somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষেপণাস্ত্র হবে প্রাণায়াম

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কখনও কিছু লিখতে গেলে, জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বসলে, প্রার্থনায় গেলে, ইত্যাদি সময়ে মস্তিষ্কে যা কিছু আছে সব কিলবিলিয়ে বেড়িয়ে পড়তে চায় উক্ত অসময়ে; ব্যাপারটা কিছুটা বমি উদগিরণ হওয়ার মতন।

বমি ঠেকিয়ে রাখলে যে অবস্থা হবে, ঠিক সেই তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে কিন্তু, যেহেতু বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হচ্ছে অভ্যন্তরে, তাই ঐ মিসাইল উৎক্ষেপণের খোঁজ কারও কাছে পৌঁচ্ছছে না। একেবারেই পৌঁছে না বললে ভুল হবে! নিকটে যদি ঘনিষ্ঠ কেউ থাকে তাহলে হয়তো আক্রান্ত ব্যক্তির হাবভাবে কিছুটা আঁচ করলেও করতে পারে তবে, সম্ভবনা ক্ষীণ। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি যদি যারপর নাই, অনুভূতি শূন্য হয় তবে, তার থেকে কোন বাহ্যিক প্রকাশ অমাবস্যার চাঁদ দেখার মত।

'মস্তিষ্কের বোঝা' খুব বেসামাল উপাদান, বিশেষ করে 'বোঝার উচ্ছিষ্ট'। অন্যসব জিনিসের মতই সেসব গলে, পঁচে, পোকামাকড় হয়, দুর্গন্ধ ছড়ায়, এবং ধীরে ধীরে দেহ তরীর সকল কলকব্জা, যেমনঃ রক্ত, হৃদয়, লিভার, কিডনি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে আক্রমণ চালায়। যা বিশ্রী একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া।

সুতরাং মস্তিষ্কে ভার বহন করা থেকে সাবধান থাকতে হবে। যেহেতু আমরা মানুষ, না চাইলেও অযাচিতভাবে কিছুনা কিছু ভ্রুকুটি আঁচড়ে পাচড়ে উঠে পড়বেই, সেইজন্য শত্রুকে পরাক্রান্ত করার মিসাইল তৈরি করতে হবে, এবং তা যদি হয় পারমানবিক তাহলে সোনায় সোহাগা। কিন্তু কিভাবে? "প্রাণায়াম" চর্চার মাধ্যমে।

"প্রাণায়াম" কি?
সুনির্দিষ্ট আসনে, নির্দিষ্ট মুদ্রায়, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে করা ব্যায়াম হচ্ছে প্রাণায়াম, যা যোগ ব্যায়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এমন অস্ত্র যা সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে, কেউই অনুমান বা অনুভব করতে পারবে না যে, এর শক্তি কতখানি! আমার কথা শুনে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে, ধৈর্য নিয়ে সঠিকভাবে শিখুন। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্র সকল ব্যক্তির থাকা উচিত, নিজের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এই ব্যায়াম প্রায় সকলেই করতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র শিখে ক্ষান্ত হলে চলবে না। আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে শিখে, তা নিয়মিত চর্চা করতে হবে, এবং এর কোন অন্যথা নাই। 'নিয়্যত, চেষ্টা, চর্চা, প্রার্থনা, সম্মিলিতভাবে সাফল্যের চাবিকাঠি।'

'প্রশান্তি' নিজের ভিতরেই। সেই প্রশান্তির সাধনা নিজেকেই করতে হবে। সেই সাধনার জন্যে প্রয়োজন কিছুটা সময়, অধ্যাবসায়। সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি আছি, অনেকেই আছে। শুধুমাত্র আপনার একটু সচেতনতা, ইচ্ছে, সময়, প্রয়োজন। শুভ কামনা!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×