দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটি দলই আয়োজক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের চাহিদা জানায়। এবারও জানিয়েছে। সে সব চাহিদাগুলোর কিছু কিছু বড় অদ্ভুত! কোনো দল চায় কফি স্টেশন, কোনো দল আবার ঝুড়িভর্তি কলা! বলতে পারেন, ফুটবলের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক কী? সে উত্তর না হয় তোলাই থাক। আপাতত জেনে নেওয়া যেতে পারে সেসব চাহিদার কথা—
অস্ট্রেলিয়া: খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্যই কফি স্টেশন থাকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, স্টেশনে বিশ্বের সব পত্রিকা থাকতে হবে। শরীর চাঙা রাখতে না হয় কফি স্টেশন, কিন্তু বিশ্বকাপ চলার সময় খেলোয়াড়দের দুনিয়ার সব পত্রপত্রিকা পড়া জরুরি কেন? সাধারণত খেলার সময় সব দলই সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে চায়, যাতে আলোচনা-সমালোচনার প্রভাব খেলায় না পড়ে। উল্টো সেখানে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেই থাকতে চায়। কে জানে, তাবত্ খবরাখবর নখদর্পণে না রাখলে মাঠে ভালো খেলা যাবে না!
চিলি: প্রত্যেক রুমে অবশ্যই নতুন বিছানা ও টিভি থাকতে হবে। ম্যাচের আগে ঘুমটা ভালো হতেই কিনা এ আবদার! কিন্তু ম্যাচ হারলে বিছানা যতই নতুন হোক, ঘুম ভালো হবে তো?
কলম্বিয়া: অনুশীলনে সাও পাওলো ক্লাবের যুবদল থেকে ১৫ জন খেলোয়াড় দিতে হবে। এতে অবশ্য সাও পাওলো ক্লাবেরই লাভ। একটি জাতীয় দলের সঙ্গে ক্লাবের যুবদলের খেলোয়াড়দের মুফতে খেলার সুযোগ—মন্দ কী! তবে এ ক্ষেত্রে সাও পাওলো ক্লাব রাজি হবে কি না, সেটিও দেখার বিষয়। এবারের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলা কলম্বিয়াও যে ব্রাজিলের শিরোপা-স্বপ্নের বাধা হবে না, কে বলতে পারে।
ইকুয়েডর: প্রতিদিন প্রত্যেক রুমে এক ঝুড়ি কলা থাকতে হবে। আর হ্যাঁ, কলা আনতে হবে অবশ্যই ইকুয়েডর থেকে। আরেব্বাস! ইকুয়েডরের কলায় কি ‘হেভি এনার্জি’? খেলে শক্তি বাড়ে? কে জানে, হতেও পারে! তবে এত এত কলা দেখে দানি আলভেস না শেষে চটে যান!
ফ্রান্স: বার সোপ একদম নিষেধ। লিকুইড সোপ রাখতে হবে। কারণ, ফ্রান্সে বার সোপের চল নেই। ফলে এতে খেলোয়াড়েরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তো, গায়ে পছন্দের ‘সাবান’ না ঘষতে পারলে কি মাঠে হারতে হবে? দিদেয়ের দেশম ভালো বলতে পারবেন। সৌন্দর্যের গোপন রহস্য সাবান—এটা বিজ্ঞাপনের সুবাদে আমরা সবাই জানি। পারফরম্যান্সের গোপন রহস্যও কি তবে...
হুন্ডুরাস: টিভি গাইডে অন্তত ছয়টি স্প্যানিশ টিভি স্টেশন যোগ করতে হবে। এর মধ্যে দুটি থাকতে হবে হুন্ডুরান চ্যানেল। চ্যানেলে কী জাদু! হুন্ডুরাস দল বাদে কে জানবে!
জাপান: এশিয়ার দলটি এতটাই শৌখিন, তাদের আবার প্রত্যেক রুমে ‘জাকুজি ব্রান্ডে’র বাথটাব থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ব্রান্ডের টাবে গোসল দিলে মাঠে বুঝি দারুণ পারফরম্যান্স দেখানো যাবে!
পর্তুগাল: দলের নিরাপত্তার জন্য সব সময় ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী থাকতে হবে। এর মধ্যে চারজন লাগবে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য! সংখ্যাটা একটু কম হয়ে গেল না! সিআরসেভেনের লাখো ভক্ত সামাল দিতে চারজনে হবে তো?
সুইজারল্যান্ড: টিভি সাক্ষাত্কারের জন্য একটি ‘বিচ স্টুডিও’ তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া প্রতি রুমে দুটি করে সুইস টিভি চ্যানেল থাকতে হবে। কথা হচ্ছে, সুইস খেলোয়াড়েরা কি তবে অভিনয়ের জন্য যাচ্ছেন ব্রাজিলে?
উরুগুয়ে: প্রত্যেক রুম হতে হবে শব্দনিরোধক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তা কি আর বলা লাগে! আবদার শুনে মনে হতে পারে, উরুগুয়ে দলকে বোধ হয় মাছ বাজারের পাশে রাখা হচ্ছে!
এর বাইরে কিছু অভিন্ন দাবি রয়েছে প্রত্যেক দলের। ফ্রান্স, ইকুয়েডর, কোস্টারিকা একটি ভিডিওগেম রুম নির্মাণের দাবি করেছে। পর্তুগাল দল তো প্রতি রুমেই ভিডিও গেম চেয়েছে। মাঠের ‘গেম’ খেলার আগে কল্পিত গেম খেলে হাতটা পাকিয়ে নিতেই কি এ আবদার? তবে খেলাটা যেহেতু ‘ফুট’বল, হাতের চেয়ে পা পাকিয়ে নিলেই বোধ হয় ভালো হতো।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটি দলই আয়োজক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের চাহিদা জানায়। এবারও জানিয়েছে। সে সব চাহিদাগুলোর কিছু কিছু বড় অদ্ভুত! কোনো দল চায় কফি স্টেশন, কোনো দল আবার ঝুড়িভর্তি কলা! বলতে পারেন, ফুটবলের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক কী? সে উত্তর না হয় তোলাই থাক। আপাতত জেনে নেওয়া যেতে পারে সেসব চাহিদার কথা—
অস্ট্রেলিয়া: খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্যই কফি স্টেশন থাকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, স্টেশনে বিশ্বের সব পত্রিকা থাকতে হবে। শরীর চাঙা রাখতে না হয় কফি স্টেশন, কিন্তু বিশ্বকাপ চলার সময় খেলোয়াড়দের দুনিয়ার সব পত্রপত্রিকা পড়া জরুরি কেন? সাধারণত খেলার সময় সব দলই সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে চায়, যাতে আলোচনা-সমালোচনার প্রভাব খেলায় না পড়ে। উল্টো সেখানে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেই থাকতে চায়। কে জানে, তাবত্ খবরাখবর নখদর্পণে না রাখলে মাঠে ভালো খেলা যাবে না!
চিলি: প্রত্যেক রুমে অবশ্যই নতুন বিছানা ও টিভি থাকতে হবে। ম্যাচের আগে ঘুমটা ভালো হতেই কিনা এ আবদার! কিন্তু ম্যাচ হারলে বিছানা যতই নতুন হোক, ঘুম ভালো হবে তো?
কলম্বিয়া: অনুশীলনে সাও পাওলো ক্লাবের যুবদল থেকে ১৫ জন খেলোয়াড় দিতে হবে। এতে অবশ্য সাও পাওলো ক্লাবেরই লাভ। একটি জাতীয় দলের সঙ্গে ক্লাবের যুবদলের খেলোয়াড়দের মুফতে খেলার সুযোগ—মন্দ কী! তবে এ ক্ষেত্রে সাও পাওলো ক্লাব রাজি হবে কি না, সেটিও দেখার বিষয়। এবারের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলা কলম্বিয়াও যে ব্রাজিলের শিরোপা-স্বপ্নের বাধা হবে না, কে বলতে পারে।
ইকুয়েডর: প্রতিদিন প্রত্যেক রুমে এক ঝুড়ি কলা থাকতে হবে। আর হ্যাঁ, কলা আনতে হবে অবশ্যই ইকুয়েডর থেকে। আরেব্বাস! ইকুয়েডরের কলায় কি ‘হেভি এনার্জি’? খেলে শক্তি বাড়ে? কে জানে, হতেও পারে! তবে এত এত কলা দেখে দানি আলভেস না শেষে চটে যান!
ফ্রান্স: বার সোপ একদম নিষেধ। লিকুইড সোপ রাখতে হবে। কারণ, ফ্রান্সে বার সোপের চল নেই। ফলে এতে খেলোয়াড়েরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তো, গায়ে পছন্দের ‘সাবান’ না ঘষতে পারলে কি মাঠে হারতে হবে? দিদেয়ের দেশম ভালো বলতে পারবেন। সৌন্দর্যের গোপন রহস্য সাবান—এটা বিজ্ঞাপনের সুবাদে আমরা সবাই জানি। পারফরম্যান্সের গোপন রহস্যও কি তবে...
হুন্ডুরাস: টিভি গাইডে অন্তত ছয়টি স্প্যানিশ টিভি স্টেশন যোগ করতে হবে। এর মধ্যে দুটি থাকতে হবে হুন্ডুরান চ্যানেল। চ্যানেলে কী জাদু! হুন্ডুরাস দল বাদে কে জানবে!
জাপান: এশিয়ার দলটি এতটাই শৌখিন, তাদের আবার প্রত্যেক রুমে ‘জাকুজি ব্রান্ডে’র বাথটাব থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ব্রান্ডের টাবে গোসল দিলে মাঠে বুঝি দারুণ পারফরম্যান্স দেখানো যাবে!
পর্তুগাল: দলের নিরাপত্তার জন্য সব সময় ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী থাকতে হবে। এর মধ্যে চারজন লাগবে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য! সংখ্যাটা একটু কম হয়ে গেল না! সিআরসেভেনের লাখো ভক্ত সামাল দিতে চারজনে হবে তো?
সুইজারল্যান্ড: টিভি সাক্ষাত্কারের জন্য একটি ‘বিচ স্টুডিও’ তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া প্রতি রুমে দুটি করে সুইস টিভি চ্যানেল থাকতে হবে। কথা হচ্ছে, সুইস খেলোয়াড়েরা কি তবে অভিনয়ের জন্য যাচ্ছেন ব্রাজিলে?
উরুগুয়ে: প্রত্যেক রুম হতে হবে শব্দনিরোধক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তা কি আর বলা লাগে! আবদার শুনে মনে হতে পারে, উরুগুয়ে দলকে বোধ হয় মাছ বাজারের পাশে রাখা হচ্ছে!
এর বাইরে কিছু অভিন্ন দাবি রয়েছে প্রত্যেক দলের। ফ্রান্স, ইকুয়েডর, কোস্টারিকা একটি ভিডিওগেম রুম নির্মাণের দাবি করেছে। পর্তুগাল দল তো প্রতি রুমেই ভিডিও গেম চেয়েছে। মাঠের ‘গেম’ খেলার আগে কল্পিত গেম খেলে হাতটা পাকিয়ে নিতেই কি এ আবদার? তবে খেলাটা যেহেতু ‘ফুট’বল, হাতের চেয়ে পা পাকিয়ে নিলেই বোধ হয় ভালো হতো।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯