- যেন অকৃত্রিম জীবন সাথী । কখনো যে পড়ালেখা করে চাঁদে দুই পা এক সাথে করে উড়া উড়ি করার স্বপ্ন এঁকেছি -এমনও না । মাটিতেই এক পা এক পা করে হেঁটেছি ,আবার কখনো বা স্থির হয়ে থেকেছি ।তবে আজ তা আরও মন্থর- যেন আগামীকালই এর শেষকৃত্য ।
আর প্রথম প –প্রেম । স্বপ্ন এঁকেছি স্বর্গীয় অপ্সরা কে নিয়ে ,তাই আজো স্বপ্ন আধুরা কারন আমি মর্ত্যের এক মানুষ মাত্র । প্রেমের বীজ নিয়ে স্বপ্ন এঁকেছি , কিন্তু অঙ্কুরিত করার স্বপ্ন আঁকি নি । আর আজ যখন প্রেমের নীলাভ বৃক্ষের স্বপ্ন আঁকতে শুরু করেছি , তখন প্রেমের বীজ কে কীভাবে যতনে লালিত করতে হয় – তা ভুলে গিয়েছি । তাই আজ প্রেমের সাদা কালো বীজ ই শেষ আশা , নীলাভ বৃক্ষ এখন শুধুই কল্পনা মাত্র ।
অন্তিম প – পলিটিক্স । শত মনীষীর জীবনী পড়ার সময় স্বপ্ন এঁকেছি রাষ্ট্রনায়ক হয়ে দেশ সেবার । কিন্তু বাস্তবতা এভাবে আসবে তা কখনো ভাবি নি । কখনো কোনো নেতাকে প্রটোকল দিব , কখনো বা মিছিলে স্লোগান দিব – এসব ছিল কল্পনার বাইরে । কিন্তু আজ সবই হয় । চতুর্থ প – পারসোনালিটি বিবেক কে দংশন করে, তবু জানা মরীচিকার মতন অজানা দুর্নিবার আকর্ষণে এর পিছনে ছুটে চলা । জানি সম্মুখে ধূসর মরুভূমি , তবু নিজের ক্ষত ব্যক্তিত্বের মৃত্যু একটিবার পরখ করার আশায়……………
বাস্তবতা এত নিষ্ঠুর রুক্ষ কেন ?