প্লেন স্পটিং বা এরোপ্লেনের ছবি তোলা আমার তিনটি শখের একটি (আর দুটি শখ হল ড্রোনগ্রাফি এবং ডাইকাস্ট মডেল কার সংগ্রহ করা)। সুযোগ পেলেই কোপেনহেগেন এয়ারপোর্টের কাছের স্পটিং স্পটে চলে যাই ক্যামেরা নিয়ে। এছাড়া যে দেশে প্লেনে করে যাই বা ওখান থেকে আসি তখনও প্লেনের ছবি তুলি। ভাবলাম সেই সব ছবি নিয়ে একটা ব্লগ সিরিজ করা যাক যেখানে প্রতি পর্বে থাীম অনুযায়ী ছবি থাকবে আপনাদের জন্য। তবে এটা ধারাবাহিক সিরিজ না হয়ে অন্যান্য লেখার বিরতিতে আসবে। এতে একঘেয়েমি আসবেনা বরং পরের সিরিজের জন্য অপেক্ষাটা মজার হবে।
আমি ছবি তুলতে কোন হাইটেক গিয়ার ব্যবহার করিনা। আমার আছে ক্যানন ১২০০ডি, সাথে বর্তমান সঙ্গী ৫৫-২৫০ মিলিমিটার লেন্স। এর আগে ১৮-৫৫ মিলিমিটার কিট লেন্স দিয়ে ছবি তুলতাম। আমি ছবি এডিট করিনা অতটা। ক্যামেরা থেকে আইপ্যাডে নিয়ে সামান্য ঘষামাজা করে আপলোড দেই। আশা করছি ছবিগুলো ভালো লাগবে।
পর্ব-১ জাম্বো জেট এয়ারবাস এ-৩৮০ এবং বোয়িং বি-৭৪৭ নিয়ে। এয়ারবাস এ-৩৮০ আমার প্রিয় বিমান তা সে ভ্রমনের জন্য হোক বা স্পটিং কিন্তু সহজে তার দেখা মিলেনা কোপেনহেগেনে। দিনে একবার তিনি আসা-যাওয়া করেন তাই প্রথমবার তার ছবি তুলতে সে কি অপেক্ষা। এছাড়া তার দর্শন পেতে এমস্টার্ড্যাম এয়ারপোর্টে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। সম্প্রতি তার পেটে চেপে ছুটিতে দেশে গিয়েছিলাম এবং ফিরেছিলাম (কোপেনহেগেন-দুবাই-কোপেনহেগেন রুট)। তো আমারই তোলা আমার প্রিয় বিমানের কিছু ছবি হয়ে যাক:
এমস্টার্ড্যাম এয়ারপোর্টে ল্যান্ডিং:
কোপেনহেগেন এয়ারপোর্টে ট্যাক্সিওয়েতে:
টেক-অফ, কোপেনহেগেন এয়ারপোর্ট থেকে:
পেটের ভেতর থেকে তোলা এ-৩৮০ এর বিশাল ইন্জিনের ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ডে কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক কে মালমো, সুইডেনের সাথে যুক্তকারী বিখ্যাত The Øresund Bridge
এবার আসি বোয়িং বি-৭৪৭ এর কথায়। এর দেখা আমি কোপেনহেগেনে পাইনি তবে এমস্টার্ড্যাম এয়ারপোর্টে একদিনে দুইবার পেয়েছি। সেই দুই ছবিই আমার সম্বল।
পর্ব-১ এর এখানেই সমাপ্তি। বেশী ছবি না দিয়ে ভালো মানের ছবি দিতে চেষ্টা করেছি। পর্ব-২ এ আমরা দেখব টার্বোপ্রপ বিমান। নানা দেশের, নানা এয়ারলাইন্সের, নানা বাহারের। একটা ব্যাপার আমি বুঝতে পেরেছি যে প্লেন স্পটিং থেকে শুধু প্লেন নয় বরং দেশের পরিচয়ও জানা যায়। শখ হিসাবে মন্দ নয় এটা!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩২