বিষয়:বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা
একটা দেশ,একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে ঐ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সবার আগে ধ্বংস করতে হয়।আজ প্রমান হয়ে গেল এই জাতি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।খুব বেশী দিন বাকি নেই এই জাতি ধ্বংসের।আমাদের মেডাম হাসিনার মনের আশা পূরন হচ্ছে,যে দেশ আমার বাবাকে ক্ষমা করেনি,সে দেশ কে আমিও ক্ষমা করবো না।এই দেশের শিক্ষা প্রনেতারাও উঠে পড়ে লেগেছে ধ্বংস করার জন্য।শিক্ষার হার দিন দিন বাড়ছে।আসলেই কি তাই?না এই দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে না, বাড়ছে GPA 5 হার।আজ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের একটা প্রতিবেদন দেখলাম।দেখে কান্না করবো না হাসবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র জানে না বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম,জানে না স্বাধিনতা দিবস,বিজয় দিবস কবে।পিথাগোরাস একজন উপন্যাসিক,নিউটনের সুত্র হলো গাছ থেকে আপেল পড়া,নেপালের রাজধানী হলো নেপচুন,আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি এর ইংরেজি হলো I am GPA 5.এস এস সি এর পূর্ন শব্দ হলো Junior school certificate.এভারেস্ট ইংলেন্ডে অবস্থিত।এই হলো কিছু দিন আগে জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র ছাত্রীর উত্তর।আমি এই অবস্থার জন্য ছাত্র ছাত্রীর দোষ দিব না।এর সমপূর্ন দায় নিতে হবে শিক্ষা প্রনেতাদের আর সরকারকে।পরীক্ষার ৭ দিন আগে যদি প্রশ্ন পায় তাহলে পড়াশুনার দরকার আছে?মেজিস্ট্রেট যখন নিচ তলায় থাকে তখন স্যাররা উপর তলায় MCQ সমাধান করে পরীক্ষার হলে বলে দেয়।আবার যখন মেজিস্ট্রেট উপরে থাকে তখন নিচে এই কারবার চলে।শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্দেশ থাকে কোন মতে যেন কোন ছাত্র ফেল না করে।যদি কেউ ফেল করে তার জন্য স্যারকে জবাবদিহি করতে হয় কেন এই ছাত্র ফেল করলো।এই জন্য স্যাররাও সব ছাত্রকে গনহারে খাতার পৃস্টা গুনে নাম্বার দিয়ে দেয়।ভিতরে কি লিখলো তা দেখার সময় নেই।ক্লাস ফাইভ এ পড়ুয়া ছেলে কতটুকু যোগ করতে পারে আমার মাথায় আসে না যেখানে এস এস সি পাশ করা ছাত্রই বলতে পারে না এস এস সির পুর্ন শব্দ কি।
যত দিন যাচ্ছে ততই আমরা অন্ধকারের দিকে হেটে যাচ্ছি।খুব অচিরেই সেই দিন আসবে যেখানে থাকবে না বুদ্ধিজীবি,যেখানে থাকবে না এই দেশ কে সামনের পথে এগিয়ে যাবার কোন মাথা।সেই দিন ই আমাদের মেডামের মন বাসনা পূর্ন হবে।তার প্রতিশোধ নেওয়া শেষ হবে।জয় হোক মেডাম আপনার,জয় হোক আপনার বিচক্ষনতার।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:০৫