দেশের অন্তিম এই সময়ে সুশীল ব্যক্তিবর্গ যখন পথ দেখানোর দ্বায়ভার থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন তখনি সমালোচিত হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই। এমন ঘটনার সাথে জনগনের আকাংখ্যার মিল কতটুকু তা আসলেই বোধগম্য নয়। জনগন জনগন করে ফেনা তোলা দল আর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অর্থলোভ আর ক্ষমতার অসীম চাওয়াকে এই জনগন দুচোখে বহুবার দেখেছে। জনগন নিয়ে যে রাজনীতির জন্ম তা কোথায় আছে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন কী? নাগরিক সমাজের ডাকা আহ্বান, এটা শুধুমাত্র তাদের একার কথা নয় জনগনের কথা। মানুষ আজ এই ছেলেখেলা টাইপের রাজনীতি দেখতে চায় না। তেমনি ভয়াবহ তান্ডবের রাজনীতিও নয়। মানুষ চায় সঠিকভাবে নিরাপত্তা। বেঁচে থাকার জন্য একটা পরিবেশ। অথচ আজ তা কেউ-ই পাচ্ছে না। যে মানুষ বর্তমান সরকার সমর্থন করেন তিনি যেমন ভোগান্তিতে আছেন তেমনি যিনি সরকার বিরোধী তিনিও ঠিক তেমন ভোগান্তিতে আছেন। নাগরিক সমাজ শুধু সে বিষয়কেই দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
রাজনীতির সাথে জড়িত নন এই নাগরিক সমাজের অনেকেই। তবু যেখানে দেশের বুদ্ধিজীবি আর জ্ঞানী মানুষের দাবী অথবা পরামর্শ এর প্রতিক্রিয়া সঠিক হয়েছে বলে কেউ মনে করবেন কি? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আরো দ্বায়িত্বশীল মন্তব্য আশাকরি।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে যেটা জানতে পেরেছি, “সবকিছুই ঘোলাটে হয়ে গেল ঃ ব্যারিস্টার রফিক ++এটি স্ববিরোধী সিদ্ধান্তঃ সুলতানা কামাল ++সরকার নিপীড়নমূলক মনোভাব নিয়ে এগুচ্ছে ঃ ড. হোসেন জিল্লুর” এখানে কোন কথাটি মিথ্যা কিংবা বেঠিক বলেছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই নাগরিক সমাজ নাকি তাঁদের আর বিরোধী দলের সাথে তেমন কোন পার্থক্য না করে একজায়গায় নিয়ে এসে কাজটা ঠিক করেন নি। আমরা সাধারন যারা তারা কি দেখছি, তারাও তাই দেখছি তাঁরা নিজেরা পাল্টাপাল্টি খেলে যাচ্ছেন, কখনো ফাঁকা মাঠে কখনো ফাউল মেরে কিংবা জনগনের লাল কার্ড কিংবা হুলুদ কার্ডের তোয়াক্কা না করেই।
এই ধরনের রাজনীতি এই দেশকে চরম খারাপ অবস্থানের দিকে নিয়ে যাবে। আমি নিজে এই চরম অবস্থার জন্য সঙ্কিত এবং আতংকিত। আমরা বাংলাদেশ কে নিয়ে গর্ব করতে পারব কি না জানি না। তবে সিরিয়া কিংবা অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও খারাপ পরিবেশ নেমে আছসে বলে মনে করি। তাই “এই অগ্রগামী একটি দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না ” এই স্লোগান দিয়েই আপনাদের অনুরোধ করছি।
( সুত্রঃব্যক্তিগত মন্তব্য )