গত সপ্তাহে ২০২০ এর প্রথম মিনি ইউরো ট্যুরে ঘুরে এলাম চারটি শহর এবং তিনটি দেশ। এ জীবনে আমার ভ্রমনকৃত দেশের সংখ্যা এখন ২২। এই মিনি ইউরো ট্যুরের ছিল ৩ দিনের (সবমিলিয়ে ৭৫ ঘন্টা)। Copenhagen, Denmark থেকে Vienna airport হয়ে Bratislava, Slovakia, সেখান থেকে Zagreb, Croatia, তারপর Ljubljana, Slovenia। ট্যুর এখানেই শেষ হতে পারত কিন্তু Ljubljana থেকে কম সময়ে এবং কম খরচে Copenhagen ফিরে আসতে Stuttgart, Germany গিয়েছিলাম তাই ট্যুর শেষ হয় সেখানেই। ৭৫ ঘন্টার এই ট্যুরে ছিল দুখানা দুই ঘন্টার জার্নি বাই এয়ার এবং ৪ খানা স্বল্প + দীর্ঘ সময়ের রাত্রিকালীন জার্নি বাই বাস। তিন রাতের দুই রাত বাসেই কেটেছে তবে মাঝের এক রাত Ljubljana তে হোস্টেলে ছিলাম। প্রচুর কম খরচে (সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশী টাকায় ২০০০০ টাকা মাত্র) খুবই রাফ এন্ড টাফ ধরনের ট্যুর যার ধকল সবার সয়না। আমার এ ধরনের ট্যুর ভালো লাগে এবং ধকলটাও সয়ে যায় তাই ইয়া মুকাদ্দেমু বলে ট্যুর করে এসেছি।
ট্যুর নিয়ে বিতাং সিরিজ লিখছিনা কারন শুরু করে যদি শেষ করতে না পারি। তাই পুরো ট্যুরের ছবিগুলো থেকে বাছাই করে কিছু ছবি গ্রুপ করে দিলাম আপনাদের জন্য।আশা করছি ভালো লাগবে।
# Stuttgart এর মার্সিডিজ এবং পোরশে মিউজিয়াম
# নিয়ন আলোতে Bratislava এবং Ljubljana ক্যাসেল
# Bratislava শহরের সুন্দর ব্রীজগুলো
# নাইট লাইট@Bratislava
# সুবিশাল Zagreb এবং Stuttgart প্যালেস
# প্যানোরামা
# সুন্দর গীর্জাগুলো
# নানা রকম ট্রাম
# একটু অন্য রকম ভাষ্কর্য
# স্ট্যাটু
# এক নজরে Bratislava এবং Ljubljana
# Ljubljana শহর জুড়ে বেয়ে চলা খাল
# একদমই অন্যরকম কিছু (Zagreb এ দেখা হ্যান্ড পাম্প, সোলার বেঞ্চ এবং Ljubljana তে দেখা ড্রাগন)
# মেঘলা আকাশ
# আকাশে সূর্যাস্ত
# যা যা খেয়েছিলাম
পর্ব-২৩ এখানেই শেষ। ট্যুর শেষে সহি সালামতে ঘরে ফিরে এসেছি। পুরো ট্যুরটাই as planned ছিল। ট্যুরে বিলাসীতার বালাই ছিলনা কিন্তু তাই বলে শরীরের প্রতি কোন অবিচার করিনাই। খাওয়া, বিশ্রাম, ঘুম যখন যেখানে যা দরকার তার কোন কিছুতেই কমতি ছিলনা। সবমিলিয়ে সস্তায় মাস্তি, প্রচুর মাস্তি হয়েছে। সবশেষে ট্যুর থেকে পাওয়া কিছু বাড়তি ছবক:
# Croatia দেশটি Schengen ভুক্ত নয় তাই একটু সময় নিয়ে চেক করা হয় যে কারনে বাই রোড Croatia যেতে/আসতে বাড়তি সময় লাগতে পারে। বর্ডারে আমার এই সমস্যা হয়নি কিন্তু এই কারনে Croatia হয়ে আসা Ljubljana-Stuttgart বাস এক ঘন্টা লেট ছিল।
# বাস জার্নিতে মাঝ রাতে বিশেষ করে শীতকালে কিছু ঘন্টার ট্রানজিট থাকলে যে স্টেশনে পরের বাসের অপেক্ষা করতে হবে তা খোলা থাকে কিনা বা খোলা না থাকলে কি ব্যবস্থা তা আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো। Vienna তে আমাকে রাত ১ টা থেকে ৩.৩০ পর্যন্ত সাব-জিরো টেম্পারেচারে অনেকটা সময় বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তবে বুদ্ধির জোড়ে উপায় বাতলে ফেলায় খুব একটা সমস্যা হয়নি।
# যতই EU/International roaming থাকুক Google offline Map এ ভ্রমনে যাওয়া শহরগুলোর ডাটা এবং ল্যান্ডমার্কগুলো সেভ করে রাখলে বহুত ফায়দা। সেই সাথে সামান্য বাস্তবিক ভৌগলিক জ্ঞান থাকলে বিনা নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা হবেনা।
এলেবেলে গত পর্বের লিংক নিচে:
এলেবেলে-২২ (প্রচুর ছবিতে ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের আতশবাজী)