প্রসঙ্গ : সংলাপ বিষয়ক সোজা অংকে বিএনপি নেতাদের ভুল এবং প্রথম আলোর ম্যানুইভারিং প্রচেষ্টা
[১]
সংলাপ বিষয়ক সোজা অংকে বিএনপি নেতাদের ভুল:
সম্প্রতি খালেদা জিয়া যেটা বলেছেন - "এই খুনি সরকারের সংগে কোন সংলাপ নয়"
এটাই হচ্ছে সবচেয়ে অ্যাকুরেট অবস্থান।
খালেদা জিয়া'র পর "সংলাপ" শব্দটির ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো বলেছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিবিসি'র সংলাপে - "সংলাপ হতে পারে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান কে হবে সেটা নিয়ে"......
এর বাইরে মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ সাহেব - দুজনেই ভুল সুরে কথা বলছেন। সহজ অংকটা মেলাতে ভুল করছেন।
দুজনেই বলছেন সংলাপের পরিবেশ , সরকারের আন্তরিকতা এসব বিষয়ে।
এগুলো কোনভাবেই বিষয় হতে পারেনা।
কোকোনাট কুকিজ না বেলা বিস্কুট খাওয়ানো হবে সংলাপের সময় এটা কোন বিষয়ই হতে পারেনা।
এয়ার কন্ডিশন্ড রুমে না ফ্যান ঝুলানো রুমে সংলাপ হবে - এটা কোন বিষয় হতে পারেনা।
সংলাপ হতে পারে কেবল "কেয়ারটেকার সরকারের চিফ অ্যাডভাইসার কে হবে" তা নিয়ে।
খালেদা জিয়ার কঠোর অবস্থানই সঠিক।
এরপর ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকূর বক্তব্য।
সংলাপ বিষয়ে সহজ অংকটা আপনারা না বোঝার কারন কি আমি জানিনা।
হাসিনা জানে ইলেকশন ফেয়ার হলেই সে তার দল সহ ডুববে।
সেটা যেই সরকারের অধিনেই হোক।
এমন তো না যে অবস্থা অবস্থা ১৭-২০ , এখনো আওয়ামী লীগ জিততে পারে।
ওদের অবস্থা শোচনীয়।
ওরা যেহেতু হারবেই - তাহলে কেমন সরকারের অধীনে ইলেকশন হবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কি ?
ওরা মাথা ঘামাচ্ছে - কারন ওরা ব্যালট বাক্স দখল করবে।
ওরা এখন যত প্রস্তাব দেবে সব ওদের ব্যালট বাক্স দখল করার ধান্দা থেকে।
ভুলেও নমনীয় সুরে কথা বলবেন না।
ওরা ঘাড় ত্যাড়ামো কতদুর করতে পারে করতে দিন।
তাওয়া গরম হচ্ছে।
ওদেরকে আরও "গুন্ডা" চেহারা বের করতে দিন।
যেদিন যাবে সেদিন ওরা জন্মের মত শিক্ষা পেয়েই যাবে।
কঠোর অবস্থানে থাকুন।
ওরা কত খারাপ হতে পারে হতে দিন। মানুষ দেখুক।
তাওয়া গরম হোক।
ধৈর্য ধরে থাকুন। সময় একটু লাগুক। কিন্তু সংলাপ ফংলাপ বিষয়ে "জিরো অ্যাটেনশন" অবস্থানে থাকুন।
সামনে অনেক সুশীল দাদুরা মুখ খুলবে।
এরা সবাই মিষ্টি সুরে কথা বলবে ওদের আওয়ামী নাতিদের পিঠ বাঁচানোর জন্য।
মিডিয়ায় যা ইচ্ছা লিখুক , কঠোর অবস্থানে থাকুন।
কোন মিডিয়াকে ফলো করবেন না ।
বরং মিডিয়া আপনাদেরকে ফলো করুক।
এদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকুন।
ব্লগের শেষে একজন পাঠকের মন্তব্য উল্লেখ করেছি।
সেটা পড়ে দেখুন।
আই রিপিট -
ধৈর্য ধরে থাকুন। সময় একটু লাগুক। কিন্তু সংলাপ ফংলাপ বিষয়ে "জিরো অ্যাটেনশন" অবস্থানে থাকুন।
যেদিন ওরা যাবে সেদিন জন্মের মত শিক্ষা পেয়েই যাবে।
কঠোর অবস্থানে থাকুন।
[২]
প্রথম আলোর ম্যানুইভারিং প্রচেষ্টা
মাত্রই কয়েকদিন আগে বলেছিলাম - প্রথম আলোর লীগের পক্ষে পলিটিক্স ম্যানুইভারিং এর কথা।
পরপর ২ দিন ওরা নিজেদের চেহারা বের করে দিয়েছে।
১৬ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট বারের ইলেকশন রেসাল্ট নিয়ে কোন পাতায় নিউজ করেছে আর আওয়ামী লীগ হারায় কিভাবে মাতম করেছে সেটা আমার আরেকটা ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখুন।
এখানে ক্লিক করুন সেটা দেখার জন্য
মাত্র ঐদিন ১৫ ই মার্চ বিএনপি সম্পর্কে একটা নেগেটিভ নিউজ করেছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ঘাউরামিকে হাইলাইট করতে চেয়েছে।
উদ্দেশ্য - বিএনপিকে নমনীয় , কনফিউসড অবস্থা নেয়া।
খালেদা জিয়া কঠোর অবস্থানে যাওয়ার পরে পরেই ভোল পাল্টে ফেলেছে।
"ম্যাও" সুরে নিউজ করছে , ওদের "সুশীল দাদু"দের কাছে গিয়ে পরামর্শ ছাপাচ্ছে।
কঠোর অবস্থানেই থাকুন।
এমন কি ওরা আজকে ১৮ তারিখের পত্রিকায় পটুয়াখালিতে হরতাল শিথিল বিষয়ে একটা নিউজ করেছে বিএনপির'র পল্টন অফিসে যোগাযোগ না করেই।
একেবারে ১ম পাতায় ১ম কলাম !
অথচ এত হাই সার্কুলেশনের একটা পত্রিকা একটা স্ট্যান্ডার্ড অনুসরন করতে হয় , তারা সেটা করেনি।
ইচ্ছাকৃত ভাবে , কারন ওরা নিউজটা করবেই।
আই রিপিট - ইচ্ছাকৃত ভাবে , কারন ওরা নিউজটা করবেই।
বিএনপি'র কেন্দ্রীয় দপ্তরে যোগাযোগ করেই এরকম নিউজ করতে হয়।
কিন্তু ওরা সেটা না করে একেবারে ১ম পাতার ১ম কলামে ছাপিয়েছে।
আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি - বিএনপি অফিস থেকে ওদের কাছে প্রতিবাদ পাঠালে সেটা ওরা প্রথম পাতায় ছাপাবেনা।
এই পত্রিকা বিএনপি'র জন্য জনকণ্ঠ থেকেও বেশী বিপদজনক।
জনকণ্ঠ সবাক শত্রু , প্রথম আলো বোবা সেজে থাকা শত্রু।
সামনে আরও দেখতে পাবেন - এদের পলিটিক্স ম্যানুইভারিং এর ধানাই পানাই।
দিনদিন খুল্লাম খুল্লা হবে।
ওরা গরু ঠেলে আওয়ামী লীগের ক্ষেতে পাঠানোর চেষ্টা করে যাবে।
তৃনমূল থেকে হাইকমান্ড - এই পত্রিকার ব্যাপারে সাবধান থাকুন।
ওদের একটা দাড়ি - কমাকেও পাত্তা দেবেন না।
সামনে এরা অনেক "সুশীল দাদু"দের কলাম , মতামত ছাপাবে।
কানে তুলা দিয়ে কঠোর অবস্থায় থাকুন।
ব্লগের শেষটা করছি একজন পাঠকের মন্তব্য দিয়ে -
"খালেদা জিয়ার অনমনীয় কঠোর অবস্থানে মানুষ খুশী। খালেদা জিয়া কঠোর অবস্থানে থাকলে মিডিয়া এক সময় না এক সময় দালালি বাদ দিয়ে বিএনপি'র দিকে ঘুরবে।"