দেবু-কাহিনীঃ ০২
আজ ভ্যালেন্টাইন ডে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কিন্তু দেবু আর তার বন্ধুদের জন্য আজকের দিনটি বিষাদময়। কারন আজকের দিনে ওদের কে কিছু অখাদ্য গিলে তা পুনরায় বমি করতে হয়েছে পরীক্ষার হলে।
প্রোটোজোয়া নন কর্ডেট নামক কুখ্যাত একটা বইয়ের আদ্যপ্রান্ত মুখস্ত করতে হয়েছে ওদের। মেজাজ তো খারাপ থাকবেই।
যাইহোক এই দিনেও যথারীতি বিধি বাম। পরীক্ষা ফ্লপ হয়েছে দেবুর। এতে অবশ্য তার কোন দোষ নেই। কারন টানা দুই সপ্তাহ জ্বরে ভোগা ছেলেটা আর কিইবা করতে পারতো?
পরীক্ষা শেষে যথারীতি হলের কর্তব্যরত নির্যাতনকারী দের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার পর্ব চুকিয়ে সবাই সিদ্ধান্ত নিল ঘুরতে যাবে। তবে দেবু আড়াল হয়ে যায় সবার মাঝ থেকে কারন সে জানে দেবু থাকলে মারিয়া স্বাভাবিক থাকে না। মারিয়া এক ধরনের হেজিটেশন অনুভব করে।
তাই সব বন্ধুরা গেলেও দেবুর যাওয়া হয়না। তবে মারিয়া একবার বললে হাজারবার প্রস্তুত ছিল। আস্তে আস্তে দূরে সরতে থাকে দেবু।
হডমের গার্লফ্রেন্ড থাকায় আর সাগরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার প্ল্যান থাকায় তারাও যায় না। কোন এক কারনে সাগরের প্ল্যান মিস হয়ে যায়। সেই সুবাদে তিন জন পুনরায় এক হওয়া।
ঠিক হলো ইসিবি চত্তর যাওয়া যাক। সেখান থেকে মানিকদী। সেখানে হডম আর ওর গার্ল ফ্রেন্ডের জন্য কেক কাটা হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ। কেক কাটা কুটি পর্ব সেরে যথারীতি আড্ডায় মেতে উঠা।
ঠিক সেই মুহুর্তে মনে হলো আচ্ছা আজকে তো মারিয়া ঘুরতে গেছে। নিশ্চয়ি ছবি পোষ্ট করেছে এতক্ষনে। একবার দেখে নেয়া যাক।
ফেসবুক ওপেন করতেই দেবুর চোখ মুখ আনন্দে ভরে উঠলো।
পাশ থেকে সাগর বলে উঠলো কিরে ঘটনা কি?
দেবু লাফিয়ে উঠলো আর বলে উঠলো মারিয়া আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করেছে...
সারাদিনের ক্লান্তি, অবসাদ পরিশেষে আনন্দে পরিনত হলো। সেদিন দেবুর আনন্দ দেখার মত কেউ বোধ হয় ছিল না। সব হা হয়ে তাকিয়ে ছিল। সামান্য রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করায় একি কান্ড.....
দেবু সারা রাস্তা মারিয়ার ছবি দেখে আর মনে মনে ভাবে তোমার ভ্যালেন্টাইন গিফট টা আমার দারুন লেগেছে....
Sayeed401598/fb.
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১০