somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“হিকরি ডিকরি ডক” বুক রিভিউ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাত্র পড়ে শেষ করলাম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির “হিকরি ডিকরি ডক” এর বাংলা অনুবাদ। এটা আমি “বেস্ট অফ আগাথা ক্রিস্টি” থেকে পড়েছি। বইটা কলকাতার দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত। অনুবাদ করেছেন অর্চন চক্রবর্তী ও উত্তম ঘোষ।
পুরনো আমলের অনেকগুলো ঘরওয়ালা বাড়ি নিয়ে নির্মিত এক ছাত্রাবাসে হঠাৎ করেই চুরি শুরু হয়। একেবারেই অদ্ভুত কিছু চুরি… এক পাটি জুতো, বাল্ব, গোসলের লবণ, ব্রেসলেট, লিপস্টিক, ট্রাউজার, রান্নার বই, কানের দুল সহ আরও অনেক কিছুই। এর মধ্যে একমাত্র দামি জিনিশটি ছিল একটি হীরের আংটি, তাও চুরি যাবার কিছুদিনের মধ্যেই সেটা স্যুপের বাটি থেকে উদ্ধার হয়। বাকি জিনিশগুলোও কম বেশি এদিক সেদিকে পাওয়া যেতে থাকে। কিন্তু এতো কষ্ট করে চুরি করে চোর সেগুলোর কোন সদ্ব্যবহার কেনও করছে না সেটা যতো বড় প্রশ্ন তার থেকেও বড় প্রশ্ন এটা কি শুধুমাত্রই চুরি নাকি শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হচ্ছে ? গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো বিভ্রান্ত হয়ে উঠেন, কিসে গুরুত্ব দিতে হবে সেটা বোঝাটাও বড্ড কঠিন ছিল।

হঠাৎই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন পোয়ারো, তাকে ছাত্রাবাসে যেতে হবে। এবং আচমকাই সেখানে চুরির প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি পুলিশ ডাকার কথা বলে উঠলেন। সাধারণ এই চুরির জন্য পুলিশ ডাকার বিষয়টা তখন অনেকের কাছেও অস্বাভাবিক মনে হলেও যখন একের পর এক খুন হতে শুরু করলো তখন কেউ দম ফেলার ফুসরত পেলো না। রহস্যময় এই আততায়ীর মূল কর্মকাণ্ড কি শুধুমাত্রই চুরি নাকি এর পিছনে আরও বড় কোন রহস্য লুকিয়ে আছে তা জানতে এরকুল পোয়ারোর যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে, সাথে ছিলেন ইন্সপেক্টর শার্প।

একথা অনস্বীকার্য যে লেখিকাদের মধ্যে আগাথা ক্রিস্টি রহস্য গল্প রচয়িতা হিসেবে প্রথমেই থাকবেন। প্রায় শতাধিক বই লিখেছেন তিনি। “হিকরি ডিকরি ডক” তন্মধ্যে অন্যতম। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। গল্পটা এক সাধারণ ক্রিপ্টোম্যানিয়াকের মনে হলেও কিছুটা আলাদা ধরণ ধারণ করেছিল।

স্বাসরুদ্ধকর এই থ্রিলারটি আমি অর্ধেক ঘুম কাতর চোখে পড়ে শেষ করেছি, এবং মনে হল এটার রিভিউ না লিখে ঘুমানো একটি অপরাধ হবে। তবে একথা বলা অনস্বীকার্য যে আমি যেই অনুবাদটি পড়েছি তা খুব একটা সহজপাঠ্য বলে মনে হয়নি আমার কাছে। ভাষাশৈলি নিয়ে কোন সমস্যা নেই, তবে শব্দ নির্বাচন আরেকটু সহজ হতে পারতো।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×