রাবাত (মরক্কো): ঝুলন্ত উদ্যানের কথা তো শুনেছেন৷কিন্তু ঝুলন্ত মসজিদ? শোনেননি তো? হ্যাঁ এরকম একটি মসজিদ রয়েছে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে৷ বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এই মসজিদটি তৈরি করেছেন ৷
ফরাসি কোম্পানির হস্তক্ষেপে মসজিদের ভাষ্কর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ মসজিদের দেওয়ালে সরু নকশার কাজ দেখলে অবশ্যই বাহবা দিতে ইচ্ছে করবে ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউকে৷
যাই হোক না কেন, মসজিদকে ভাসমান অ্যাখা দেয়ার কারণ কি? এটা জানতে গেলে পাড়ি দিতে হবে আটলান্টিকের সমুদ্রে৷ জাহাজ থেকে ওই মসজিদকে দেখলে মনে হবে টেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে৷ আর একটু কান পাতলে শোনা যাবে একযোগে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সুর৷ মসজিদের তিনভাগের একভাগ নীল আটলান্টিকের ওপরে বিরাজমান৷ আর বাকি অংশটি সমুদ্রের তলায় রয়েছে বলে মনে হবে৷
২২.২৪ একরের এই মসজিদে রয়েছে গ্রন্থাগার, কোরান শিক্ষালয়, আলোচনা-কক্ষ প্রভৃতি৷ এখানে এক লক্ষ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন৷ মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার৷ মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার এবং এর ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট অন্তর কৃত্রিম উপায়ে খুলে যায়৷ যার ফলে মসজিদের ভিতরে আলো, বাতাস ঢুকতে পারে৷ মসজিদের বাইরে রয়েছে ১২৪টি ঝরনা ও ৫০ টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি৷
দ্বিতীয় হাসান মসজিদের এই অভূতপূর্ব সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করান যাবে না ৷
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬