আটলান্টিস হল পৌরাণিক উপকথা অনুযায়ী সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া একটি দ্বীপ। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০ সাল এর দিকে বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো তাঁর ”টাইমাউস এন্ড ক্রিটিয়াস” বই এ প্রথম আটলান্টিস এর কথা বলেন। তৎকালীন সময় ওনার বয়স ছিল প্রায় ৬৭ বা ৬৮ বছর। প্লেটোর লেখা মতে প্রায় ৯০০০ বছর আগে আটলান্টিস ছিল হারকিউলিসের পিলারের পাদদেশে একটি দ্বীপ। এর অধিবাসী নৌ-সক্ষমতা দিয়ে ইউরোপের অধিকাংশ স্থান জয় করেছিল। কিন্তু এথেন্স জয় করার একটি ব্যার্থ প্রয়াসের পর এক দিন ও এক রাতের প্রলয়ে এটি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
প্লেটোর এই মতবাদ কে সত্য বলে ব্যাখ্যা দিয়েচেন প্রখ্যাত অভিযাত্রী ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফির গবেষক ‘রবার্ট বেলিয়াড’ যিনি “টাইটানিক” জাহাজ আবিস্কার করেন।
প্লেটোর লেখা মতে ঐ সময়ে আটলান্টিসবাসীরা স্থাপত্য নির্মাণশৈলীতে অত্যন্ত নিপুন ছিল এবং তাদের যন্ত্র শিল্পে ছিল আধুনিক যন্ত্রের ছায়া। ওই সভ্যতার ভিত্তি গড়ে উঠে লোহার স্থাপনা দিয়ে। বলা হয় আটলান্টিস বাসীদের বাড়িঘর কনক্রিট এর ছিল এবং প্রতিটি ঘর একটি আর একটির সাথে সংযুক্ত ছিল যোগাযোগ এর জন্য।
প্রখ্যাত আমেরিকান প্রাকৃতিবিদ ‘এডগার কেয়্যাস’ আটলান্টিস এর অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাহামার উত্তর বিমিনির কথা বলেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এডগার কেয়্যাস এর মৃত্যুর ২৩ বছর পর ১৯৬৮ সালে বিমিনি রোড আবিস্কৃত হয়। এটি আটলানটিক মহাসাগর এর মাত্র ১৫ ফুট নিচে অবস্থিত।
ধরা হয় এটি আটলান্টিস শহর এর শেষ ধংসাবশেষ। এ ছাড়া ও আরো কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে।
এই বিমিনি রোড প্রায় আধা মাইল লম্বা এবং চারকোনা পাথর এর তৈরী যা প্রায় সমতল ।
প্রাচীন মিশরে প্যাপিরাসের কাগজে এথেন্স এবং আটলান্টিস সম্পর্কে হায়ারোগ্লিফিতে কিছু নথি ছিল যা গ্রীকে অনুবাদ করা হয়। সেখান থেকে আটলান্টিস সম্পর্কে জানতে পারে আমাদের আধুনিক বিশ্ব। আটলান্টিসের সম্ভাব্য অস্তিত্ব নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক বিতর্ক হয়েছে তবে পরবর্তীতে এডগার কেয়্যাস এর মতবাদ ও বিমিনি রোড এর আবিস্কার আমদের কে নতুন করে ভাবায়।
আসলে ই কি আটলান্টিস হারানো পৃথিবীর শহর…।