somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদের অজানা কিছু রহস্য

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চাঁদ – অনেক সময় নস্টালজিক, অনেক সময় সুন্দরের প্রতীক আবার অনেক সময় আরো অনেক কিছু। এই চাঁদ আবার বিজ্ঞানের যেমন একটি বিস্ময় আবার অনেক সময় ষড়যন্ত্রের আধারও বলা যেতে পারে। যেমন চাঁদে মানুষ যাওয়ার ব্যাপারটা। কিন্ত এই চাঁদ যে কত রহ্স্যের আর আধার তা কি আর চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলা যায়? দুর থেকে জ্বলজ্বলে এই চাঁদকে আমরা দেখেই যায় কিন্তু এর পেটে লুকিয়ে আছে নানা রকমের রহস্যের ঝুলি। তারই কিছু নিয়ে আজকের এই পোস্ট।

চৌম্বক ক্ষেত্রঃ
চাঁদের সবচেয়ে বড় রহস্যের ব্যাপার হলো চাঁদের চৌম্বক ক্ষেত্র। চাঁদের আদপে কোন চৌম্বক ক্ষেত্র নেই। কিন্তু ১৯৬০ সালে নভোচারীদের আনা এবং ১৯৭০ সালে পাওয়া চাঁদের কয়েকটুকরো পাথর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল সেই পাথরগুলোর চৌম্বক ক্ষেত্র আছে। তাহলে কথা হচ্ছে চাঁদে যদি সত্যিই কোন চৌম্বক ক্ষেত্র না থেকে থাকে তাহলে পাথরগুলো কারা রেখে গিয়েছিল চাঁদে? এলিয়েনরা? সেটাও তো এখন পর্যন্ত সম্ভব না বা সম্ভব হলেও প্রমান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ব্যাপক গবেষনার পর বিজ্ঞানীরা পরে বের করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে চাঁদে আসলে আগে চৌম্বক ক্ষেত্র ছিল কোন এক সময়ে। তবে কি কারনে চাঁদের সেই চৌম্বক ক্ষেত্র এখন গায়েব হয়ে গিয়েছে তা এখনও আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা বের করতে পারেন নি। একদল বিজ্ঞানী আবার দাবি করছেন যে চাঁদ আসলে আমরা যা ভাবি তা না। চাঁদ হলো শুধু একটি পাথরের দলা যা অচিরেই গুড়িয়ে যেতে পারে। তবে এ কথার তেমন কোন প্রমান, সত্যতা বা থিওরি পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।

দ্যা মুন ইফেক্ট :
পৃথিবীর উপর চাঁদের প্রভাদ কোনভাবেই অস্বীকার করা যায়না। অনেকেই বিশ্বাস করেন পরিপূরণ চাঁদ অর্থাত চাঁদ যখন পুনর্ থাকে বা পূর্নিমার রাতগুলোতে চাঁদ মানুষের ভেতর অদ্ভত সব ব্যাপার ঘটায়। যদি বিজ্ঞান এসবের কোন ব্যাখ্যা দেয় না। তবে আর কিছু করতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা একটি জিনিষ নিশ্চিত করেছেন আর সেটি হলো চাঁদ আমাদের ঘুমানোর প্রাত্যহিক রুটিন গড়বড় করে দিতে পারে। ইউনিভার্সিটি অফ বেজেল (সুইজারল্যান্ড) – এর একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় এটির প্রমান পাওয়া গিয়েছে। ১০০ ভলান্টিয়ারের উপর এই গবেষনায় দেখা গিয়েছে পুর্নিমার সময় মানুষের ঘুমের খুব বেশী সমস্যা হয়, স্বাভাবিক রুটিনটি ঠিক থাকেনা আর অন্যান্য সময়ে ঘুম মোটামুটি ঠিক থাকে। এ থেকে আরেকটা ব্যাপার বের হয়ে আসে। যদি পুর্নিমার সময় ঠিক মত ঘুম না হয় তাহলে মানুষের মাথায় হেলুসিনেশন হতে পারে আর তারা উল্টোপাল্টা আচরন করতে পারে বা দেখে। কারন ঘুম কম হলে মানুষের মাথা ঠিক ঠিক মত কাজ করে না। আর সেই কারনেই হয়তো পুর্নিমার সময় দুনিয়ার সব ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারের কথা বলা হয়।

চাঁদের উতপত্তি কোথায়?
চাঁদ আসলে এসেছে কোথা থেকে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো কারও জানা নেই তবে কিছু বিদ্বান ব্যাক্তি মাঝে মধ্যেই কিছু থিওরি দিয়ে গেছেন। এ নিয়ে মোটামুটি ৫টি থিওরি এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। The Fission Theory এর মতে চাঁদ ছিল পৃথিবীর একটি অংশ যে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম দিকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তাদের মতে চাঁদ ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অংশ। The Capture Theory মতে চাঁদ ছিল ভেসে বেড়ানো কোন বস্তু যা পৃথিবীর গ্রাভিটেশন জোনে আসার পর আটকে যায় আর সেই থেকে চাঁদ আছে আমাদের সাথে। Ejected Ring Theory এর মতে চাঁদের জন্ম হয়েছিল কোন আরেকটি গ্রহের সাথে সংঘর্ষের ফলে আর সংঘর্ষ হয়েছিল আমাদের পৃথিবীর সাথে।
এগুলো ছাড়াও চাঁদ নিয়ে রহস্য আর অজানা ব্যাপারের কমতি নেই। তবে যাই হোক না কেন, চাঁদ তো চাঁদই। মাটি থেকে আকাশের চাঁদ দেখার আনন্দটাই অন্যরকম। আর সে যদি হয় ঈদের চাঁদ তাহলে তো কথায় নেই। কোন একদিন আমাদের দেশ থেকেও চাঁদে মহাকাশযান পাঠানো হবে আর আমরাও হয়তো চাঁদে ভ্রমন করতে পারব। হয়তো দিবা-স্বপ্ন তবুও ভাবতে দোষ কি?

৪৬ বার পঠিত
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওরা সাতজন - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে প্রধান অন্তরায় !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২৬


সংকট ঘনীভূত; ড. ইউনূস কে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয়-শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকা একটা এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করেছে। ড.ইউনূস কে ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকারের ভিতরে চারজন ও বাইরে তিনজন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১



ডক্টর ইউনুস এই দেশের ক্ষমতায় আর থাকতে চাচ্ছেন না। তবে এর দায় ভারতের নয়, পলাতক স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগেরও নয়। এই দায় সম্পুর্নভাবে এই দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল বিএনপির। অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের দরীদ্র সমাজ এখনো ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪৪

বেরিয়েছিলাম উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। মানিক মানিক মিয়া এভিনিউ পার হওয়ার সময়ে, খামারবাড়ির সামনে গোল চত্বরে হঠাৎ চোখ গেলো। চত্বর ঘিরে সারি সারি মানুষ শুয়ে আছেন। গত সরকারের আমলে আমার এলাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসের ক্ষমতার ভারসাম্য এবং পিনাকী গং-এর সংঘবদ্ধ মিথ্যাচার ও সামাজিক প্রতারণা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৬


এই পোস্টটি মূলত ঢাবিয়ানের পোস্ট "বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক" এবং জুল ভার্নের পোস্ট "আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা।

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংস্কারের দাবির বিষয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওগো ভিনগেরামের নারী, তোরে সোনাল ফুলের বাজু দেবো চুড়ি বেলোয়ারি......

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯


সেই ছোটবেলায় আমার বাড়ির কাছেই একটা বুনো ঝোপঝাড়ে ঠাসা জায়গা ছিলো। একটি দুটি পুরনো কবর থাকায় জঙ্গলে ছাওয়া এলাকাটায় দিনে দুপুরে যেতেই গা ছমছম করতো। সেখানে বাস করতো এলাকার শেষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×