কোথায় যেন এক খামতি থাকি যায় তোমার লিখায়
কিছু হিজিবিজি দাগ থাকি যায় যেন কোঁকড়া চুলের লাহান
আমি তারে টের পাই, ঠাহর করবার পারি, কিন্তু পারি না ধরবার।
এতো কাছাকাছি আহি, এতো মশগুল থাহি শিরায় উপশিরায়
অন্তরের লহু খালি উথাল পাথাল টগবগায়,
একটা বাজপাখি হুউউউউউস শিস দিয়া যায় কানের গহীণে
নখের ডগায় সব ইচা মাছ খলবল খালি লাফায় গোত্তা খায়
আমি সব ঠাহর পাই টের পাই যেন বেহেস্তের
বেলাজ হুর আমারে আদর করে
কুটকুট কুটকুট ঠোকরায় উঁইপোকা আমার ভাংগাচুরা মোকামে
অজিফা পাঠের ধ্বনি ভাইসা আসে ওই দূর পগারের ওপার থিকা
আমি কান পাতি, ধুকফুক ধুকফুক করে কলিজা
তবু তোমার লিখার মজেজা ধরিবার না পাই।
কী কামে তাইলে তুমি লিখো?
অন্তরে পেরেশানি নিয়া কেন তয় আমার উঠানে খলবলাও
আমি চক্ষু বন্ধ রাখি তাই, পাছে তোমার প্রকাশ
আমার লহুতে যদি ঢালি দেয় বিষের পয়গাম!
তার চাইতে এই ভালো, অপ্রকাশ্য কিছু আঁকিবাকি নিয়া
আমি যেন পারি মরবার।