হুমায়ুন আহমেদের কাহিনী নির্মিত মাটিবাবা বিখ্যাত "তারা তিনজন" নাটকটি নিশ্চয় অনেকেই দেখছেন।
ধান্দাবাজ ৩ মামা ভাগিনা মিলে নানা ফন্দি ফিকিরে টাকা বানাতে চায়......
কিন্তু কপাল ফাটা , বার বার ই ধরা পড়ে যায়.......
পদ্মা সেতু নিয়ে সাম্প্রতিক "দানবাক্স" ফর্মুলা মার্কেটে আসার পর মাটিবাবা খ্যাত সেই নাটকটির একটি দৃশ্য মনে পড়ে গেলো।
ঐ ৩ জনের পালের গোদা , অর্থাৎ মামু (ডা: এজাজ) তার ভাই ফারুককে মুর্দা বানিয়ে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছেন আর ভেউ ভেউ করে কাঁদছেন তার মরা ভাইয়ের লাশ দাফন করার টাকাও নেই বলে........
এসময় ভাগিনা স্বাধীন খসরু সাংবাদিক সেজে এসে বলে - দেখি দেখি এখানে কি হইসে ?
আমি সাংবাদিক , আমাকে দেখতে দেন.......
এরপর মামু - ভাগিনার অ্যাক্টিং.....
ভাগিনা খসরু বলে : লাশ কি আসল না নকল ?
মামু তখন বলে - আপনি মানুষ না জালিম ? ভেউ ভেউ ভেউ
ভাগিনা তখন হাল্কার ওপর ঝাপসা ভাব দেখিয়ে বলে- ইন্নালিল্লাহ , লাশ তো আসলেই আছে।
আমি ৫০ টাকা দিলাম , আপনারা যে যা পারেন সাহায্য করেন.......
দৃশ্যটা ভুলে গেলে ৬:১৫ - ৮:৩৪ পর্যন্ত দেখে নিন:
রাজনৈতিক নাটকবাজীতে ৪২০ ক্যাটাগরী দল আওয়ামী লীগ অবিকল একই ফর্মুলায় "দানবাক্স" নাটক শুরু করেছে........
পদ্মা সেতুর মুর্দা সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাস্তার পাশে বসে আহাজারি করছে দাফনের টাকা নাই বলে মামু ওরফে হাসিনা.....
পাবলিক যখনি মামুকে সন্দেহ করে তখনই মামু ওরফে হাসিনা বলে - আপনি মানুষ না জালিম ?
তখনই মামুর ৪ / ৫ টা ভাগিনা ওরফে "সচিবালয় ৪র্থ শ্রেনী কর্মচারী লীগ" , "খুলনা বানিশান্তা কর্মজীবি নারী" , "কানাডার জনৈক বংগবন্ধুর সৈনিক" ইত্যাদি ব্লা ব্লা ওরফে বাল বাল এসে বলে - দেখি দেখি , আমি সাংবাদিক , এগুলো ফ্রড কেস হয় , আমাকে দেখতে দেন......
স্বাধীন খসরুর মত মামু হাসিনার এই ভাগিনারাও হাল্কার উপরে ঝাপসা ভাব নিয়ে বলে- ইন্নালিল্লাহ , লাশ তো ঠিক ই আছে। এই আমি ৫০ টাকা দিলাম। আপনারাও যে যা পারেন সাহায্য করেন.....
যাইহোক- মাটিবাবা নাটকটির কাহিনি সাম্প্রতিক পদ্মা রংগে টেনে আনলেও শিরোনামের বাংলাদেশ বাবা শব্দটি ব্যবহার করেছি আরেক কাহিনির ছায়া দেখে.....
আলীবাবা আর ৪০ চোরের আরব্য রজনীর গল্প শোনেনি এমন লোক সাব কন্টিনন্টে খুঁজে পাওয়া বিরল হবে......
সোজা সরল , গুপ্তধনের বদৌলতে ধনী আলীবাবা ৪০ চোরের হিটলিস্টে পড়েছিলেন।
খোদার দেয়া মাটির উপরে - নীচে অফুরন্ত ধন-দৌলতে ধনী বাংলাদেশ বাবাও ২৬৭ চোরের কুনজরে পড়েছে......
নানা কায়দা কসরতে এরা ২৬৭ চোর এখন বাংলাদেশ বাবার সামনে নাদান ফেরেস্তা মেহমানের বেশ ধরে আছে।
ডেস্টিনি , যুবক , ডুল্যান্সারের মত হাজারো প্রতারক এদেশে দুঃসাহসী সব প্রতারনা করে......
কেন ?
কারন রাস্ট্রের ক্ষমতায় যে বসে আছে সবচোরের রাজা বড় চোর।
যারা শেয়ার বাজার লুট করে ৮৫ হাজার কোটি টাকা গিলে খেয়েছে।
পদ্মাসেতু নিয়ে এই ২৬৭ চোরের ঘটনা টা এরকম-
হাসিনার জামাই রাজাকার বংশজাত খোন্দকার মাসরুর হোসেন কানাডায় বসে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি - লাভালিনের সংগে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের ডীল করেছিলো।
আবুলকে আসলে বলির পাঠা বানানো হয়েছে পদ্মা ইস্যুতে।
আবুল অনেক প্রজেক্টে টাকা মেরে খেলেও পদ্মা ইস্যুতে হাসিনার শীল্ড হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে।
যাইহোক- পদ্মা সেতু ঋনচুক্তি বাতিল হওয়ার পর একটি বিশেষ রাজনৈতিক গরু শ্রেনী দারুন গর্বিত।
তারা দানবাক্স খুলে সেতু বানাবে। আমি চাই তারা এটা শুরু করুক। মানে দানবাক্স ফর্মুলাতেই পদ্মা রংগ কন্টিনিউ করুক। কেন চাই সেটা একটু পর বলছি।
বিশ্বব্যাংক নিজেই দুর্নীতি গ্রস্ত - শেখ হাসিনা
আবার চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্বব্যাংককে - আবুল মাল মুহিত
একবেলা বাজার না করে পদ্মাসেতু বানাবো - চোরের মা সৈয়দা সাজেদা
পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি হয়নি- রেলের কালো বিড়াল , দুর্নীতির পীরবাবা সুরন্জ্ঞিত
মোবাইল কলে ২৫ পয়সা করে নেন- স্পীকার আবদুল হামিদ
পদ্মাসেতু নির্মানে বিএনপির সহযোগিতা চাই - পদ্মা ঋনচুক্তি বাতিল ও বিএনপির ষড়যন্ত্র শীর্ষক অনুষ্ঠানে নাসিম
দেশের টাকায় ৩ টা পদ্মা সেতু বানাবো , ঋনবাতিল যুদ্ধাপরাধের বিচার বাতিলের ষড়যন্ত্র - ড: আবুল বারাকাত
পদ্মাঋণ বাতিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র- আবুল হোসেন
কিছুদিন আগে আরেকটা ব্লগে বলেছিলাম - ২৬৭ চোরের সর্বাংগে ব্যথা , ওষুধ দেবো কোথা ?
আরো কিছু বিনোদন:
১। পদ্মাসেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি
২। পদ্মা সেতু বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবেনা
৩। সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ (চোরের মন পুলিশ পুলিশ)
৪। চিটাগাং বিএনপির মেয়র মনজুর আলম জাতির সবচেয়ে বড় দু্নীতিবাজ , আমরা এখন এটা নিয়ে ব্যস্ত আছি
- আওয়ামী লীগের ধোপা দুদক
এবার রাজনৈতিক গরু শ্রেনীর বিনোদন গ্রহন করুন :
এবারের সংগ্রাম পদ্মা সেতু বানানোর সংগ্রাম........
এর আগে এরা বলেছিলো : এবারের সংগ্রাম ডিজিটাল বাংলাদেশ বানানোর সংগ্রাম
সে সংগ্রামের আপডেট কি জানিনা।
ইন্টারেস্টিং ২ টা ব্যাপার না বলে পারছিনা -
[১]
হাসিনা আর রাজনৈতিক গরু শ্রেনীর সারাবিশ্বে কোন বন্ধু নাই।
ওদের একমাত্র বন্ধু কাম প্রভু ভারত।
গোলাম হাসিনা মালিক ভারতের চাকরামি করে ফ্রি করিডোর , ফ্রি ১৪০০ একর জমি সব দিয়েছে।
কিন্তু পদ্মাসেতুর লোন নেয়ার জন্য কখনও কুয়ালালাম্পুর , কখনো ওয়াশিংটন দৌড়াচ্ছে.........
অথচ সুয়াচান বন্ধু দিল্লির কাছে যাচ্ছেনা !
কি আজব ব্যাপার !
বিএনপি কেন আওয়ামি লিগ কে বলছেনা দিল্লি থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ আনতে। ওদের করিডোরের জন্য যেহেতু ১০০ কোটি ডলার দিতে পেরেছে সেহেতু সুয়াচান বন্ধু ভারত আমাদের দরকারের দিনে এই ১০০ কোটি ডলারও দিতে পারবে।
আমরাতো সুদ সহই ফেরত দেব।
[২]
২৬৭ চোর যে কিছুদিন আগে ৯ টা নতুন ব্যাংকের অনুমতি দিয়েছে সেটা কি সবাই ভুলে গেছেন।
ঐ ব্যাংক গুলো খুলতে প্রকাশ্যে ৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
অপ্রকাশ্যে কত কে জানে ?
২৬৭ চোর এই টাকা কোথায় পেয়েছে সেটা সুধাসদনের সামনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো টোকাইও জানে।
আজ দেশের এই ক্রান্তিকালে সেই ৪০০০ কোটী টাকা হাসিনা নিয়ে নিচ্ছেনা কেন ? আবুল মাল কিংবা আবুল বারাকাত সেই টাকা নিয়ে কোন কথা বলছেনা কেন ?
এবার আসি মূল প্রসংগে - কেন আমি দানবাক্স ফর্মূলা সমর্থন করি।
কারন আমি দেখতে চাই হাসিনা সবাইকে নিয়ে গাছে উঠে মই হারিয়েছেন।
দেশের মানুষ কিভাবে দিন কাটাচ্ছে সেটা আমরা সবাই জানি।
মানুষ দুর্বিষহভাবে চলছে সবদিক থেকে।
দেশের বাজার থেকে হাসিনা টাকা তুলতে পারবেনা।
তার ভাগিনারা লোক দেখিয়ে কিছু দেবে, আগামী কিছুদিন এই নাটক চলবে।
তারপর শেষ।
বীমার টাকা মারার ধান্দায় আছে।
তার পেছনের গল্পটা জানুন:
এই ছবিটা হলো নতুন আবুলের।
এর নাম শেখ কবির হোসেন। শেখ হাসিনার ফুপা লাগে।
বিএনপির গত আমলে মান্নান ভুইয়ার ছেলের সাথে এর মেয়ের বিয়ে দিয়ে বিএনপির দুর্গে আঘাতে হানে এই চীজ!
১৯৯৬-২০০১ এর জমানায় হাসিনা একে বানিয়েছিলো রেডক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান। তখন ছয়-নয় করে অনেক মাল কামিয়েছিলো। তা দিয়ে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তৈরী করে।
২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে তাকে বানানো হয় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নিং বোর্ডের মেম্বার আর বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
ডঃ ইউনুসের সাথে হাসিনার খারাপ আচরন ও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ইউনুসকে অপসারনের ঘটনায় আমেরিকার সাথে বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের সাথে হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপুমনি যখন হিলারির সাক্ষাৎ চেয়ে বার বার ব্যর্থ হন, তখন এই শেখ কবির ও বসুন্ধরা গ্রুপের শাহ্আলম হাসিনার পক্ষে লবিং করার জন্য লাখ লাখ ডলার নিয়ে ওঠেন নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের হোটেলে। তারা বিভিন্ন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের পিছনে হাজার হাজার ডলার ঢালতে থাকেন, যেনো তারা হিলারীকে বুঝিয়ে দীপুমনিকে একটা মাফ চাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দেন। পরে ওটায় কাজ হয়েছিলো বলে জানা যায়। কাজেই এই শেখ কবির বহুত ধান্দাবাজ মাল!
২০১১ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার নির্দেশে তার ফুপা শেখ কবিরকে বানানো হয় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। এই বদমাইশের এখন চোখ পড়েছে লাইফ ফান্ডের ১৬ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার ওপর। এটা জনগণের টাকা। পদ্মা সেতুর নামে এই টাকা হাসিনার কাছে তুলে দেয়ার পায়তারা করছে।
এই হারামখোরকে চিনে রাখুন। ওকে ঠেকাতে হবে।
পুরোটাই ফেসবুক থেকে সংগৃহীত , তথ্যগুলো সত্য বলে জানালাম।
মূলসূত্র : ফেসবুক লিংক
শেষপর্যন্ত তারা যদি পদ্মাসেতুর কাজ দেশের টাকায় শুরু করে তাহলে নীচের ৩ টা বিষয় ঘটবেই ঘটবে।
১। আবুল সাহেব নতুন টাকা ছাপাতে বাধ্য হবেন , প্লাস ডলারের দাম বাড়বে।
ফলাফল নিয়ন্ত্রনহীন মুদ্রাস্ফীতি । আর দ্রব্যমূল্য এমন পর্যায়ে যাবে ১/১১ সরকারের মত নীরব দুর্ভিক্ষ শুরু হবে।
২। বিদ্যুত সমস্যা তীব্র নয় , হাল্কের মত মনস্টার হয়ে উঠবে।
৩। শেয়ার বাজার এখন কবরস্থান , ব্যাংকগুলো সাধারন গ্রাহক তো দুরের কথা , শিল্পউদ্যোক্তাদের কেও ঋন দিতে পারছেনা। ১ নং পয়েন্ট এটার সাথে মিলিয়ে নিলে - সমাজে অপরাধ বাড়বে প্রচুর। তাদের নিজস্ব গুন্ডালীগের ননস্টপ গুন্ডামী তো চলছেই।
ফলাফল - ছাইয়ের নীচে আগুনটা তীব্র হয়ে ওঠা।
আগুনটা বের হয়ে আসতে তখন সময়ও কম নেবে......
আর এই আগুনটা বাংলাদেশ বাবার বাড়িতে ড্রামে লুকিয়ে থাকা ২৬৭ চোরকেই পুড়িয়ে মারবে , মর্জিনার দরকার হবেনা।
সেজন্যই আমি চাই - হাসিনা তার দানবাক্স ফর্মূলা চালিয়ে যাক......
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০২