আমরা প্রতিদিন সংবাদ পাচ্ছি যে নতুন নতুন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে কতদিন চলবে আর প্রতিদিন আর কত মানুষ আক্রান্ত হবে? এটা বোঝার জন্য একটা ছোট্ট একটা graph বোঝা দরকার।
এই graph টাতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। তারপর এক পর্যায়ে সমতল হয়ে যায় এবং শেষ পর্যায়ে কমতে শুরু করে। আমাদের বাংলাদেশ এখন প্রথম ধাপে আছে, আস্তে আস্তে সংখ্যায় বাড়ছে। আমরা পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করব, সেটা হচ্ছে সমতল বা flattening the curve। এই ধাপটার জন্য প্রতিটি আক্রান্ত দেশ অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে, আমরাও অপেক্ষা করছি। কারন এই ধাপে পৌঁছানো মানে হল “রোগীর সংখ্যা গতকালের চেয়ে বাড়েনি”! তারও চেয়ে বড় কথা হল নিকট ভবিষ্যতে রোগীর সংখ্যা কমতে যাচ্ছে। কিছু website ও আছে যেখানে বিভিন্ন দেশ কত সময়ে এই সমতল জায়গাটাতে যেতে পারছে অথবা বর্তমানে কোথায় আছে তার গ্রাফ দেয়া আছে (Click This Link)। এই সমতল অংশটা কত দ্রুত আসবে সেটা নির্ভর করে আমরা কত ভালভাবে করোনার মোকাবেলা করছি। চায়না, সাউথ করিয়া ৩০-৬০ দিনের ভিতরে গ্রাফটাকে সমতল করতে পেরেছে, অন্যান্য দেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সময়টা বেশি লাগতে পারে। বেশি পরিমান টেস্ট, দ্রুত isolation এ নিয়ে যাওয়া সহ মানুষের ভিতর ব্যক্তিগত সচেতনতা গ্রাফটাকে সমতল করতে খুবই জরুরী ভুমিকা পালন করে। আমরা যদি বাংলদেশের অবস্থান অন্যান্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে এমন দেশের সাথে তুলনা করি তাহলে একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে যে আমরা কতটুকু ভাল অথবা খারাপ অবস্থানে আছি। গ্রাফ A তে দেখা যাচ্ছে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার গ্রাফ, এখানে আমরা অনেক ভাল আছি। যদিও আমরা এইসব দেশ থেকে সময়ের দিক থেকে পরে আক্রান্ত হয়েছি। গ্রাফ B তে দেখা যাচ্ছে মোট মৃত্যুর সংখ্যা, এখানেও আমরা ভাল অবস্থানে আছি এখন পর্যন্ত। গ্রাফ C তে দেখা যাচ্ছে মোট কতগুলো টেস্ট করা হয়েছে। এখানে আমাদের অবস্থান খুবই খারাপ। গ্রাফ D তে দেখা যাচ্ছে যতজন করোনা positive হয়েছে তাদের ভিতর কি হারে মারা গিয়েছে। এই গ্রাফ ও বলছে আমরা ভাল অবস্থানে নেই। এই মারা যাওয়ার হার USA, Germany, China এর মত। তবে এখনও আমরা আশা করি বাংলাদেশের পরিস্তিতি খুব খারাপ হবে না। আমরা কোন না কোনও ভাবে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব।
পুরো লেখাটি পেতে- Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১