somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাদা দের দেশ এ ১৪+ ২ ঘন্টা

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রাম এ ১টা প্রবাদ আছে "অল্প পয়সা যার ঘেগা (পঁচা ) বেগুন তার"।
আমার অবস্হা ও কিসুটা সেইরকমই। যা বেতন পাই সেটা দিয়ে দিন আনি দিন খাই। এদিকে হবু বউ ( প্রেম এর বয়স ২ বছর ২মাস) এর আলটিমেটাম জুন মাস এর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশ এ না ফিরলে মামা ডাক শুনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সুতরাং, কি আর করা সুপারভাইজার আর মাথায় বন্দুক ধরে ২০০০$ এর একটা চাঁদা আদায় এবং সবচেয়ে সস্তা (১১০০০০ টাকা মাত্র)একখান বিমান টিকেট কেনা হলো। বালা বাহুল্য এটাই ছিল সবচেয়ে কম দামি টিকেট। তো; যে বিমান কম্পানি টির কাছে আমি কৃতার্থ সেটি হলো ইন্ডিয়ান "জেট এয়ারলাইনস"। ( এই খানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে বিবাহের উদ্দেশ্যে আমার বঙ্গ যাত্রা ৮ই জুন আর আমার সুপারভাইজার একই উদ্দেশ্যে ১০ই জুন তাইওয়ান যাত্রা )

এবার আসি আসল কাহিনীতে । উক্ত বিমান কম্পানি টি মাত্র ৩৭ ঘন্টায় আমাকে টরোন্টোর "পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর" থেকে " "হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছানো এবং ৩৬ ঘন্টায় ফিরার দায়িত্ব নিয়েছিল।


ঘটনা -১: (টরোন্টো -বেলজিয়াম-দিল্লী-ঢাকা)

এই যাত্রা পথে মাত্র ১৪ ঘন্টা যাত্রা বিরতি ছিলো দিল্লীতে (ইন্দ্রাগান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর)। দিল্লী পৌছেছিলাম রাত ১০টায়। বিমান বন্দর এ পৌছেই মানটা খারাপ হয়ে গেলো যখন দেখলাম যে বিমান বোর্ডিং ব্রিজ এ না দারিয়ে খোলা মাঠে দারালো। আত:পর, বিমান থকে নামে সদর ঘাট এর লনঞ এ সিট নেবার মতো পরি মারি করে বাসে উঠে টারমিনাল এ আসা। টারমিনাল এ ঢুকেই বুজতে পারলাম যে আমি ১২০ কোটি লোক এর দেশে এসে পৌছেছি। মানুষ এর ঢল দেখে আর ঘুমানোর সাহস পেলাম না (সঙ্গে ২টা লেপটাপ)B-)। ঢাকার বিমান দুপুর ১টায়। সকাল বেলা খিদায় পেট চোনচোন করে উঠলে গেলাম কিসু একটা খেতে। সঙ্গে রুপি না থাকায় গেলাম ডলার ভাঙ্গাতে। গিয়েই মেজাজটা গেল বিগড়ে যখন সুনতে পেলাম যে একচেঞ্জ হাউজে শুধুমাত্র দাদারাই চেঞ্জ করতে পারবে (ফাদ নং ১)। অগত্য কি আর করা ডলার নিয়ে দকান এ হাজির হলাম (এখানে বালে রাখি খাবার দোকান আছে মাত্র ৫টি)। খাবার এর দাম দেখে তো আমার নি:স্বাস বন্ধ হবার উপক্রোম/:) । পা-ভাজি (২ টাকা দামের ২টা পা-রুটি+ আলু-পটোল এর ঝোল ) ১৩০রুপি আর চিকেন-বারর্গার ২০০ রুপি (যেখানে ম্যাকডোনাল্ড এর চিকেন-বার্গার+ ড্রিনংস ২$ এ পাওয়া যায় ) ।
আমি বুঝতে পারতেছিলাম না হা্ঁসবো না কা্ঁদব !!!!!!!:((
এটাও না হায় সয্য করা গেলো কিন্তু যখন দোকানদার বল্লো যে ১কানাডিয়ান $=৪০রুপি এইবার কি হতে পারে আপনারাই ভেবে নেন সেটা। যাই হোক দাঁত-মুখ চেপে ধরে দিলাম ১০ $ একটা নোট । বল্লাম যে ৫$ কেটে নিয়ে ৫$ ফিরত দেন । সেটাতো দিলো নাই বরং খুচরা না থাকায়
এক কর্মচারীকে দিয়ে সেই একচেঞ্জ হাউজে পাঠিয়ে ৪৫রুপি হিসাবে ভাঙ্গিয়ে এনে আমাকে ৫$=২০০রুপি ধরিয়ে দিলো;)




ঘটনা -২: (ঢাকা - দিল্লী- লন্ডন- টরোন্টো)

ফেরার পথে আবার দাদা দের দেশ এ ২ ঘন্টা :


বার বার নিরাপাত্তা চৌকিতে খুলবার হাত হতে রাক্ষাপেতে বিয়েতে শশুর প্রদত্ত একমাত্র উপহার স্বর্নের চেনটি খুলে Waist Bag নিয়েছিলাম। সঙ্গের কাপড় এর ব্যাগ + ল্যাপটপ ব্যাগ এবং Waist Bag স্কেনিং মেসিন এর দেবার পরে উপস্হিত নিরাপাত্তা রক্ষী মাসিন সংলগ্ন আর্চওয়ে দিয়ে পার হতে না দিয়ে পার্শবর্তী আর্চওয়ে দিয়ে পার হতে বল্ল। তখন ও এই নির্দেশ এর মমুজেজাটা বুঝতে পারি নাই; বুঝতে পারলাম টরোন্টো তে এসে, যখন Waist Bag হাতরিয়ে চেইন টা পেলাম না। এইবার বুঝতে পারলাম যে স্কেনিং মেসিন এ পরিক্ষার সময় চেইন টা ধরা পরার পর দুই হাতের কর্মটা সারার জন্যই দাদাদের ঐ কালক্ষেপনB-)









১১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Dragon: ডিগ্রী লাভের জন্য আপনি কি পরিশ্রম করেছিলেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৮


সাধারণত ভারতীয় মুভি তেমন দেখা হয় না। অনেকদিন পর গত শনিবার একটা ভারতীয় মুভি দেখলাম। আসলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে যুদ্ধের মুভির খুজতেসিলাম যে মুভিতে ভারত পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

কার্যক্রম বন্ধ, কিন্তু দল বহাল: তাহলে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা হচ্ছে কিভাবে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১১

কার্যক্রম বন্ধ, কিন্তু দল বহাল: তাহলে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা হচ্ছে কিভাবে?

ছবিটি তৈরি করা হয়েছে DALL·E দ্বারা—OpenAI-এর ইমেজ জেনারেশন মডেল।

বাল (Bangladesh Awami League = BAL), অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জার্মানিতে নাৎসি দল বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

জার্মানিতে নাৎসি দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ....

জার্মানিতে যেভাব নাৎসি দল নিষিদ্ধ হয়েছিলঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর নাৎসি দল নিষিদ্ধ করা হয়। মিত্রবাহিনী নাৎসিবাদ নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় দলটিকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্যাসিস্টদের পরে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

আমাদের ধর্মে যারা উগ্রপন্থা সমর্থন করেন, তারা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, আমাদের নবীজীর যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর ভবিষ্যতবাণীকে টেনে আনেন। ইসলামের শত্রুরাও এতে লাই পেয়ে যান। কিন্তু, নবীজির বেশির... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-১১ (চলো বসি নদীর পাড়ে আজ)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


ভাসবে অথৈ নদীর জলে, অথবা বসবে নদীর কিনারে
দেখবে সূর্য ডোবা?
যেখানে এলোমেলো হাওয়া বয়,
বসবে আমায় নিয়ে একদিন, খোলা আকাশের নিচে?

এত হাউকাউ, এত চাহিদার ব্যাপ্তি ভাল্লাগে না,
কিছু নির্ভেজাল সময় আমায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×