ঘরের কোথাও না কোথাও সেটা আছে এই ব্যাপারে যখন শুভ নিশ্চিত তখন খুঁজে বের করাটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এসময় সেটা টেবিলের উপরে থাকার কথা থাকলেও এখন নেই। তবুও কি আর একবার খুঁজে দেখা উচিত না ? শুভ টেবিল থেকে বই খাতাগুলো সরিয়ে খুঁজতে শুরু করলো। নেই।
আচ্ছা কলম বের করার সময় ভুলে ড্রয়ারে রেখে দেয়নি তো ? উমম, না সেটাও ঠিক না। কলমগুলো ঠিক সেভাবেই আছে। সদ্য কেনা মার্কার পেনটাও সযত্নে আছে কিন্তু আসল জিনিশটা নেই। টেবিলের নিচে পড়ে যাবার একটা সম্ভাবনার কথাও উঁকি দিয়েছিল মাথাতে কিন্তু এতো পরিষ্কার ফ্লোরে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে কিছুই নেই সেখানে। ঝট করে শুভ ব্যাগটা টেনে নিলো নিজের কাছে। এলোমেলো কাগজ, পুরনো পত্রিকা আর গত শীতে নাক মুছে রেখে দেওয়া রুমালটা থাকলেও কাজের জিনিশ নেই।
মেডিটেশন করলে কেমন হয় ? যেই ভাবা সেই কাজ। খাটের উপর এক লাফে উঠে পদ্মাসনে বসে পড়লো শুভ। প্রথমে ১০ থেকে গুনতে হবে উলটো করে। এরপর নিজেই নিজেকে আদেশ করতে হবে টাইম ট্রাভেলের জন্য। হ্যাঁ ঐ তো শুভ নিজেকে আজকের দিনে খুঁজে বের করেছে, নিউরনে সেলগুলো এখনো তাজা আছে। সে প্রথমেই টেবিলে বসেছিল। খানিকটা পড়ালেখার পর খাতাতে একটা কমিক আঁকতে শুরু করেছিল। বাহ, শুভ নিজের স্মৃতিশক্তিতে নিজেই মুগ্ধ। কিন্তু এরপর কি ? জিনিশটা কোথায় রেখেছিল ? উফফ, ভারী যন্ত্রণা।
মেডিটেশনে কাজ হবে না বুঝে অর্ধেক পথেই ক্ষান্ত দিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা ভাবতে শুরু করলো সে। গতকালকেই কেনা হয়েছে জিনিশটা। একদিনের মধ্যে হারিয়ে ফেললে তার সত্যিই খুব খারাপ লাগবে তাছাড়া এতোগুলো টাকার ব্যপারতো আছেই। দুই হাতে মুখ চেপে ধরল শুভ। কিন্তু হাতে কিছু একটা অনুভূত হচ্ছে। কানের পাশে থাকা জিনিশটা টান দিয়ে সামনে নিয়ে আসার ফলেই আবিষ্কার হল চশমাটা, যেটা পুরোটা সময় তার চোখেই ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭